ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র বিষয়ে দেশব্যাপী প্রচার চালানো হবে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:২৩:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ অগাস্ট ২০১৬
  • / ৫১০ বার পড়া হয়েছে

Ruppur Paromanbikপ্রযুক্তি ডেস্ক: রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র বিষয়ে মানুষকে ইতিবাচক ধারণা দেয়ার জন্য সারাদেশে প্রচার চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবেই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় প্রতিটি জেলার প্রেসক্লাবে এ বিষয়ে প্রচার চালাবে। পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ ও পরিচালনাসহ সবকিছুই করা হবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে। তবে এ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের স্পষ্ট কোনো পূর্ব ধারণা নেই। যেটুকু আছে তাও অনেকটা নেতিবাচক ও ভাসাভাসা। এ নিয়ে ভীতি ও উদ্বেগও আছে। তাই এরকম একটি স্পর্শকাতর প্রকল্প নিয়ে মানুষের মধ্যে ভ্রান্ত ও নেতিবাচক ধারণা তৈরি হতেই পারে। বিশেষ করে এই ধরনের বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তা ঝুঁকির প্রসঙ্গ নিয়েও বিভিন্ন কথা চালু রয়েছে।  সরকার মনে করে এইসব নেতিবাচক কথা ও প্রচারণা অমূলক। তাই সরকার এ বিষয়ে বিভ্রান্তি দূর করতে আগ্রহী। আর এরই অংশ হিসেবে সরকার ইতিবাচক প্রচার চালাবার সিদ্ধান্তটি নিয়েছে।
জানা গেছে, রূপপুরে কি ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে সরকার পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে যাচ্ছে, এর ধারণ ক্ষমতাই বা কতো, এই প্রকল্পের কোনো ঝুঁকি আছে কি না, ঝুঁকি দূর করার জন্য কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে, কি কি উন্নত প্রযুক্তি এতে ব্যবহার করা হবে এজাতীয় বিষয়সহ পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পর্কে একটা ইতিবাচক ধারণা তুলে ধরার জন্য এই প্রচারের ব্যবস্থা করা হবে। এদিকে, এই প্রযুক্তি সম্পর্কে জাতিকে শিক্ষিত ও সচেতন করার জন্য পাঠ্যক্রমেও বিষয়টি আনা হচ্ছে। রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং পরমাণু বিদ্যুৎ (নিউক্লিয়ার পাওয়ার) সম্পর্কে ৬ষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত একটি অধ্যায় সংযুক্ত করা হচ্ছে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে এটি চালু হতে পারে। এই অধ্যায়ে কি কি থাকবে তা রাশিয়া তৈরি করে দেবে। এই অধ্যায়ের জন্য লেখা বা টেক্সট তৈরি করে তা বাংলাভাষায় অনুবাদ করে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট রুশ কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, এই ধরনের প্রযুক্তি সম্পর্কে আমাদের দেশের মানুষের ধারণা নেই, জ্ঞান নেই। এটা নিয়ে মানুষের মধ্যে নানা প্রশ্ন থাকতে পারে। এজন্যই আমরা একটা ধারণা দেয়ার জন্য এই প্রযুক্তি সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচারের ব্যবস্থা করবো। আমরা প্রতিটি জেলায় প্রেসক্লাবে এই প্রচার কার্যক্রম চালাবো। এছাড়া এই প্রকল্প এবং নিউক্লিয়ার পাওয়ার সম্পর্কে জ্ঞান দেয়ার জন্য ৬ষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পাঠ্য পুস্তকেও একটি অধ্যায় সংযুক্ত করা হবে। এ ব্যাপারে রাশিয়াকে এই পাঠ্য বিষয় তৈরি করে দেয়ার কথা আমরা বলেছি। এদিকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুকেন্দ্রটির দেবে যাওয়ার ঝুঁকি যাতে না থাকে সেজন্য বিদ্যুকেন্দ্রটির আশপাশে এলাকায় মাটির নিচে পাথর বিছানোসহ কংক্রিটের ঢালাই দেয়া হচ্ছে। প্রায় ২০ থেকে ২৫ একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের মূল জায়গা। আর এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের পুরো এলাকা ৮শ’ একর জমির উপর। যন্ত্রপাতি স্থাপনের পর মাটি দেবে যাতে না যায় সেজন্য এই এলাকায় ২০ মিটার (৬০ফুট) মাটির নিচে কংক্রিটের ঢালাই দেয়া হবে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের মোট চারটি ইউনিট হবে। আপাতত দুইটি ইউনিট নির্মাণ করা হবে। ভবিষ্যতে আর দুইটি ইউনিট করার মতো জায়গা প্রস্তুত রাখা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র বিষয়ে দেশব্যাপী প্রচার চালানো হবে

