ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রিয়ালকে বিদায় বলে দিলেন কোচ জিদান

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০১:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ জুন ২০১৮
  • / ৩৫৭ বার পড়া হয়েছে

খেলাধুলা ডেস্ক: এমন খবর শুনতে হবে তা ছিল ধারণার বাইরে। গতকাল আকস্মিক ঘোষণায় রিয়াল মাদ্রিদের কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ান জিনেদিন জিদান। হ্যাটট্রিক ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জয়ের ছয়দিনের মাথায় জিদানের এমন সিদ্ধান্ত অবাক করেছে সবাইকে। সংবাদ সম্মেলন করে আড়াই বছরের কোচিং অধ্যায়ের ইতি টানেন জিদান। রিয়ালে নতুন ভূমিকায় আসার ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছেন। রিয়ালের ড্রেসিং রুমে ভিন্ন কণ্ঠস্বর প্রয়োজন বলে মনে করেন ফ্রেঞ্চ কিংবদন্তি।
জিদান বলেন, ‘আমি এই ক্লাবকে ভালোবাসি। এই দলটার জয় অব্যাহত থাকা প্রয়োজন। কিন্তু এতে একটি পরিবর্তন আনা দরকার বলে আমি মনে করি। ড্রেসিং রুমে ভিন্ন কণ্ঠস্বর, আরেকটি পদ্ধতি আবশ্যক। এ কারণেই আমি সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। গত বছরের লা লিগা শিরোপা রিয়ালের কোচ হিসেবে আমার সেরা স্মৃতি। তিন মৌসুম পর কোচিং অব্যাহত রাখা কঠিন। টানা তিনবার চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জয়ের পর তা আরো কঠিন।’ পদত্যাগের সিদ্ধান্তে খেলোয়াড়দের কোনো প্রভাব ছিল না বলে নিশ্চিত করেন জিদান, ‘আমি নিজের ইচ্ছাতেই সরে দাঁড়িয়েছি। এতে খেলোয়াড়দের কোনো প্রভাব ছিল না। সবাই আমাকে সম্মানের চোখে দেখে। এমন সাফল্যের জন্য যেটি মৌলিক বিষয়।’ কোচের পদ ছাড়লেও রিয়ালের সঙ্গেই থাকবেন ৪৫ বছর বয়সী জিদান। বলেন, ‘বিদায় বলাটা কঠিন মুহূর্ত। তবে এটা আমার জন্য দুঃখের দিন নয়। আপনাদের সঙ্গে শিগগিরই দেখা হবে। ক্লাবের সঙ্গে সবসময়ই আমার বন্ধন অটুট থাকবে। এই মধুর সম্পর্ক কখনো পরিবর্তন হবে না।’ রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের জন্য জিদানের যোগ্য উত্তরসূরি খোঁজা এখন বড় চ্যালেঞ্জ। জিদানের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত শোনার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না পেরেজও। তিনি বলেন, ‘এই খবরের জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। কোচ হিসেবে ক্লাবের প্রতি ত্যাগ, আবেগ ও ভালোবাসার জন্য জিদানকে ধন্যবাদ দিতে চাই। সে সবার জন্য উদাহরণ।’ ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে রিয়ালের কোচের দায়িত্ব নিয়ে সাফল্যের স্রোতে ভাসেন তিনি। তার আগে দেড় বছর রিয়ালের ‘বি’ দলের দায়িত্বে ছিলেন। প্রথম কোচ হিসেবে টানা তিনবার চ্যাম্পিয়ন্স লীগ শিরোপা জয়ের ইতিহাস গড়েন জিদান। তাও আবার পেশাদার কোচিং ক্যারিয়ারের প্রথম তিন মৌসুমেই। সবশেষ গত শনিবারের ফাইনালে লিভারপুলকে ৩-১ গোলে হারিয়ে উৎসবে মাতে মাদ্রিদ শিবির। খেলোয়াড়ি জীবনেও রিয়ালের জার্সিতে পাঁচ মৌসুমে একবার চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জিতেছিলেন জিদান। ৯৮’র বিশ্বকাপ জয়ী জিদানের অধীনে ৯টি শিরোপা উঁচিয়ে ধরেন রোনালদোরা। তার একমাত্র আক্ষেপ কোপা দেল রে। রিয়ালের ডাগআউটে ১৪৯ ম্যাচের মধ্যে ১০৪ ম্যাচে জয় দেখেন জিদান। জয়ের শতকরা হার ৬৯.৮০ শতাংশ। ১৬ হারের বিপরীতে বাকি ২৯ ম্যাচ ড্র হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

