ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রমজানে ওমরাহ করলে হজের সওয়াব

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:০৬:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০১৯
  • / ২৭৯ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক:
হাদিসে রমজান মাসে যেসব আমলের তাগিদ পাওয়া যায় ওমরাহ তার অন্যতম। রাসুলে আকরাম (সা.) বলেছেন, রমজানে ওমরাহ করলে আমার সঙ্গে হজ করার সওয়াব পাওয়া যাবে। তাই সামর্থ্যবান মুসলিমদের ওমরাহ করা উচিত। আমি মনে করি, তা বারবার করা উচিত। হজ ও ওমরাহ পালনের মাধ্যমে মানুষের ভেতর দ্বিনি অনুপ্রেরণা তৈরি হয়। আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.)-এর প্রতি ভালোবাসা তৈরি হয়। মক্কা-মদিনার পবিত্র ভূমিকে আল্লাহ তার নিদর্শন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। কারণ, এ ভূমিতে ইসলামের আগমন হয়েছে এবং ইসলামের প্রতিষ্ঠাকালীন সংগ্রামের স্মৃতি বহন করছে এই ভূমি। তাই মক্কা-মদিনা জিয়ারত করলে মানুষের ঈমান জাগ্রত হয়। ভালো কাজের অনুপ্রেরণা সৃষ্টি হয় এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকার সাহস পাওয়া যায়। অনেকেই বলেন, বারবার হজ-ওমরাহ না করে সেই টাকা গরিব-অসহায়ের মাঝে দান করতে। আমার মনে হয়, এটা অনুচিত। দুটিই ভালো কাজ। দুটি কাজের ব্যাপারেই হাদিসে তাগিদ এসেছে। সুতরাং একটি আমলকে গুরুত্ব প্রদানে অন্যটিকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। বরং আমরা বলব, আপনি ওমরাহ করুন। ঠিকমতো জাকাত দিন। মানুষকে সহযোগিতা করুন। হ্যাঁ, হজ-ওমরাহর ক্ষেত্রে রিয়া বা প্রদর্শনপ্রিয়তা একটি ব্যাধি হিসেবে দেখা দিয়েছে। মানুষ ওমরাহ করতে যায় এবং তা ব্যাপকভাবে প্রচার করে, অন্যরা তার প্রচার করুক সেটাও প্রত্যাশা। এটা পরিহারযোগ্য। প্রদর্শন সব আমলেই পরিহারযোগ্য। আল্লাহ তাআলা আমাদের রিয়ামুক্ত আমল করার তাওফিক দান করুন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

রমজানে ওমরাহ করলে হজের সওয়াব

আপলোড টাইম : ০৯:০৬:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০১৯

ধর্ম ডেস্ক:
হাদিসে রমজান মাসে যেসব আমলের তাগিদ পাওয়া যায় ওমরাহ তার অন্যতম। রাসুলে আকরাম (সা.) বলেছেন, রমজানে ওমরাহ করলে আমার সঙ্গে হজ করার সওয়াব পাওয়া যাবে। তাই সামর্থ্যবান মুসলিমদের ওমরাহ করা উচিত। আমি মনে করি, তা বারবার করা উচিত। হজ ও ওমরাহ পালনের মাধ্যমে মানুষের ভেতর দ্বিনি অনুপ্রেরণা তৈরি হয়। আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.)-এর প্রতি ভালোবাসা তৈরি হয়। মক্কা-মদিনার পবিত্র ভূমিকে আল্লাহ তার নিদর্শন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। কারণ, এ ভূমিতে ইসলামের আগমন হয়েছে এবং ইসলামের প্রতিষ্ঠাকালীন সংগ্রামের স্মৃতি বহন করছে এই ভূমি। তাই মক্কা-মদিনা জিয়ারত করলে মানুষের ঈমান জাগ্রত হয়। ভালো কাজের অনুপ্রেরণা সৃষ্টি হয় এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকার সাহস পাওয়া যায়। অনেকেই বলেন, বারবার হজ-ওমরাহ না করে সেই টাকা গরিব-অসহায়ের মাঝে দান করতে। আমার মনে হয়, এটা অনুচিত। দুটিই ভালো কাজ। দুটি কাজের ব্যাপারেই হাদিসে তাগিদ এসেছে। সুতরাং একটি আমলকে গুরুত্ব প্রদানে অন্যটিকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। বরং আমরা বলব, আপনি ওমরাহ করুন। ঠিকমতো জাকাত দিন। মানুষকে সহযোগিতা করুন। হ্যাঁ, হজ-ওমরাহর ক্ষেত্রে রিয়া বা প্রদর্শনপ্রিয়তা একটি ব্যাধি হিসেবে দেখা দিয়েছে। মানুষ ওমরাহ করতে যায় এবং তা ব্যাপকভাবে প্রচার করে, অন্যরা তার প্রচার করুক সেটাও প্রত্যাশা। এটা পরিহারযোগ্য। প্রদর্শন সব আমলেই পরিহারযোগ্য। আল্লাহ তাআলা আমাদের রিয়ামুক্ত আমল করার তাওফিক দান করুন।