ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রাতভর গণডাকাতি, নগদ টাকা-স্বর্ণালঙ্কার লুট!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৪০:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০১৯
  • / ২৭৪ বার পড়া হয়েছে

জীবননগর অফিস:
জীবননগরে ৭টি বাড়িসহ রাস্তায় গণডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার ভোরে উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাত সদস্যরা রতিরামপুর কবরস্থানের সামনে ডাকাতিসহ গ্রামের দুটি মহল্লার সাত পরিবারে হানা দিয়ে স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা, মোবাইল ফোনসহ লক্ষাধিক টাকা লুট করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জীবননগর-দামুড়হুদা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আবু রাসেল। তিনি জানিয়েছেন, ডাকাতির খবর পেয়ে গতকাল দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে জীবননগর উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের জোলপাড়াতে হানা দেয় ১০-১২ জনের সশস্ত্র একটি ডাকাত দল। এ সময় ডাকাত সদস্যরা প্রথমে গ্রামের কুরবান আলীর বাড়িতে প্রবেশ করে। তারা অস্ত্রের মুখে পরিবারের লোকজনকে জিম্মি করে ১৫ হাজার টাকা ও ৩টি মোবাইল ফোন লুট করে। এরপর গাংপাড়ার আব্দুস সাত্তারের বাড়ি থেকে ৫ হাজার ৭ শ টাকা, একটা ফোন; আশাদুলের বাড়ি থেকে ৯ হাজার টাকা, ১ জোড়া সোনার বালা ও একটি চেইন এবং মোমিনের বাড়ি থেকে ১ জোড়া বালা, ১ জোড়া কানের দুল ও নগদ ৭ হাজার টাকা লুট করে ডাকাতেরা। এরপর ডাকাত সদস্যরা হানা দেয় একই এলাকার ইবাদত আলীর বাড়িতে। সেখানে তারা বাড়ির সবাইকে জিম্মি করে লুট করে নগদ ৬ হাজার টাকা। সবশেষে ডাকাত সদস্যরা গ্রামের নাসির ম-লের বাড়িতে হানা দিয়ে ২ হাজার টাকা লুট করে নেয়। এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রতিমারপুর কবরস্থানের সামনে দুজন পথচারীর নিকট থেকে দুটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে।
ডাকাতির কবলে পড়া কুরবান আলী জানান, ডাকাত দলে প্রায় ১০-১২ জন সদস্য ছিল। সবাই হাফপ্যান্ট পরা। তাদের সবার হাতেই ছিল ধারালো অস্ত্র।
স্থানীয় বাসিন্দা সামসুল ম-ল জানান, প্রতিদিন সন্তোষপুর-আন্দুলবাড়িয়া সড়কে পুলিশ টহল দেয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার পুলিশকে কোনো টহল দিতে দেখা যায়নি।
ধারাবাহিক ভাবে এসব ডাকাতি হয়ে আসছে। নিয়মতি ডাকাতির এসব ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। জানা যায়, গাংপাড়া ও জোলপাড়ায় ডাকাতির আগে সন্ধ্যায় রতিরামপুর কবরস্থানের পাশেও ডাকাতি করে একদল ডাকাত। এ সময় ডাকাত সদস্যরা দুজনের কাছ থেকে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ গণি ডাকাতির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ডাকাত সদস্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের বেশ কয়েকটি ইউনিট এক সঙ্গে কাজ করছে। এদিকে, খবর পেয়ে গতকাল দুপুরে সহকারী পুলিশ সুপার আবু রাসেল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি ডাকাতির কবলে পড়া পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং দ্রুত ডাকাত সদস্যদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেন।
এদিকে এ ঘটনার পর নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন ডাকাতির কবলে পড়া পরিবারের সদস্যরা। ডাকাত সদস্যদের সনাক্তপূর্বক দ্রুত দাবি গ্রেপ্তারের জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

রাতভর গণডাকাতি, নগদ টাকা-স্বর্ণালঙ্কার লুট!

আপলোড টাইম : ১১:৪০:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০১৯

জীবননগর অফিস:
জীবননগরে ৭টি বাড়িসহ রাস্তায় গণডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার ভোরে উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাত সদস্যরা রতিরামপুর কবরস্থানের সামনে ডাকাতিসহ গ্রামের দুটি মহল্লার সাত পরিবারে হানা দিয়ে স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা, মোবাইল ফোনসহ লক্ষাধিক টাকা লুট করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জীবননগর-দামুড়হুদা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আবু রাসেল। তিনি জানিয়েছেন, ডাকাতির খবর পেয়ে গতকাল দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে জীবননগর উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের জোলপাড়াতে হানা দেয় ১০-১২ জনের সশস্ত্র একটি ডাকাত দল। এ সময় ডাকাত সদস্যরা প্রথমে গ্রামের কুরবান আলীর বাড়িতে প্রবেশ করে। তারা অস্ত্রের মুখে পরিবারের লোকজনকে জিম্মি করে ১৫ হাজার টাকা ও ৩টি মোবাইল ফোন লুট করে। এরপর গাংপাড়ার আব্দুস সাত্তারের বাড়ি থেকে ৫ হাজার ৭ শ টাকা, একটা ফোন; আশাদুলের বাড়ি থেকে ৯ হাজার টাকা, ১ জোড়া সোনার বালা ও একটি চেইন এবং মোমিনের বাড়ি থেকে ১ জোড়া বালা, ১ জোড়া কানের দুল ও নগদ ৭ হাজার টাকা লুট করে ডাকাতেরা। এরপর ডাকাত সদস্যরা হানা দেয় একই এলাকার ইবাদত আলীর বাড়িতে। সেখানে তারা বাড়ির সবাইকে জিম্মি করে লুট করে নগদ ৬ হাজার টাকা। সবশেষে ডাকাত সদস্যরা গ্রামের নাসির ম-লের বাড়িতে হানা দিয়ে ২ হাজার টাকা লুট করে নেয়। এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রতিমারপুর কবরস্থানের সামনে দুজন পথচারীর নিকট থেকে দুটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে।
ডাকাতির কবলে পড়া কুরবান আলী জানান, ডাকাত দলে প্রায় ১০-১২ জন সদস্য ছিল। সবাই হাফপ্যান্ট পরা। তাদের সবার হাতেই ছিল ধারালো অস্ত্র।
স্থানীয় বাসিন্দা সামসুল ম-ল জানান, প্রতিদিন সন্তোষপুর-আন্দুলবাড়িয়া সড়কে পুলিশ টহল দেয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার পুলিশকে কোনো টহল দিতে দেখা যায়নি।
ধারাবাহিক ভাবে এসব ডাকাতি হয়ে আসছে। নিয়মতি ডাকাতির এসব ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। জানা যায়, গাংপাড়া ও জোলপাড়ায় ডাকাতির আগে সন্ধ্যায় রতিরামপুর কবরস্থানের পাশেও ডাকাতি করে একদল ডাকাত। এ সময় ডাকাত সদস্যরা দুজনের কাছ থেকে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ গণি ডাকাতির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ডাকাত সদস্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের বেশ কয়েকটি ইউনিট এক সঙ্গে কাজ করছে। এদিকে, খবর পেয়ে গতকাল দুপুরে সহকারী পুলিশ সুপার আবু রাসেল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি ডাকাতির কবলে পড়া পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং দ্রুত ডাকাত সদস্যদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেন।
এদিকে এ ঘটনার পর নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন ডাকাতির কবলে পড়া পরিবারের সদস্যরা। ডাকাত সদস্যদের সনাক্তপূর্বক দ্রুত দাবি গ্রেপ্তারের জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা।