ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন, বিভিন্ন মহলের শোক

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৩৬:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০১৯
  • / ২০৮ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গায় মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শাফায়েতুল ইসলামের ইন্তেকাল
আলমডাঙ্গা অফিস:
আলমডাঙ্গার মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা সাফায়েতুল ইসলাম ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল (৮৬)। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নানা রোগে ভুগছিলেন। মুক্তিযোদ্ধা সাফায়েতুল ইসলাম আলমডাঙ্গা উপজেলার বাদেমাজু গ্রামের মরহুম শামসুদ্দী বিশ্বাসের ছেলে। তিনি মৃত্যুকালে স্ত্রী, ৪ ছেলে, ২ মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
গতকাল জোহরের নামাজের পর বাদেমাজু ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে রাষ্ট্রীয় সম্মান গার্ড অব অনার প্রদান করা শেষে তাঁর প্রথম জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় জানাজার নামাজ বাদল স্মৃতি একাডেমি চত্বরে অনুষ্ঠিত হওয়ার পর পারিবারিক কবরস্থানে দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়। গার্ড অব অনার প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. লিটন আলী, থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান মুন্সীসহ পুলিশের একটি চৌকস দল।
আলমডাঙ্গার মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা সাফায়েতুল ইসলামের মৃত্যুতে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস, শফিউর রহমান জোয়ার্দার সুলতান, শেখ নুর মোহাম্মদ জকু, মইনুদ্দিন, ওমর ফারুক, ইমদাদুল হক, আব্দুল জব্বার, শওকত আলী জোয়ার্দার, আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি খন্দকার শাহ আলম মন্টু, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার হামিদুল ইসলাম আজম, সাংবাদিক রহমান মুকুল, প্রশান্ত বিশ্বাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মজিবর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাষ্টার, উপজেলা চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার সালমুন আহম্মদ ডন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতুসহ আলমডাঙ্গা-চুয়াডাঙ্গার মুক্তিযোদ্ধার এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ গভীর শোক প্রকাশ করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। এদিকে, মরহুমের বড় ছেলে ও বাদেমাজু বাদল স্মৃতি একাডেমির প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম তাঁর পিতার আত্মার শান্তি কামনায় সবার নিকট দোয়া কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাফায়েতুল ইসলাম দীর্ঘদীন রোগভোগের পর বার্ধক্যজনিত কারনে পহেলা আগষ্ট বেলা সাড়ে ১২টায় দিকে নিজ বাড়ি বাদেমাজু গ্রামে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে আলমডাঙ্গার তৎকালিন থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাফায়েতুল ইসলাম তারসহকর্মিদের নিয়ে একটি সংগ্রাম কমিটি গড়ে তোলেন এবং আলমডাঙ্গা কলেজে যুদ্ধকালিন কন্টোল রুম তৈরি করে কাজ শুরু করেন। এ ছাড়াও কুষ্টিয়া প্রতিরোধ যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন তিনি। স্বাধীনতার পর তিনি ১৯৭৩ সালে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন না পেলে জাসদে যোগ দেন। পরবর্তীতে ১৯৭৯ সালে জাসদের হয়ে মশাল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন। তবে পরবর্তীতে আবারও আওয়ামীলীগে যোগদেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন, বিভিন্ন মহলের শোক

আপলোড টাইম : ১০:৩৬:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০১৯

আলমডাঙ্গায় মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শাফায়েতুল ইসলামের ইন্তেকাল
আলমডাঙ্গা অফিস:
আলমডাঙ্গার মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা সাফায়েতুল ইসলাম ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল (৮৬)। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নানা রোগে ভুগছিলেন। মুক্তিযোদ্ধা সাফায়েতুল ইসলাম আলমডাঙ্গা উপজেলার বাদেমাজু গ্রামের মরহুম শামসুদ্দী বিশ্বাসের ছেলে। তিনি মৃত্যুকালে স্ত্রী, ৪ ছেলে, ২ মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
গতকাল জোহরের নামাজের পর বাদেমাজু ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে রাষ্ট্রীয় সম্মান গার্ড অব অনার প্রদান করা শেষে তাঁর প্রথম জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় জানাজার নামাজ বাদল স্মৃতি একাডেমি চত্বরে অনুষ্ঠিত হওয়ার পর পারিবারিক কবরস্থানে দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়। গার্ড অব অনার প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. লিটন আলী, থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান মুন্সীসহ পুলিশের একটি চৌকস দল।
আলমডাঙ্গার মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা সাফায়েতুল ইসলামের মৃত্যুতে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস, শফিউর রহমান জোয়ার্দার সুলতান, শেখ নুর মোহাম্মদ জকু, মইনুদ্দিন, ওমর ফারুক, ইমদাদুল হক, আব্দুল জব্বার, শওকত আলী জোয়ার্দার, আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি খন্দকার শাহ আলম মন্টু, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার হামিদুল ইসলাম আজম, সাংবাদিক রহমান মুকুল, প্রশান্ত বিশ্বাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মজিবর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাষ্টার, উপজেলা চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার সালমুন আহম্মদ ডন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতুসহ আলমডাঙ্গা-চুয়াডাঙ্গার মুক্তিযোদ্ধার এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ গভীর শোক প্রকাশ করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। এদিকে, মরহুমের বড় ছেলে ও বাদেমাজু বাদল স্মৃতি একাডেমির প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম তাঁর পিতার আত্মার শান্তি কামনায় সবার নিকট দোয়া কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাফায়েতুল ইসলাম দীর্ঘদীন রোগভোগের পর বার্ধক্যজনিত কারনে পহেলা আগষ্ট বেলা সাড়ে ১২টায় দিকে নিজ বাড়ি বাদেমাজু গ্রামে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে আলমডাঙ্গার তৎকালিন থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাফায়েতুল ইসলাম তারসহকর্মিদের নিয়ে একটি সংগ্রাম কমিটি গড়ে তোলেন এবং আলমডাঙ্গা কলেজে যুদ্ধকালিন কন্টোল রুম তৈরি করে কাজ শুরু করেন। এ ছাড়াও কুষ্টিয়া প্রতিরোধ যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন তিনি। স্বাধীনতার পর তিনি ১৯৭৩ সালে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন না পেলে জাসদে যোগ দেন। পরবর্তীতে ১৯৭৯ সালে জাসদের হয়ে মশাল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন। তবে পরবর্তীতে আবারও আওয়ামীলীগে যোগদেন।