ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

যে ৭ কাজে পরকালে মিলবে সর্বোত্তম পুরস্কার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৪৭:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০১৯
  • / ৩০২ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক:
মানুষের দুনিয়া-আখেরাতের কামিয়াবি ও সফলতা তার আমলের ওপর নির্ভরশীল। কাজ করলে ফল পাওয়া যাবে, এটা সর্বজনস্বীকৃত। দুনিয়ার সব মানুষ দুনিয়াবি সফলতার জন্য কাজ করে, কিন্তু আখেরাতের সফলতার জন্য কাজ করতে রাজি নয়। আখেরাতের বেলায় কাজ না করে ফল চায়। মনে রাখতে হবে, আমল ছাড়া সফলতা আসে না। আর শুধু আমল করলেই সফল হওয়া যাবে না, বরং আমল করার আগে আমলের নিয়ম-কানুন সম্পর্কে জানতে হবে এবং আমলগুলো শুদ্ধভাবে সম্পাদন করতে হবে। যারা আল্লাহকে ভয় করে তারা দুনিয়ার সব সুযোগ-সুবিধাকে পরকালের সফলতা লাভের জন্যই ব্যবহার করে। কেননা মুমিনের কাছে পরকাল অপেক্ষা উত্তম কোনো কিছুই হতে পারে না। আর যেসব মুমিন বান্দা পরকালের সফলতা লাভে দুনিয়াকে ভালোবাসে এবং দুনিয়াতে আল্লাহর দেয়া বিধান যথাযথ বাস্তবায়নে আত্মনিয়োগ করে তারা ৭ শ্রেণিতে বিভক্ত। এই ৭ শ্রেণির মানুষ পরকালে সর্বোত্তম পুরস্কারে ভূষিত হন। সেই ৭ শ্রেণির লোকেরা হলেন- ১. যারা গুরুত্বর পাপ ও অশ্লীল কাজ থেকে বেঁচে থাকে। ২. যারা কোনো কাজে অন্যের প্রতি প্রচ- রাগের সময়ও তাকে ক্ষমা করে দেয়। ৩. যারা আল্লাহর নির্দেশ ও আহ্বানে সাড়া দেয়। ৪. যারা আল্লাহর নির্দেশতি পন্থায় নামাজ প্রতিষ্ঠা করে। ৫. যারা যে কোনো কাজ নিজেদের মধ্যে পরামর্শের আলোকে সম্পাদন করে। ৬. যারা আল্লাহর দেয়া জীবিকা থেকে তার পথে ব্যয় করে। ৭. যারা কারো দ্বারা জুলুম বা অত্যাচারের শিকার হলে হয় সমপরিমাণ প্রতিশোধ গ্রহণ করে নতুবা প্রতিশোধ না নিয়ে ক্ষমা করে দেয় অথবা অত্যাচারের পরিমাণ অনুযায়ী আপস-মীমাংসা করে নেয়। মহান আল্লাহ উল্লিখিত বৈশিষ্ট্যগুলোর কথা পবিত্র কোরানে ঘোষণা করেছেন। এগুলো হলো মুমিন বান্দার গুণ। যা সে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভেই সম্পাদন করে। আল্লাহ তাআলা বলেন- ‘আল্লাহর কাছে তাদের জন্য যা আছে তা সর্বোত্তম ও স্থায়ী, যারা মারাত্মক পাপ ও অশ্লীল কাজ থেকে বেঁচে থাকে, রাগ হওয়া সত্ত্বেও ক্ষমা করে, প্রতিপালকের আহ্বানে সাড়া দেয়, নামাজ প্রতিষ্ঠা করে, নিজেদের মধ্যে পরামর্শের আলোকে কর্ম সম্পাদন করে, তাদের যে রিজিক দিয়েছি তা থেকে ব্যয় করে, অত্যাচারিত হলে প্রতিশোধ গ্রহণ করে। মন্দের প্রতিফল অনুরূপ মন্দ, তবে যে ক্ষমা করে দেয় ও আপোষ নিষ্পত্তি করে- আল্লাহর কাছে তার পুরস্কার রয়েছে।’ (সুরা শুরা : আয়াত ৩৬-৪০) আল্লাহ তাআলা বিশ্বের সকল মুসলিম উম্মাহকে এইসব গুণাবলি নিজের মধ্যে ধারণ করার শক্তি দান করুন। সবাইকে পরকালে সর্বোত্তম পুরস্কার প্রাপ্তির তাওফিক দিন। আমিন

