ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রাস্তার একপাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখে শুধু ইট ভাঙার কাজ করছে ৫ শ্রমিক

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৫১:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০১৭
  • / ৯০৮ বার পড়া হয়েছে

শুরু হয়েছে বহু কাঙ্খিত চুয়াডাঙ্গা শহরের সড়ক নির্মাণকাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ছোট হাতুড়ি-শাবল দিয়ে শুরু করা হয়েছে বহু কাঙ্খিত চুয়াডাঙ্গা শহরের রাস্তা নির্মাণকাজ। গত সোমবার শহরের পুরাতন ঝিনাইদহ বাসষ্ট্যান্ড সড়ক থেকে এ নির্মাণকাজ শুরু হয়। আর রাস্তা নির্মাণে শ্রমিকরা কাজ করার সময় রাস্তার একপাশ বন্ধ রাখা হচ্ছে। ফলে সব ধরনের যানবাহন এক লেনে চলাচল করায় চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে এলাকার জনগন ও পথচারীরা। চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের প্রধান সড়কটি মরনফাঁদে পরিণত হয়েছে। ৩ কিলোমিটার জুড়ে রাস্তাটি খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে প্রতিদিন এ সড়কে চলাচলকারী হাজার হাজার যানবাহন ও কয়েকলাখ মানুষের দূর্দশা চরমে পৌছেছে। এরই মধ্যে গত সোমবার থেকে পুরাতন স্টেডিয়াম সড়কে প্রবেশের মুখ থেকে আজম মিয়ার পেট্রোল প্যাম্প পর্যন্ত রাস্তাটির একপাশ বন্ধ রেখে কাজ শুরু হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় মোহাদ্দেস, নজরুলসহ ৫ জন শ্রমিক কাজ করছে। তারা ছোট হাতুড়ি, কুদাল ও শাবল নিয়ে কাজে এসেছে। এই ৫ জন প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কাজ করছে। কাজ করার সুবিধার জন্য বাঁশ বেধে দিয়ে রাস্তার এক পাশ যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তারা কি করছে জিজ্ঞাসা করলে মোহাদ্দেস বলেন, সড়ক বিভাগ পাকা রাস্তার উপর যে ইট বিছিয়েছিল তা তুলে খোয়া করছি। সামান্য এ কাজ করতে রাস্তা বন্ধ রাখা হয়েছে কেন জিজ্ঞাসা করলে এর কোন জবাব দেয়নি। ৫ জন শ্রমিক ৩দিনে বড় জোর ৪-৫শ ইট তুলে খোয়া করেছে বলে স্থানীয়রা জানান। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ডপাড়ার বাসিন্দা আমিনুল, ছানোয়ার ও বিপুল আশরাফ বলেন, আমরা আনান্দিত দীর্ঘদিন পর চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ মহাসড়কের নির্মাণকাজ শুরু করা হয়েছে। তবে ছোট হাতুড়ি ও ছাবল দিয়ে কাজ করলে দীর্ঘসময় লেগে যাবে রাস্তার কাজ শেষ করতে। সেই জন্য রাস্তা নির্মাণে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের পরামর্শ তাদের। তাছাড়া সামান্য কারনে রাস্তা বন্ধ রাখার কোন যুক্ত নেই। সড়ক বিভাগ জানায়, চুয়াডাঙ্গা অংশে ৬৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৮.২৫ কিলোমিটার রাস্তা নির্মান কাজ শুরু হয়েছে। গোকুলখালি-ভালাইপুর অংশে রাস্তা নির্মাণ কাজ একমাস আগে শুরু হয়েছে। শহরের মধ্যে ২.২ কিলোমিটার হবে ৪ লেন অর্থাৎ ফুটপাত সহ রাস্তাটি ৫৪ ফুট প্রসস্ত হবে। আর শহরের বাইরে রাস্তাটি হবে ফুটপাতসহ ৩০ ফুট প্রসস্ত। রাস্তাটি নির্মাণে ঠিকাদার নিযুক্ত হয়েছেন আরএবি-আরসি প্রা: লি:, রানা বিল্ডার্স ও জহুরুল ইসলাম। আগামী বছর ১৯ জুন এই রাস্তার কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

