ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

যশোর বোর্ডে শীর্ষে নড়াইল : চুয়াডাঙ্গার উন্নতি : মেহেরপুর-ঝিনাইদহের ফল বিপর্যয়

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৬:০৭:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ মে ২০১৮
  • / ৩৭৩ বার পড়া হয়েছে

এসএসসি সমমানের ফল প্রকাশ : প্রশ্ন ফাঁসের ডামাডোলে জিপিএ ফাইভ বাড়লেও কমেছে পাসের হার
এসএম শাফায়েত: এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় এ বছর প্রশ্ন ফাঁসের ডামাডোলেও কমেছে পাসের হার। গতবার পাসের হার ছিল ৮০ দশমিক ৩৫ শতাংশ। যার মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছিল একলাখ ৪ হাজার ৭৬১ জন। গত বছরের তুলনায় এবার জিপিএ-৫ বাড়লেও পাসের হার কমেছে ২ দশমিক ৫৮ শতাংশ। এ পরীক্ষা শুরু থেকেই টানা ১২টি বিষয়ের নৈব্যত্তিক প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল, যা নিয়ে সমালোচনায় পড়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সরকার। এ বছর পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ। আর জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ৬২৯ জন। বরাবরের মতই নির্ধারিত ৬০ দিনের মধ্যেই ফল প্রকাশ করেছে সরকার। গতকাল রোববার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদসহ ১০ বোর্ডের চেয়ারম্যানরা। এ বছর ৭৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ হারে মোট ১৫ লাখ ৭৬ হাজার ২৯ জন পাস করেছে। এবার এক লাখ ১০ হাজার ৬২৯ জন জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন। এসএসসিতে পাস করেছে ১৬ লাখের বেশি পরীক্ষার্থী, পাসের হার ৭৯ দশমিক চার শূন্য আর জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন ১ লাখ ২ হাজার ৮৪৫ জন। কারিগরিতে ৭১ দশমিক ৯৬ ও মাদ্রাসায় পাস করেছেন ৭০ দশমিক ৮৯ শতাংশ হারে।
এদিকে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের আওতায় খুলনা বিভাগের ১০ জেলার মধ্যে ২০১৮ সালের এসএসসিতে চমক দেখিয়েছে নড়াইল জেলা। পাসের হার ৮১ দশমিক ৬১ শতাংশ; এদিক দিয়ে শীর্ষে রয়েছে জেলাটি। গত বছর এই তালিকায় ৮ম ছিল তারা। এবার ৮ম অবস্থান অধিকার করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা। পাসের হার ৭৫ দশমিক ১৪ শতাংশ; গতবার এ জেলা ৯ম অবস্থানে ছিল। ফল বিপর্যয়ে চরম অবনতি হয়েছে মেহেরপুর জেলার। পাসের হার ৭৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ। গত বছরের তৃতীয় মেহেরপুর এবার নেমে গেছে সপ্তমে। একই ভাবে ঝিনাইদহ জেলার অবস্থাও এবার নাজুক। পাসের হার ৭১ দশমিক ৬৫ শতাংশ। গতবারের ৬ষ্ঠ অবস্থান থেকে নেমে এবার ৯ম হয়েছে জেলাটি। আর গতবারের শীর্ষ জেলা খুলনা নেমে গেছে দ্বিতীয়তে। এ জেলায় পাসের হার ৮১ দশমিক ২৭ শতাংশ। তবে তলানিতে থাকা মাগুরার অবস্থান একইরকম। পাসের হার ৬৪দশমিক ৫৮ শতাংশ। গতবারও তারা ১০ নম্বরেই ছিল।
যশোর শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বোর্ডের অধীনে খুলনা বিভাগ থেকে এ বছর মোট ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৮৫ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার ৬৯৯ জন। পাসের হার ৭৬ দশমিক ৬৪ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৩৯৫ জন।
বোর্ডের মধ্যে সবচেয়ে ভালো ফলাফল করেছে নড়াইল জেলা। এই জেলা থেকে ৯ হাজার ৫২৯ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়েছে ৭ হাজার ৭৭৭ জন। পাসের হার ৮১ দশমিক ৬১। গতবছর বোর্ডে ৮ম অবস্থানে ছিল জেলাটি।
গত বছর প্রথম অবস্থানে থাকা খুলনা এবার নেমে গেছে দ্বিতীয় স্থানে। এ জেলা থেকে ২৭ হাজার ৩৩৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ২২ হাজার ২১৪ জন। পাসের হার ৮১ দশমিক ২৭ শতাংশ।
