ইপেপার । আজমঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে রংপুরের জয়

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:৩৭:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০১৭
  • / ৩৮৪ বার পড়া হয়েছে

খেলাধুলা ডেস্ক: অতি আত্মবিশ্বাস নাকি সর্বনাশ ডেকে আনে। ঢাকা ডায়নামাইটসের দিকে তাকালে বিষয়টা পরিস্কার হবে। শেষ ওভারে ঢাকার জয়ের জন্য দরকার ছিল ১০ রান। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে খুবই সহজ সমীকরণ। শেষ ওভারে স্ট্রাইক ছাড়লেন না কাইরন পোলার্ড। সতীর্থ মোহাম্মদ আমির রানের জন্য দৌড়ালেও বারবারই তাকে বারণ করেন। পোলার্ডের ভরসা ছিল শেষ বল খেলতে পারলে ১০ রান নিতে পারবেন তিনি। প্রথম দুটি বলে রান নিতে না পারলেও তৃতীয় বলে বিশাল এক ছয় মারেন পোলার্ড। তিন বলে দরকার তখন চার রান। চতুর্থ বলে আবার সিঙ্গেল নিতে রাজি হননি পোলার্ড। পঞ্চম বলে এই ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান বোল্ড হয়ে ফিরে আসলে ম্যাচটা হাতছাড়া হয় ঢাকা ডায়নামাইটসের। অথচ, গোটা ম্যাচেই রংপুর রাইডার্সের ওপর আধিপত্য বজায় রাখে ঢাকা। ঢাকা পর্বের শেষ ম্যাচে ঢাকা ডায়নামাইটসকে ৩ রানে হারাল রংপুর রাইডার্স। প্রথমে ব্যাটিং করে ১৪২ রান তোলে রংপুর। জবাবে ১৩৯ রানেই থেমে যায় ঢাকার ইনিংস। ১৪৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথম ওভারেই সুনিল নারাইনকে ফিরিয়ে দেন মাশরাফি। আগের ম্যাচে ৭৬ রান করা নারাইনকে রানের খাতা খোলারই সুযোগ দেননি রংপুরের অধিনায়ক। ব্যাটিংয়ে প্রমোশন পাওয়া সাকিব তিনে নামেন। বল হাতে অসাধারণ করা সাকিব ব্যাট হাতে করেন ১১ রান। সাকিবকে ফেরান সোহাগ গাজী।
এভিন লুইস দুর্দান্ত খেলছিলেন। ২৫ বলে ২৮ রান করেন এই ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান। দলীয় ৬৯ রানে লুইস ফেরার পর দ্রুতই ফিরে যান জহুরুল ইসলাম অমি ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ১৯ বলে ২৯ রান করেন জহুরুল। সৈকত করেন ২ রান। শহীদ আফ্রিদি উইকেটে এসে দৃঢ়তার পরিচয় দেন। ১৫ বলে দুটি ছয়ে ২১ রান করেন তিনি। রুবেলের বলে বোল্ড হওয়ার পর ম্যাচটা হেলে পড়ে রংপুরের দিকে। এরপর মেহেদী মারুফ ও নাদিফ চৌধুরী দ্রুত ফিরে গেলে জয়ের আশা করছিল রংপুর। তবে বাধা হয়ে দাড়ান পোলার্ড। শেষ ওভারে ঢাকার জয়ের জন্য দরকার ছিল ১০ রান। প্রথম দুটি বলে কোনো রান নিতে পারেনিনি পোলার্ড। বাকিটা তো সবার জানা!
এর আগে প্রথমে ব্যাটিং করে ঢাকা ডায়নামাইটসকে খুব বেশি রানের লক্ষ্য দিতে পারেনি মাশরাফি বিন মুতর্জার দল। গেইলের হাফ সেঞ্চুরি সত্ত্বেও ১৪২ রানে শেষ হয়েছে রংপুরের ইনিংস। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালোই হয়েছিল রংপুরের। গেইলের দানবীয় ব্যাটিংয়ে ৪ ওভারেই ৩৬ রান তুলে নেয় দলটি। পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে ম্যাককালামকে ফেরান শহীদ আফ্রিদি। তবে মারকুটে ব্যাটিং করে আসরে দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন গেইল। ২৮ বলে পাঁচটি চার ও চারটি ছয়ে ৫১ রান করে গেইল ফিরে যাওয়ার পরই স্থবির হয়ে পরে রংপুরের স্কোরবোর্ড। মাশরাফি অবশ্য চেষ্টা করেছিলেন তবে ১১ বলে ১৫ রানের বেশি করতে পারেননি অধিনায়ক। এরপর রবি বোপারা, থিসারা পেরেরারা রানের চাকা সচল করতে না পারায় ১৪২ রানেই থেমে যায় রংপুরের ইনিংস। ঢাকার সাকিব আল হাসান নেন পাঁচ ও আফ্রিদি নেন দুটি উইকেট।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে রংপুরের জয়