আপলোড টাইম : ০২:২৩:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ অগাস্ট ২০১৬

Ruppur Paromanbikপ্রযুক্তি ডেস্ক: রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র বিষয়ে মানুষকে ইতিবাচক ধারণা দেয়ার জন্য সারাদেশে প্রচার চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবেই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় প্রতিটি জেলার প্রেসক্লাবে এ বিষয়ে প্রচার চালাবে। পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ ও পরিচালনাসহ সবকিছুই করা হবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে। তবে এ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের স্পষ্ট কোনো পূর্ব ধারণা নেই। যেটুকু আছে তাও অনেকটা নেতিবাচক ও ভাসাভাসা। এ নিয়ে ভীতি ও উদ্বেগও আছে। তাই এরকম একটি স্পর্শকাতর প্রকল্প নিয়ে মানুষের মধ্যে ভ্রান্ত ও নেতিবাচক ধারণা তৈরি হতেই পারে। বিশেষ করে এই ধরনের বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তা ঝুঁকির প্রসঙ্গ নিয়েও বিভিন্ন কথা চালু রয়েছে।  সরকার মনে করে এইসব নেতিবাচক কথা ও প্রচারণা অমূলক। তাই সরকার এ বিষয়ে বিভ্রান্তি দূর করতে আগ্রহী। আর এরই অংশ হিসেবে সরকার ইতিবাচক প্রচার চালাবার সিদ্ধান্তটি নিয়েছে।
জানা গেছে, রূপপুরে কি ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে সরকার পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে যাচ্ছে, এর ধারণ ক্ষমতাই বা কতো, এই প্রকল্পের কোনো ঝুঁকি আছে কি না, ঝুঁকি দূর করার জন্য কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে, কি কি উন্নত প্রযুক্তি এতে ব্যবহার করা হবে এজাতীয় বিষয়সহ পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পর্কে একটা ইতিবাচক ধারণা তুলে ধরার জন্য এই প্রচারের ব্যবস্থা করা হবে। এদিকে, এই প্রযুক্তি সম্পর্কে জাতিকে শিক্ষিত ও সচেতন করার জন্য পাঠ্যক্রমেও বিষয়টি আনা হচ্ছে। রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং পরমাণু বিদ্যুৎ (নিউক্লিয়ার পাওয়ার) সম্পর্কে ৬ষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত একটি অধ্যায় সংযুক্ত করা হচ্ছে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে এটি চালু হতে পারে। এই অধ্যায়ে কি কি থাকবে তা রাশিয়া তৈরি করে দেবে। এই অধ্যায়ের জন্য লেখা বা টেক্সট তৈরি করে তা বাংলাভাষায় অনুবাদ করে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট রুশ কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, এই ধরনের প্রযুক্তি সম্পর্কে আমাদের দেশের মানুষের ধারণা নেই, জ্ঞান নেই। এটা নিয়ে মানুষের মধ্যে নানা প্রশ্ন থাকতে পারে। এজন্যই আমরা একটা ধারণা দেয়ার জন্য এই প্রযুক্তি সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচারের ব্যবস্থা করবো। আমরা প্রতিটি জেলায় প্রেসক্লাবে এই প্রচার কার্যক্রম চালাবো। এছাড়া এই প্রকল্প এবং নিউক্লিয়ার পাওয়ার সম্পর্কে জ্ঞান দেয়ার জন্য ৬ষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পাঠ্য পুস্তকেও একটি অধ্যায় সংযুক্ত করা হবে। এ ব্যাপারে রাশিয়াকে এই পাঠ্য বিষয় তৈরি করে দেয়ার কথা আমরা বলেছি। এদিকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুকেন্দ্রটির দেবে যাওয়ার ঝুঁকি যাতে না থাকে সেজন্য বিদ্যুকেন্দ্রটির আশপাশে এলাকায় মাটির নিচে পাথর বিছানোসহ কংক্রিটের ঢালাই দেয়া হচ্ছে। প্রায় ২০ থেকে ২৫ একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের মূল জায়গা। আর এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের পুরো এলাকা ৮শ’ একর জমির উপর। যন্ত্রপাতি স্থাপনের পর মাটি দেবে যাতে না যায় সেজন্য এই এলাকায় ২০ মিটার (৬০ফুট) মাটির নিচে কংক্রিটের ঢালাই দেয়া হবে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের মোট চারটি ইউনিট হবে। আপাতত দুইটি ইউনিট নির্মাণ করা হবে। ভবিষ্যতে আর দুইটি ইউনিট করার মতো জায়গা প্রস্তুত রাখা হবে।