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

যে ৭ কাজে পরকালে মিলবে সর্বোত্তম পুরস্কার

আপলোড টাইম : ০৮:৪৭:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০১৯

ধর্ম ডেস্ক:
মানুষের দুনিয়া-আখেরাতের কামিয়াবি ও সফলতা তার আমলের ওপর নির্ভরশীল। কাজ করলে ফল পাওয়া যাবে, এটা সর্বজনস্বীকৃত। দুনিয়ার সব মানুষ দুনিয়াবি সফলতার জন্য কাজ করে, কিন্তু আখেরাতের সফলতার জন্য কাজ করতে রাজি নয়। আখেরাতের বেলায় কাজ না করে ফল চায়। মনে রাখতে হবে, আমল ছাড়া সফলতা আসে না। আর শুধু আমল করলেই সফল হওয়া যাবে না, বরং আমল করার আগে আমলের নিয়ম-কানুন সম্পর্কে জানতে হবে এবং আমলগুলো শুদ্ধভাবে সম্পাদন করতে হবে। যারা আল্লাহকে ভয় করে তারা দুনিয়ার সব সুযোগ-সুবিধাকে পরকালের সফলতা লাভের জন্যই ব্যবহার করে। কেননা মুমিনের কাছে পরকাল অপেক্ষা উত্তম কোনো কিছুই হতে পারে না। আর যেসব মুমিন বান্দা পরকালের সফলতা লাভে দুনিয়াকে ভালোবাসে এবং দুনিয়াতে আল্লাহর দেয়া বিধান যথাযথ বাস্তবায়নে আত্মনিয়োগ করে তারা ৭ শ্রেণিতে বিভক্ত। এই ৭ শ্রেণির মানুষ পরকালে সর্বোত্তম পুরস্কারে ভূষিত হন। সেই ৭ শ্রেণির লোকেরা হলেন- ১. যারা গুরুত্বর পাপ ও অশ্লীল কাজ থেকে বেঁচে থাকে। ২. যারা কোনো কাজে অন্যের প্রতি প্রচ- রাগের সময়ও তাকে ক্ষমা করে দেয়। ৩. যারা আল্লাহর নির্দেশ ও আহ্বানে সাড়া দেয়। ৪. যারা আল্লাহর নির্দেশতি পন্থায় নামাজ প্রতিষ্ঠা করে। ৫. যারা যে কোনো কাজ নিজেদের মধ্যে পরামর্শের আলোকে সম্পাদন করে। ৬. যারা আল্লাহর দেয়া জীবিকা থেকে তার পথে ব্যয় করে। ৭. যারা কারো দ্বারা জুলুম বা অত্যাচারের শিকার হলে হয় সমপরিমাণ প্রতিশোধ গ্রহণ করে নতুবা প্রতিশোধ না নিয়ে ক্ষমা করে দেয় অথবা অত্যাচারের পরিমাণ অনুযায়ী আপস-মীমাংসা করে নেয়। মহান আল্লাহ উল্লিখিত বৈশিষ্ট্যগুলোর কথা পবিত্র কোরানে ঘোষণা করেছেন। এগুলো হলো মুমিন বান্দার গুণ। যা সে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভেই সম্পাদন করে। আল্লাহ তাআলা বলেন- ‘আল্লাহর কাছে তাদের জন্য যা আছে তা সর্বোত্তম ও স্থায়ী, যারা মারাত্মক পাপ ও অশ্লীল কাজ থেকে বেঁচে থাকে, রাগ হওয়া সত্ত্বেও ক্ষমা করে, প্রতিপালকের আহ্বানে সাড়া দেয়, নামাজ প্রতিষ্ঠা করে, নিজেদের মধ্যে পরামর্শের আলোকে কর্ম সম্পাদন করে, তাদের যে রিজিক দিয়েছি তা থেকে ব্যয় করে, অত্যাচারিত হলে প্রতিশোধ গ্রহণ করে। মন্দের প্রতিফল অনুরূপ মন্দ, তবে যে ক্ষমা করে দেয় ও আপোষ নিষ্পত্তি করে- আল্লাহর কাছে তার পুরস্কার রয়েছে।’ (সুরা শুরা : আয়াত ৩৬-৪০) আল্লাহ তাআলা বিশ্বের সকল মুসলিম উম্মাহকে এইসব গুণাবলি নিজের মধ্যে ধারণ করার শক্তি দান করুন। সবাইকে পরকালে সর্বোত্তম পুরস্কার প্রাপ্তির তাওফিক দিন। আমিন