রাস্তার একপাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখে শুধু ইট ভাঙার কাজ করছে ৫ শ্রমিক

আপলোড টাইম : ১০:৫১:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০১৭

শুরু হয়েছে বহু কাঙ্খিত চুয়াডাঙ্গা শহরের সড়ক নির্মাণকাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ছোট হাতুড়ি-শাবল দিয়ে শুরু করা হয়েছে বহু কাঙ্খিত চুয়াডাঙ্গা শহরের রাস্তা নির্মাণকাজ। গত সোমবার শহরের পুরাতন ঝিনাইদহ বাসষ্ট্যান্ড সড়ক থেকে এ নির্মাণকাজ শুরু হয়। আর রাস্তা নির্মাণে শ্রমিকরা কাজ করার সময় রাস্তার একপাশ বন্ধ রাখা হচ্ছে। ফলে সব ধরনের যানবাহন এক লেনে চলাচল করায় চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে এলাকার জনগন ও পথচারীরা। চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের প্রধান সড়কটি মরনফাঁদে পরিণত হয়েছে। ৩ কিলোমিটার জুড়ে রাস্তাটি খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে প্রতিদিন এ সড়কে চলাচলকারী হাজার হাজার যানবাহন ও কয়েকলাখ মানুষের দূর্দশা চরমে পৌছেছে। এরই মধ্যে গত সোমবার থেকে পুরাতন স্টেডিয়াম সড়কে প্রবেশের মুখ থেকে আজম মিয়ার পেট্রোল প্যাম্প পর্যন্ত রাস্তাটির একপাশ বন্ধ রেখে কাজ শুরু হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় মোহাদ্দেস, নজরুলসহ ৫ জন শ্রমিক কাজ করছে। তারা ছোট হাতুড়ি, কুদাল ও শাবল নিয়ে কাজে এসেছে। এই ৫ জন প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কাজ করছে। কাজ করার সুবিধার জন্য বাঁশ বেধে দিয়ে রাস্তার এক পাশ যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তারা কি করছে জিজ্ঞাসা করলে মোহাদ্দেস বলেন, সড়ক বিভাগ পাকা রাস্তার উপর যে ইট বিছিয়েছিল তা তুলে খোয়া করছি। সামান্য এ কাজ করতে রাস্তা বন্ধ রাখা হয়েছে কেন জিজ্ঞাসা করলে এর কোন জবাব দেয়নি। ৫ জন শ্রমিক ৩দিনে বড় জোর ৪-৫শ ইট তুলে খোয়া করেছে বলে স্থানীয়রা জানান। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ডপাড়ার বাসিন্দা আমিনুল, ছানোয়ার ও বিপুল আশরাফ বলেন, আমরা আনান্দিত দীর্ঘদিন পর চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ মহাসড়কের নির্মাণকাজ শুরু করা হয়েছে। তবে ছোট হাতুড়ি ও ছাবল দিয়ে কাজ করলে দীর্ঘসময় লেগে যাবে রাস্তার কাজ শেষ করতে। সেই জন্য রাস্তা নির্মাণে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের পরামর্শ তাদের। তাছাড়া সামান্য কারনে রাস্তা বন্ধ রাখার কোন যুক্ত নেই। সড়ক বিভাগ জানায়, চুয়াডাঙ্গা অংশে ৬৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৮.২৫ কিলোমিটার রাস্তা নির্মান কাজ শুরু হয়েছে। গোকুলখালি-ভালাইপুর অংশে রাস্তা নির্মাণ কাজ একমাস আগে শুরু হয়েছে। শহরের মধ্যে ২.২ কিলোমিটার হবে ৪ লেন অর্থাৎ ফুটপাত সহ রাস্তাটি ৫৪ ফুট প্রসস্ত হবে। আর শহরের বাইরে রাস্তাটি হবে ফুটপাতসহ ৩০ ফুট প্রসস্ত। রাস্তাটি নির্মাণে ঠিকাদার নিযুক্ত হয়েছেন আরএবি-আরসি প্রা: লি:, রানা বিল্ডার্স ও জহুরুল ইসলাম। আগামী বছর ১৯ জুন এই রাস্তার কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।