ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রবির ৯১ কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০০:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০১৯
  • / ২২৩ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ ডেস্ক:
মুঠোফোন আপারেটর রবি আজিয়াটা সরকারের প্রায় ৯১ কোটি ৫ লাখ টাকা মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) ফাঁকি দিয়েছে। রবি আজিয়াটা ও এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেডের একীভূতকরণের ক্ষেত্রে মার্জার ফি এবং নবায়িত তরঙ্গ মূল্য বাবদ মোট ৬০৭ কোটি টাকার উপর এ ভ্যাট ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। এনবিআর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রন কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছে এনবিআর। চিঠিতে বলা হয়েছে, এয়ারটেল বাংলাদেশ এর অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া ২জি স্প্রেকট্রাম এর ক্ষেত্রে ২০১১ সালে সর্বশেষ ২জি লাইসেন্স ও সংশ্লিষ্ট তরঙ্গ নবায়নের সময় তরঙ্গ মূল্য সমন্বয় বাবদ ৫০৭ কোটি টাকা ও রবি আজিয়াটা এবং এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেডের একীভূতকরণ ফি বাবদ ১০০ কোটি টাকা পরিশোধের শর্তে দুই মুঠোফোন অপারেটরকে এক হওয়ার অনুমতি প্রদান করা হয়।
চিঠিতে আরো বলা হয়, বিটিআরসি কর্তৃক রবি আজিয়াটা ও এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেডের একীভূতকরণের ক্ষেত্রে মার্জার ফি বাবদ ৭৮ কোটি ২৬ লাখ ৮ হাজার ৬৯৬ টাকা এবং তরঙ্গ মূল্য সমন্বয় বাবদ ২৪০ কোটি ২৬ লাখ টাকা সহ সর্বমোট ৩১৮ কোটি ৫২ লাখ ১৭ হাজার ৩৯১ টাকা আদায় করা হয়। কিন্ত আদায়কৃত এ টাকার উপর ভ্যাট আদায় করা হয়নি।
চিঠিতে বলা হয়েছে, এ অবস্থায় রবি আজিয়াটা ও এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেডের একীভূতকরণের ক্ষেত্রে মার্জার ফি ১০০ কোটি টাকা এবং নবায়িত তরঙ্গ মূল্য বাবদ ৫০৭ কোটি টাকাসহ মোট ৬০৭ কোটি টাকার উপর ১৫ শতাংশ হারে প্রযোজ্য মূসক ৯১ কোটি ৫ লাখ টাকা আদায়যোগ্য। এই টাকা কেন রবির কাছ থেকে আদায় করা হবে না তার কারণ জানাতেও বলা হয়েছে এনবিআরের চিঠিতে।
বিষয়টি নিয়ে মুঠোফোন অপারেটর রবির একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
তবে অনানুষ্ঠানিক ভাবে রবির এক কর্মকর্তা বলেন, বাস্তবতা হলো বিটিআরসির ভ্যাট আদায়ের ক্ষমতা নেই। সেই সুপ্রিম পাওয়ার বিটিআরসিকে দেওয়া হয় নাই। এজন্য বিটিআরসি ভ্যাট আদায় করতে পারেনি। আমরা ভ্যাট পরিশোধ করতে ইচ্ছুক।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক বিষয়টি নিয়ে বলেন, কেউতো এমনি এমনি ৮০/৯০/১০০ কোটি টাকা দিতে চায় না। আমরা রবিকে বলেছি টাকা পরিশোধ করতে। কিন্তু রবি দিব-দিচ্ছি বলে দিচ্ছে না।
ভ্যাট আদায়ে আপনাদের আইনী কোনো জটিলতা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, দেখুন কোম্পানি ভ্যাট পরিশোধের পর রিসিপ্ট কপি ও ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন চায়। কিন্তু আমরা তা দিতে পারি না। এজন্য অনেক সময় কোম্পানি ভ্যাট দেয় না।
তিনি আরো বলেন, আমরা এনবিআরকে ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন দিতে বলেছি। কিন্তু আইনী জটিলতার কারণে তারা তা দিতে পারছে না। তবে আশা করছি রবির ভ্যাট আইনী প্রক্রিয়া মেনে দ্রুত আদায় হয়ে যাবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