আপলোড টাইম : ১২:৩৭:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০১৭

খেলাধুলা ডেস্ক: অতি আত্মবিশ্বাস নাকি সর্বনাশ ডেকে আনে। ঢাকা ডায়নামাইটসের দিকে তাকালে বিষয়টা পরিস্কার হবে। শেষ ওভারে ঢাকার জয়ের জন্য দরকার ছিল ১০ রান। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে খুবই সহজ সমীকরণ। শেষ ওভারে স্ট্রাইক ছাড়লেন না কাইরন পোলার্ড। সতীর্থ মোহাম্মদ আমির রানের জন্য দৌড়ালেও বারবারই তাকে বারণ করেন। পোলার্ডের ভরসা ছিল শেষ বল খেলতে পারলে ১০ রান নিতে পারবেন তিনি। প্রথম দুটি বলে রান নিতে না পারলেও তৃতীয় বলে বিশাল এক ছয় মারেন পোলার্ড। তিন বলে দরকার তখন চার রান। চতুর্থ বলে আবার সিঙ্গেল নিতে রাজি হননি পোলার্ড। পঞ্চম বলে এই ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান বোল্ড হয়ে ফিরে আসলে ম্যাচটা হাতছাড়া হয় ঢাকা ডায়নামাইটসের। অথচ, গোটা ম্যাচেই রংপুর রাইডার্সের ওপর আধিপত্য বজায় রাখে ঢাকা। ঢাকা পর্বের শেষ ম্যাচে ঢাকা ডায়নামাইটসকে ৩ রানে হারাল রংপুর রাইডার্স। প্রথমে ব্যাটিং করে ১৪২ রান তোলে রংপুর। জবাবে ১৩৯ রানেই থেমে যায় ঢাকার ইনিংস। ১৪৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথম ওভারেই সুনিল নারাইনকে ফিরিয়ে দেন মাশরাফি। আগের ম্যাচে ৭৬ রান করা নারাইনকে রানের খাতা খোলারই সুযোগ দেননি রংপুরের অধিনায়ক। ব্যাটিংয়ে প্রমোশন পাওয়া সাকিব তিনে নামেন। বল হাতে অসাধারণ করা সাকিব ব্যাট হাতে করেন ১১ রান। সাকিবকে ফেরান সোহাগ গাজী।
এভিন লুইস দুর্দান্ত খেলছিলেন। ২৫ বলে ২৮ রান করেন এই ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান। দলীয় ৬৯ রানে লুইস ফেরার পর দ্রুতই ফিরে যান জহুরুল ইসলাম অমি ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ১৯ বলে ২৯ রান করেন জহুরুল। সৈকত করেন ২ রান। শহীদ আফ্রিদি উইকেটে এসে দৃঢ়তার পরিচয় দেন। ১৫ বলে দুটি ছয়ে ২১ রান করেন তিনি। রুবেলের বলে বোল্ড হওয়ার পর ম্যাচটা হেলে পড়ে রংপুরের দিকে। এরপর মেহেদী মারুফ ও নাদিফ চৌধুরী দ্রুত ফিরে গেলে জয়ের আশা করছিল রংপুর। তবে বাধা হয়ে দাড়ান পোলার্ড। শেষ ওভারে ঢাকার জয়ের জন্য দরকার ছিল ১০ রান। প্রথম দুটি বলে কোনো রান নিতে পারেনিনি পোলার্ড। বাকিটা তো সবার জানা!
এর আগে প্রথমে ব্যাটিং করে ঢাকা ডায়নামাইটসকে খুব বেশি রানের লক্ষ্য দিতে পারেনি মাশরাফি বিন মুতর্জার দল। গেইলের হাফ সেঞ্চুরি সত্ত্বেও ১৪২ রানে শেষ হয়েছে রংপুরের ইনিংস। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালোই হয়েছিল রংপুরের। গেইলের দানবীয় ব্যাটিংয়ে ৪ ওভারেই ৩৬ রান তুলে নেয় দলটি। পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে ম্যাককালামকে ফেরান শহীদ আফ্রিদি। তবে মারকুটে ব্যাটিং করে আসরে দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন গেইল। ২৮ বলে পাঁচটি চার ও চারটি ছয়ে ৫১ রান করে গেইল ফিরে যাওয়ার পরই স্থবির হয়ে পরে রংপুরের স্কোরবোর্ড। মাশরাফি অবশ্য চেষ্টা করেছিলেন তবে ১১ বলে ১৫ রানের বেশি করতে পারেননি অধিনায়ক। এরপর রবি বোপারা, থিসারা পেরেরারা রানের চাকা সচল করতে না পারায় ১৪২ রানেই থেমে যায় রংপুরের ইনিংস। ঢাকার সাকিব আল হাসান নেন পাঁচ ও আফ্রিদি নেন দুটি উইকেট।