ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

যেভাবে সুরক্ষিত রাখবেন মোবাইলের ব্যক্তিগত তথ্য

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:১৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
  • / ২৬৬ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক: প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে মানুষও ডিজিটালের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে ক্রমেই। বাড়ি বসেই ফোনের বিল, ইলেকট্রিক বিল মেটানো হয়ে যায়। তাছাড়া অনলাইন শপিং, নেট ব্যাংকিং তো রয়েইছে। কিন্তু প্রযুক্তির অব্যবহারের উদাহরণও বারবার উঠে এসেছে শিরোনামে। হ্যাকারদের থেকে নিজের ডেটা সুরক্ষিত রাখাটা বড় চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে। তবে পুরোটাই আপনার সচেতনতার উপর নির্ভর করছে। আপনার সুবিধার জন্য এই প্রতিবেদনে রইল এমন কয়েকটি টিপস যা অনলাইনে লেনদেনের সময় আপনার ব্যক্তিগত তথ্যকে সুরক্ষিত রাখবে। চলুন দেখে নেওয়া যাক। ১. আপনি কি অ্যান্ড্রয়েড ইউজার? তাহলে শুধুমাত্র গুগল প্লে স্টোর থেকেই কোনও অ্যাপ ডাউনলোড করুন। সেটাই আপনার সঙ্গে সবচেয়ে সুরক্ষিত। কারণ গুগল প্লে স্টোরে কোনওরকম ক্ষতিকর অ্যাপ থাকলে ইউজারকে আগেভাগেই সতর্ক করা হয় এবং দ্রুত তা স্টোর থেকে সরিয়েও দেওয়া হয়। তবে মোবাইলে কোনও দরকারি অ্যাপ বা নথি থাকলে অবশ্যই প্যাটার্ন বা পিন কোড দিয়ে স্ক্রিন লক করে রাখুন। ফোনে যদি গুগল অ্যাকাউন্ট লগ ইন করা থাকে, তাহলে আরও ভাল। সাধের ফোনটি হারিয়ে গেলে ধহফৎড়রফ.পড়স/ভরহফ ওয়েবসাইটে গিয়েও তা খুঁজে পেতে পারেন। ২. ফোনে ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষার দায় কিন্তু সম্পূর্ণ আপনার। কোনও থার্ড পার্টি অ্যাপের মোহে পা দিয়ে যদি ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে দেন, তাহলেই সমস্যা। অনেক সময় আপনার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সেই সব অ্যাপ আপনার মোবাইলের ক্যামেরা, কনট্যাক্ট নম্বর, লোকেশন ইত্যাদি ব্যবহার করে নিতে পারে। তাই এই সব অ্যাপে কোনওরকম তথ্য দেওয়া আগে সতর্ক থাকুন। ফোন কোন বিষয়গুলির ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া উচিত, তা আপনার ফোনের সেটিংসেই রয়েছে। সময় করে পড়ে ফেলুন। ৩. গুগল অ্যাকাউন্টটি নিশ্চয়ই আপনার কাছে সন্তান তুল্য। এটি ছাড়া প্লে-স্টোর থেকে হোয়াটসঅ্যাপ কিছুই ব্যবহার সম্ভব নয়। তাই গুগল অ্যাকাউন্টটির দেখভাল অতি আবশ্যক। সময়ে সময়ে পাসওয়ার্ড বদলানো, গুগলের নির্দেশাবলির দিকে নজর রাখা জরুরি। ৪. একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে একাধিক অ্যাকাউন্টে লগ ইন করার প্রবণতা অনেকেরই আছে। যা বিপদজনক হতে পারে। মানে ধরুন, আপনার বাড়ি, গাড়ি, অফিস- সবকিছুর জন্য একটাই চাবি। সেটি হাতে পেলেই কেল্লা ফতে। তাই প্রত্যেকটি অ্যাকাউন্টের জন্য আলাদা পাসওয়ার্ড ব্যবহারই বুদ্ধিমানের কাজ। এবং সেসব যেন হয় বেশ শক্তিশালী। ৫. মাঝে মধ্যে আপনার স্মার্টফোনটি আপডেটেড হতে চায়। তার নির্দেশ মেনে ওয়াই-ফাই কানেক্ট করে সফটওয়্যার আপডেট করে নিন। এতে আপনার ফোন সতেজ ও সুস্থ হয়ে ওঠে। এছাড়াও টু স্টেপ ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে ফোনকে সুরক্ষিত রাখুন। অদ্ভুত নম্বর থেকে ফোন এলে তা ভুল করেও ধরবেন না। এর মাধ্যমেও আপনার প্রয়োজনীয় ডেটা হাতানোর চেষ্টা করা হয়। তাই অনলাইন লেনদেনের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

