ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, ভাঙচুর : আহত ১০

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ মে ২০২০
  • / ২০৫ বার পড়া হয়েছে

খাড়াগোদা বাজারে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে
প্রতিবেদক, তিতুদহ:
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার খাড়াগোদা বাজারে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয় গ্রুপের নেতা-কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় গ্রুপের ১০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নবগঠিত গড়াইটুপি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে একই ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি রাশেদুজ্জামান পলাশের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধের জের ধরে ইতিপূর্বেও দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীদের মধ্যে কয়েক দফায় হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। একে অপরের নামে মামলা পাল্টা মামলার ঘটনাও আছে ডজন খানেক।
প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক সূত্র জানায়, পূর্ববিরোধের জের ধরে গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে আওয়ামী লীগের নেতা জাহিদুল ইসলামের কর্মী লিটন ও যুবলীগের নেতা রাশেদুজ্জামান পলাশের সমর্থক রকির মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরই জের ধরে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে খাড়াগোদা বাজারে জাহিদুল ইসলামের নেতা-কর্মীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে রাশেদুজ্জামানের ওপর হামলা করে। এ সময় দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দফায় দফায় হামলা পাল্টা হামলায় গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়। এদের মধ্যে গড়াইটুপি ইউনিয়ন কৃষক লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ঝণ্টু মণ্ডল ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি লিটন আলীর অবস্থা গুরুতর। তাদেরকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে যুবলীগের সভাপতি রাশেদুজ্জামান পলাশের অভিযোগ ‘আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পূর্বপরিকল্পনা নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা জাহিদুল ও শুকুর আলীর নেতৃত্বে ৫০-৬০ জন অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আমি প্রাণে বেঁচে গেলেও তার ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আমার বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছে।’ তবে আওয়ামী লীগের নেতা জাহিদুল ইসলাম পাল্টা অভিযোগ করে জানান, ‘পলাশের ইন্ধনেই আমার কর্মী লিটনের ওপর হামলা চালানো হয়। বিকেলে আমরা কয়েকজন বিষয়টি জানতে গেলে তারাই সংঘবদ্ধ হয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমার পক্ষের চারজন আহত হয়েছে।’
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান সংঘর্ষের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সংঘর্ষের পরই ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দুই পক্ষই মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, ভাঙচুর : আহত ১০

আপলোড টাইম : ০৯:৫৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ মে ২০২০

খাড়াগোদা বাজারে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে
প্রতিবেদক, তিতুদহ:
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার খাড়াগোদা বাজারে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয় গ্রুপের নেতা-কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় গ্রুপের ১০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নবগঠিত গড়াইটুপি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে একই ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি রাশেদুজ্জামান পলাশের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধের জের ধরে ইতিপূর্বেও দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীদের মধ্যে কয়েক দফায় হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। একে অপরের নামে মামলা পাল্টা মামলার ঘটনাও আছে ডজন খানেক।
প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক সূত্র জানায়, পূর্ববিরোধের জের ধরে গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে আওয়ামী লীগের নেতা জাহিদুল ইসলামের কর্মী লিটন ও যুবলীগের নেতা রাশেদুজ্জামান পলাশের সমর্থক রকির মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরই জের ধরে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে খাড়াগোদা বাজারে জাহিদুল ইসলামের নেতা-কর্মীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে রাশেদুজ্জামানের ওপর হামলা করে। এ সময় দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দফায় দফায় হামলা পাল্টা হামলায় গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়। এদের মধ্যে গড়াইটুপি ইউনিয়ন কৃষক লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ঝণ্টু মণ্ডল ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি লিটন আলীর অবস্থা গুরুতর। তাদেরকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে যুবলীগের সভাপতি রাশেদুজ্জামান পলাশের অভিযোগ ‘আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পূর্বপরিকল্পনা নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা জাহিদুল ও শুকুর আলীর নেতৃত্বে ৫০-৬০ জন অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আমি প্রাণে বেঁচে গেলেও তার ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আমার বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছে।’ তবে আওয়ামী লীগের নেতা জাহিদুল ইসলাম পাল্টা অভিযোগ করে জানান, ‘পলাশের ইন্ধনেই আমার কর্মী লিটনের ওপর হামলা চালানো হয়। বিকেলে আমরা কয়েকজন বিষয়টি জানতে গেলে তারাই সংঘবদ্ধ হয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমার পক্ষের চারজন আহত হয়েছে।’
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান সংঘর্ষের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সংঘর্ষের পরই ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দুই পক্ষই মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।