রিয়ালকে বিদায় বলে দিলেন কোচ জিদান

আপলোড টাইম : ১০:০১:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ জুন ২০১৮

খেলাধুলা ডেস্ক: এমন খবর শুনতে হবে তা ছিল ধারণার বাইরে। গতকাল আকস্মিক ঘোষণায় রিয়াল মাদ্রিদের কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ান জিনেদিন জিদান। হ্যাটট্রিক ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জয়ের ছয়দিনের মাথায় জিদানের এমন সিদ্ধান্ত অবাক করেছে সবাইকে। সংবাদ সম্মেলন করে আড়াই বছরের কোচিং অধ্যায়ের ইতি টানেন জিদান। রিয়ালে নতুন ভূমিকায় আসার ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছেন। রিয়ালের ড্রেসিং রুমে ভিন্ন কণ্ঠস্বর প্রয়োজন বলে মনে করেন ফ্রেঞ্চ কিংবদন্তি।
জিদান বলেন, ‘আমি এই ক্লাবকে ভালোবাসি। এই দলটার জয় অব্যাহত থাকা প্রয়োজন। কিন্তু এতে একটি পরিবর্তন আনা দরকার বলে আমি মনে করি। ড্রেসিং রুমে ভিন্ন কণ্ঠস্বর, আরেকটি পদ্ধতি আবশ্যক। এ কারণেই আমি সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। গত বছরের লা লিগা শিরোপা রিয়ালের কোচ হিসেবে আমার সেরা স্মৃতি। তিন মৌসুম পর কোচিং অব্যাহত রাখা কঠিন। টানা তিনবার চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জয়ের পর তা আরো কঠিন।’ পদত্যাগের সিদ্ধান্তে খেলোয়াড়দের কোনো প্রভাব ছিল না বলে নিশ্চিত করেন জিদান, ‘আমি নিজের ইচ্ছাতেই সরে দাঁড়িয়েছি। এতে খেলোয়াড়দের কোনো প্রভাব ছিল না। সবাই আমাকে সম্মানের চোখে দেখে। এমন সাফল্যের জন্য যেটি মৌলিক বিষয়।’ কোচের পদ ছাড়লেও রিয়ালের সঙ্গেই থাকবেন ৪৫ বছর বয়সী জিদান। বলেন, ‘বিদায় বলাটা কঠিন মুহূর্ত। তবে এটা আমার জন্য দুঃখের দিন নয়। আপনাদের সঙ্গে শিগগিরই দেখা হবে। ক্লাবের সঙ্গে সবসময়ই আমার বন্ধন অটুট থাকবে। এই মধুর সম্পর্ক কখনো পরিবর্তন হবে না।’ রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের জন্য জিদানের যোগ্য উত্তরসূরি খোঁজা এখন বড় চ্যালেঞ্জ। জিদানের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত শোনার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না পেরেজও। তিনি বলেন, ‘এই খবরের জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। কোচ হিসেবে ক্লাবের প্রতি ত্যাগ, আবেগ ও ভালোবাসার জন্য জিদানকে ধন্যবাদ দিতে চাই। সে সবার জন্য উদাহরণ।’ ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে রিয়ালের কোচের দায়িত্ব নিয়ে সাফল্যের স্রোতে ভাসেন তিনি। তার আগে দেড় বছর রিয়ালের ‘বি’ দলের দায়িত্বে ছিলেন। প্রথম কোচ হিসেবে টানা তিনবার চ্যাম্পিয়ন্স লীগ শিরোপা জয়ের ইতিহাস গড়েন জিদান। তাও আবার পেশাদার কোচিং ক্যারিয়ারের প্রথম তিন মৌসুমেই। সবশেষ গত শনিবারের ফাইনালে লিভারপুলকে ৩-১ গোলে হারিয়ে উৎসবে মাতে মাদ্রিদ শিবির। খেলোয়াড়ি জীবনেও রিয়ালের জার্সিতে পাঁচ মৌসুমে একবার চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জিতেছিলেন জিদান। ৯৮’র বিশ্বকাপ জয়ী জিদানের অধীনে ৯টি শিরোপা উঁচিয়ে ধরেন রোনালদোরা। তার একমাত্র আক্ষেপ কোপা দেল রে। রিয়ালের ডাগআউটে ১৪৯ ম্যাচের মধ্যে ১০৪ ম্যাচে জয় দেখেন জিদান। জয়ের শতকরা হার ৬৯.৮০ শতাংশ। ১৬ হারের বিপরীতে বাকি ২৯ ম্যাচ ড্র হয়।