ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

যেভাবে দোয়া কবুল হবে বলেছেন বিশ্বনবি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০৪:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জুলাই ২০২০
  • / ১৬৮ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম প্রতিবেদন:
হাদিসের বিখ্যাত গ্রন্থ তিরমিজিতে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- ‘যখন কোনো ব্যক্তি আল্লাহর কাছে অথবা কোনো মানুষের কাছে কোনো প্রয়োজন বা আবশ্যক পূরণের ব্যাপারে উপস্থিত হয় তখন তার উচিৎ যে-
– প্রথমে ওজু করে দুই রাকাআত নফল নামাজ পড়া। অতপর আল্লাহর হামদ ও ছানা তথা প্রশংসা ও গুণগান করা এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর দরূদ ও সালাম পেশ করা। তারপর আল্লাহর দরবারে নিজের প্রয়োজনের কথা বর্ণনা করা।’ আল্লাহ তাআলার দরবারে নিজের প্রয়োজন ও জরুরতের কথা পেশ করার আগে গুণ তাঁর গুণগান ও প্রশংসা করা। নফল নামাজ পড়া এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর দরূদ পাঠ করা জরুরি। আর তাতে দোয়া কবুল হয়।
অন্য হাদিসে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দোয়া কবুল হওয়ার ব্যাপারে সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে- বান্দার যে দোয়ায় আল্লাহর প্রশংসা ও গুণগান এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর দরূদ ও সালামের সঙ্গে পেশ করা হয়, তা কবুল হয়। হজরত ফোজালা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মসজিদে অবস্থান করছিলেন। এ অবস্থায় এক ব্যক্তি এসে নামাজ পড়ল, নামাজের পর সে বলল-
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মাগফিরলি’ অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করুন।’
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এটা শুনে তাকে বললেন- ‘তুমি আবেদন পেশ করতে তাড়াতাড়ি করেছ। যখন নামাজ পড়ে বসবে তখন প্রথমে আল্লাহর প্রশংসা ও গুণগান করবে, তারপর দরূদ পাঠ করবে, অতপর দোয়া করবে। তিনি এ কথা বলছিলেন এ অবস্থায় দ্বিতীয় এক ব্যক্তি এলো। সে নামাজ পড়ে, আল্লাহর গুণগান ও প্রশংসা বয়ান করল, দরূদ পাঠ করল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘এখন দোয়া কর, দোয়া কবুল হবে।’ (তিরমিজি)
সুতরাং দোয়া করার ক্ষেত্রে তাড়াতাড়ি করা ঠিক নয়। হাদিসের নির্দেশনা মোতাবেক দোয়া করলে আল্লাহ তাআলা এতে খুশি হয়ে ওই বান্দার দোয়া কবুল করে নেন। আর এ পদ্ধতিতেই দোয়া কবুলের ঘোষণা দেন বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের নির্দেশনা মোতাবেক দোয়া করার তাওফিক দান করুন। সব সময় ওজু পর নফল নামাজ পড়ে আল্লাহর প্রশংসা, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দরূদ পাঠ করে নিজের একান্ত চাওয়া ও আবেদন পেশ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

যেভাবে দোয়া কবুল হবে বলেছেন বিশ্বনবি

আপলোড টাইম : ১০:০৪:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জুলাই ২০২০

ধর্ম প্রতিবেদন:
হাদিসের বিখ্যাত গ্রন্থ তিরমিজিতে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- ‘যখন কোনো ব্যক্তি আল্লাহর কাছে অথবা কোনো মানুষের কাছে কোনো প্রয়োজন বা আবশ্যক পূরণের ব্যাপারে উপস্থিত হয় তখন তার উচিৎ যে-
– প্রথমে ওজু করে দুই রাকাআত নফল নামাজ পড়া। অতপর আল্লাহর হামদ ও ছানা তথা প্রশংসা ও গুণগান করা এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর দরূদ ও সালাম পেশ করা। তারপর আল্লাহর দরবারে নিজের প্রয়োজনের কথা বর্ণনা করা।’ আল্লাহ তাআলার দরবারে নিজের প্রয়োজন ও জরুরতের কথা পেশ করার আগে গুণ তাঁর গুণগান ও প্রশংসা করা। নফল নামাজ পড়া এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর দরূদ পাঠ করা জরুরি। আর তাতে দোয়া কবুল হয়।
অন্য হাদিসে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দোয়া কবুল হওয়ার ব্যাপারে সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে- বান্দার যে দোয়ায় আল্লাহর প্রশংসা ও গুণগান এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর দরূদ ও সালামের সঙ্গে পেশ করা হয়, তা কবুল হয়। হজরত ফোজালা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মসজিদে অবস্থান করছিলেন। এ অবস্থায় এক ব্যক্তি এসে নামাজ পড়ল, নামাজের পর সে বলল-
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মাগফিরলি’ অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করুন।’
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এটা শুনে তাকে বললেন- ‘তুমি আবেদন পেশ করতে তাড়াতাড়ি করেছ। যখন নামাজ পড়ে বসবে তখন প্রথমে আল্লাহর প্রশংসা ও গুণগান করবে, তারপর দরূদ পাঠ করবে, অতপর দোয়া করবে। তিনি এ কথা বলছিলেন এ অবস্থায় দ্বিতীয় এক ব্যক্তি এলো। সে নামাজ পড়ে, আল্লাহর গুণগান ও প্রশংসা বয়ান করল, দরূদ পাঠ করল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘এখন দোয়া কর, দোয়া কবুল হবে।’ (তিরমিজি)
সুতরাং দোয়া করার ক্ষেত্রে তাড়াতাড়ি করা ঠিক নয়। হাদিসের নির্দেশনা মোতাবেক দোয়া করলে আল্লাহ তাআলা এতে খুশি হয়ে ওই বান্দার দোয়া কবুল করে নেন। আর এ পদ্ধতিতেই দোয়া কবুলের ঘোষণা দেন বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের নির্দেশনা মোতাবেক দোয়া করার তাওফিক দান করুন। সব সময় ওজু পর নফল নামাজ পড়ে আল্লাহর প্রশংসা, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দরূদ পাঠ করে নিজের একান্ত চাওয়া ও আবেদন পেশ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।