রবির ৯১ কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকি

আপলোড টাইম : ১০:০০:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০১৯

সমীকরণ ডেস্ক:
মুঠোফোন আপারেটর রবি আজিয়াটা সরকারের প্রায় ৯১ কোটি ৫ লাখ টাকা মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) ফাঁকি দিয়েছে। রবি আজিয়াটা ও এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেডের একীভূতকরণের ক্ষেত্রে মার্জার ফি এবং নবায়িত তরঙ্গ মূল্য বাবদ মোট ৬০৭ কোটি টাকার উপর এ ভ্যাট ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। এনবিআর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রন কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছে এনবিআর। চিঠিতে বলা হয়েছে, এয়ারটেল বাংলাদেশ এর অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া ২জি স্প্রেকট্রাম এর ক্ষেত্রে ২০১১ সালে সর্বশেষ ২জি লাইসেন্স ও সংশ্লিষ্ট তরঙ্গ নবায়নের সময় তরঙ্গ মূল্য সমন্বয় বাবদ ৫০৭ কোটি টাকা ও রবি আজিয়াটা এবং এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেডের একীভূতকরণ ফি বাবদ ১০০ কোটি টাকা পরিশোধের শর্তে দুই মুঠোফোন অপারেটরকে এক হওয়ার অনুমতি প্রদান করা হয়।
চিঠিতে আরো বলা হয়, বিটিআরসি কর্তৃক রবি আজিয়াটা ও এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেডের একীভূতকরণের ক্ষেত্রে মার্জার ফি বাবদ ৭৮ কোটি ২৬ লাখ ৮ হাজার ৬৯৬ টাকা এবং তরঙ্গ মূল্য সমন্বয় বাবদ ২৪০ কোটি ২৬ লাখ টাকা সহ সর্বমোট ৩১৮ কোটি ৫২ লাখ ১৭ হাজার ৩৯১ টাকা আদায় করা হয়। কিন্ত আদায়কৃত এ টাকার উপর ভ্যাট আদায় করা হয়নি।
চিঠিতে বলা হয়েছে, এ অবস্থায় রবি আজিয়াটা ও এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেডের একীভূতকরণের ক্ষেত্রে মার্জার ফি ১০০ কোটি টাকা এবং নবায়িত তরঙ্গ মূল্য বাবদ ৫০৭ কোটি টাকাসহ মোট ৬০৭ কোটি টাকার উপর ১৫ শতাংশ হারে প্রযোজ্য মূসক ৯১ কোটি ৫ লাখ টাকা আদায়যোগ্য। এই টাকা কেন রবির কাছ থেকে আদায় করা হবে না তার কারণ জানাতেও বলা হয়েছে এনবিআরের চিঠিতে।
বিষয়টি নিয়ে মুঠোফোন অপারেটর রবির একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
তবে অনানুষ্ঠানিক ভাবে রবির এক কর্মকর্তা বলেন, বাস্তবতা হলো বিটিআরসির ভ্যাট আদায়ের ক্ষমতা নেই। সেই সুপ্রিম পাওয়ার বিটিআরসিকে দেওয়া হয় নাই। এজন্য বিটিআরসি ভ্যাট আদায় করতে পারেনি। আমরা ভ্যাট পরিশোধ করতে ইচ্ছুক।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক বিষয়টি নিয়ে বলেন, কেউতো এমনি এমনি ৮০/৯০/১০০ কোটি টাকা দিতে চায় না। আমরা রবিকে বলেছি টাকা পরিশোধ করতে। কিন্তু রবি দিব-দিচ্ছি বলে দিচ্ছে না।
ভ্যাট আদায়ে আপনাদের আইনী কোনো জটিলতা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, দেখুন কোম্পানি ভ্যাট পরিশোধের পর রিসিপ্ট কপি ও ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন চায়। কিন্তু আমরা তা দিতে পারি না। এজন্য অনেক সময় কোম্পানি ভ্যাট দেয় না।
তিনি আরো বলেন, আমরা এনবিআরকে ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন দিতে বলেছি। কিন্তু আইনী জটিলতার কারণে তারা তা দিতে পারছে না। তবে আশা করছি রবির ভ্যাট আইনী প্রক্রিয়া মেনে দ্রুত আদায় হয়ে যাবে।