যেভাবে সুরক্ষিত রাখবেন মোবাইলের ব্যক্তিগত তথ্য

আপলোড টাইম : ১১:১৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

প্রযুক্তি ডেস্ক: প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে মানুষও ডিজিটালের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে ক্রমেই। বাড়ি বসেই ফোনের বিল, ইলেকট্রিক বিল মেটানো হয়ে যায়। তাছাড়া অনলাইন শপিং, নেট ব্যাংকিং তো রয়েইছে। কিন্তু প্রযুক্তির অব্যবহারের উদাহরণও বারবার উঠে এসেছে শিরোনামে। হ্যাকারদের থেকে নিজের ডেটা সুরক্ষিত রাখাটা বড় চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে। তবে পুরোটাই আপনার সচেতনতার উপর নির্ভর করছে। আপনার সুবিধার জন্য এই প্রতিবেদনে রইল এমন কয়েকটি টিপস যা অনলাইনে লেনদেনের সময় আপনার ব্যক্তিগত তথ্যকে সুরক্ষিত রাখবে। চলুন দেখে নেওয়া যাক। ১. আপনি কি অ্যান্ড্রয়েড ইউজার? তাহলে শুধুমাত্র গুগল প্লে স্টোর থেকেই কোনও অ্যাপ ডাউনলোড করুন। সেটাই আপনার সঙ্গে সবচেয়ে সুরক্ষিত। কারণ গুগল প্লে স্টোরে কোনওরকম ক্ষতিকর অ্যাপ থাকলে ইউজারকে আগেভাগেই সতর্ক করা হয় এবং দ্রুত তা স্টোর থেকে সরিয়েও দেওয়া হয়। তবে মোবাইলে কোনও দরকারি অ্যাপ বা নথি থাকলে অবশ্যই প্যাটার্ন বা পিন কোড দিয়ে স্ক্রিন লক করে রাখুন। ফোনে যদি গুগল অ্যাকাউন্ট লগ ইন করা থাকে, তাহলে আরও ভাল। সাধের ফোনটি হারিয়ে গেলে ধহফৎড়রফ.পড়স/ভরহফ ওয়েবসাইটে গিয়েও তা খুঁজে পেতে পারেন। ২. ফোনে ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষার দায় কিন্তু সম্পূর্ণ আপনার। কোনও থার্ড পার্টি অ্যাপের মোহে পা দিয়ে যদি ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে দেন, তাহলেই সমস্যা। অনেক সময় আপনার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সেই সব অ্যাপ আপনার মোবাইলের ক্যামেরা, কনট্যাক্ট নম্বর, লোকেশন ইত্যাদি ব্যবহার করে নিতে পারে। তাই এই সব অ্যাপে কোনওরকম তথ্য দেওয়া আগে সতর্ক থাকুন। ফোন কোন বিষয়গুলির ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া উচিত, তা আপনার ফোনের সেটিংসেই রয়েছে। সময় করে পড়ে ফেলুন। ৩. গুগল অ্যাকাউন্টটি নিশ্চয়ই আপনার কাছে সন্তান তুল্য। এটি ছাড়া প্লে-স্টোর থেকে হোয়াটসঅ্যাপ কিছুই ব্যবহার সম্ভব নয়। তাই গুগল অ্যাকাউন্টটির দেখভাল অতি আবশ্যক। সময়ে সময়ে পাসওয়ার্ড বদলানো, গুগলের নির্দেশাবলির দিকে নজর রাখা জরুরি। ৪. একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে একাধিক অ্যাকাউন্টে লগ ইন করার প্রবণতা অনেকেরই আছে। যা বিপদজনক হতে পারে। মানে ধরুন, আপনার বাড়ি, গাড়ি, অফিস- সবকিছুর জন্য একটাই চাবি। সেটি হাতে পেলেই কেল্লা ফতে। তাই প্রত্যেকটি অ্যাকাউন্টের জন্য আলাদা পাসওয়ার্ড ব্যবহারই বুদ্ধিমানের কাজ। এবং সেসব যেন হয় বেশ শক্তিশালী। ৫. মাঝে মধ্যে আপনার স্মার্টফোনটি আপডেটেড হতে চায়। তার নির্দেশ মেনে ওয়াই-ফাই কানেক্ট করে সফটওয়্যার আপডেট করে নিন। এতে আপনার ফোন সতেজ ও সুস্থ হয়ে ওঠে। এছাড়াও টু স্টেপ ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে ফোনকে সুরক্ষিত রাখুন। অদ্ভুত নম্বর থেকে ফোন এলে তা ভুল করেও ধরবেন না। এর মাধ্যমেও আপনার প্রয়োজনীয় ডেটা হাতানোর চেষ্টা করা হয়। তাই অনলাইন লেনদেনের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন।