ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রোজার বহুবিধ উপকারিতা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৬:১১:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০১৭
  • / ৩০৩ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমরা যদি রোজা রাখ তবে তাতে রয়েছে তোমাদের জন্য কল্যাণ, তোমরা যদি সেটা উপলব্ধি করতে পার।’ এ আয়াত থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, রোজা মানব জাতির জন্য উৎকৃষ্ট নিয়ামত। আর রোজা পালনে মানব জাতির বহুবিধ কল্যাণ নিহিত রয়েছে। আদি মানব হজরত আদম (আ.) পৃথিবীতে সর্বপ্রথম রোজা রেখেছিলেন। তিনি আল্লাহর নিষেধ ভুলে গিয়ে একটি ফল খেয়ে পৃথিবীতে নেমে আসতে বাধ্য হন। এ সময় তাঁর শরীরের রং কালো হয়ে যায়। তাঁর দুর্দশা দেখে ফেরেশতারা আদম (আ.) কে ক্ষমা করে দেয়ার জন্য কেঁদে কেঁদে আল্লাহর কাছে আবেদন করেন। এ সময় মহান আল্লাহ আদম (আ.) কে ওহির মাধ্যমে চান্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখতে নির্দেশ করলেন। আদম (আ.) তাই করলেন। এতে তাঁর দেহের রং পূর্বের মতো উজ্জ্বল হয়ে যায়। এ জন্য এ তিন দিনকে আইয়ামে বীয বা উজ্জ্বল দিন বলা হয়। হজরত ঈসা (আ.) রোজা রাখতেন। তিনি জঙ্গলে একাধারে ৪০ দিন রোজা রেখেছিলেন। এক সময় তাঁর অনুসারীরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, আমরা অপবিত্র আত্মাকে কীভাবে বের করব। তিনি বলেন, দোয়া এবং রোজা ছাড়া কোনো উপায় নেই। পরকালে আল্লাহ তায়ালা কী পুরস্কার দেবেন এর কিছুটা ইঙ্গিত রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘রমজান এমন একটি মাস যে মাসে আল্লাহ তোমাদের জন্য রোজা রাখাকে ফরজ করে দিয়েছেন। অতএব যে ব্যক্তি ইমানসহ আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় রোজা রাখবে, তার জন্য রোজার সেই দিনটি হবে এমন যেন সবেমাত্র সে মায়ের গর্ভ থেকে জš§ নিয়েছে, অর্থাৎ রোজাদার তার সব গুনাহ থেকে মুক্তি পেয়ে নিষ্পাপ শিশুটির মতো হয়ে যাবে।’ রোজা পালনের মাধ্যমে পরকালীন কল্যাণ যেমন লাভ করা যায়, তেমনই ইহকালীন অনেক কল্যাণও অর্জন করা যায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তুমি যদি চাও তোমার বুকের ভেতরের অশান্তি কমে যাক, তাহলে রমজানের রোজা এবং প্রতিমাসে তিনটি করে রোজা রাখো।’ অন্য এক হাদিসে আছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘রোজা রেখে অটুট স্বাস্থ্যের অধিকারী হও।’ এর মানে হচ্ছে, রোজা রাখলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে। কোনো রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হয় না। এমনিভাবে রোজার অনেক উপকারিতা রয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

রোজার বহুবিধ উপকারিতা

আপলোড টাইম : ০৬:১১:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০১৭

ধর্ম ডেস্ক: আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমরা যদি রোজা রাখ তবে তাতে রয়েছে তোমাদের জন্য কল্যাণ, তোমরা যদি সেটা উপলব্ধি করতে পার।’ এ আয়াত থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, রোজা মানব জাতির জন্য উৎকৃষ্ট নিয়ামত। আর রোজা পালনে মানব জাতির বহুবিধ কল্যাণ নিহিত রয়েছে। আদি মানব হজরত আদম (আ.) পৃথিবীতে সর্বপ্রথম রোজা রেখেছিলেন। তিনি আল্লাহর নিষেধ ভুলে গিয়ে একটি ফল খেয়ে পৃথিবীতে নেমে আসতে বাধ্য হন। এ সময় তাঁর শরীরের রং কালো হয়ে যায়। তাঁর দুর্দশা দেখে ফেরেশতারা আদম (আ.) কে ক্ষমা করে দেয়ার জন্য কেঁদে কেঁদে আল্লাহর কাছে আবেদন করেন। এ সময় মহান আল্লাহ আদম (আ.) কে ওহির মাধ্যমে চান্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখতে নির্দেশ করলেন। আদম (আ.) তাই করলেন। এতে তাঁর দেহের রং পূর্বের মতো উজ্জ্বল হয়ে যায়। এ জন্য এ তিন দিনকে আইয়ামে বীয বা উজ্জ্বল দিন বলা হয়। হজরত ঈসা (আ.) রোজা রাখতেন। তিনি জঙ্গলে একাধারে ৪০ দিন রোজা রেখেছিলেন। এক সময় তাঁর অনুসারীরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, আমরা অপবিত্র আত্মাকে কীভাবে বের করব। তিনি বলেন, দোয়া এবং রোজা ছাড়া কোনো উপায় নেই। পরকালে আল্লাহ তায়ালা কী পুরস্কার দেবেন এর কিছুটা ইঙ্গিত রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘রমজান এমন একটি মাস যে মাসে আল্লাহ তোমাদের জন্য রোজা রাখাকে ফরজ করে দিয়েছেন। অতএব যে ব্যক্তি ইমানসহ আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় রোজা রাখবে, তার জন্য রোজার সেই দিনটি হবে এমন যেন সবেমাত্র সে মায়ের গর্ভ থেকে জš§ নিয়েছে, অর্থাৎ রোজাদার তার সব গুনাহ থেকে মুক্তি পেয়ে নিষ্পাপ শিশুটির মতো হয়ে যাবে।’ রোজা পালনের মাধ্যমে পরকালীন কল্যাণ যেমন লাভ করা যায়, তেমনই ইহকালীন অনেক কল্যাণও অর্জন করা যায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তুমি যদি চাও তোমার বুকের ভেতরের অশান্তি কমে যাক, তাহলে রমজানের রোজা এবং প্রতিমাসে তিনটি করে রোজা রাখো।’ অন্য এক হাদিসে আছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘রোজা রেখে অটুট স্বাস্থ্যের অধিকারী হও।’ এর মানে হচ্ছে, রোজা রাখলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে। কোনো রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হয় না। এমনিভাবে রোজার অনেক উপকারিতা রয়েছে।