তৃতীয় স্থানে রয়েছে যশোর জেলা। গত বছরের তুলনায় এক ধাপ উন্নতি করা এই জেলা থেকে ৩১ হাজার ৯৪৩ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ২৫ হাজার ৬৬০ জন। পাসের হার ৮০ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
গত বছর দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা সাতক্ষীরা এবার ৪র্থ। এ জেলা থেকে ১৯ হাজার ৯৪৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ১৫ হাজার ৩৫৪ জন। পাসের হার ৭৬ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
৭ম স্থান থেকে এগিয়ে এবার ৫ম হয়েছে বাগেরহাট জেলা। এ জেলা থেকে ১৫ হাজার ৯৩০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ১২ হাজার ২৪৯ জন। পাশের হার ৭৬ দশমিক ৮৯।
গত বারের ৫ম কুষ্টিয়া জেলা এবার ৬ষ্ঠ। এ জেলা থেকে ২৪ হাজার ৪২৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে কৃতকার্য হয়েছে ১৮ হাজার ৫২৬ জন। পাসের হার ৭৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
গত বছরের তৃতীয় মেহেরপুর এবার নেমে গেছে সপ্তমে। এ জেলা থেকে ৮ হাজার ৮২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা নিয়ে পাস করেছে ৬ হয়েছে ১২৫ জন। পাসের হার ৭৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ।
৯ম অবস্থান থেকে ৮ম স্থানে এসেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা। এখান থেকে ১২ হাজার ১৩ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৯ হাজার ২৭ জন। পাসের হার ৭৫ দশমিক ১৪।
ঝিনাইদহ জেলা গতবারের ৬ষ্ঠ অবস্থান থেকে নেমে এবার ৯ম হয়েছে। এখান থেকে ২২ হাজার ১০৯ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ১৫ হাজার ৮৪০ জন। পাসের হার ৭১ দশমিক ৬৫।
আর গত বারের মত এবারও যশোর বোর্ডে তলানিতে অবস্থান করছে মাগুরা। এ জেলা থেকে ১২ হাজার ২৭৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে ৭ হাজার ৯২৭ জন। পাসের হার ৬৪ দশমিক ৫৮।
যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র জানিয়েছেন, বোর্ডের সার্বিক ফলাফলের উন্নতির জন্য বোর্ডের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ অব্যাহত রয়েছে। বোর্ড কর্মকর্তারা বিভিন্ন স্কুল তাৎক্ষণিক পরিদর্শনসহ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন। নিয়মিত লেখাপড়ায় শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। বোর্ডের প্রশ্ন ব্যাংকের মাধ্যমে স্কুলগুলোতে পাঠিয়ে পরীক্ষা গ্রহণ করায় তার প্রভাব ফলাফলে পড়ছে।
চুয়াডাঙ্গা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় জেলা শহরে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এসএসসি ফলাফলে শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে। গতকাল রোববার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এবারে ফলাফলে চুয়াডাঙ্গা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশের হার ৮৬ শতাংশ। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূর হোসেন বিশ্বাস জানান, এবারের ফলাফলে দুইটি গোল্ডেন এ প্লাসসহ চারটি এ প্লাস অর্জন হয়েছে। বিজ্ঞান ও বাণিজ্য বিভাগে শতভাগ পাশ করেছে। এবারে চুয়াডাঙ্গা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও সমমানের পরিক্ষায় ৯৮ জন অংশগ্রহণ করে ৮৪ জন পাশ করে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের ফলাফলে শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি উত্তরত্তর ফলাফল দিনদিন আকর্ষনিয়ভাবে ভালো করছে।
দর্শনা অফিস জানিয়েছে, দর্শনা পৌরসভা এলাকায় এবারের এসএসসি সমমান পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে দর্শনা কেরু উচ্চ বিদ্যালয় ও পরানপুর গ্রামের শিক্ষার্থীরা শীর্ষে অবস্থান করেছে। গতকাল রোববার এসএসসি সমমান পরীক্ষায় ফলাফল প্রকাশের পর দেখা যায় দর্শনা কেরু উচ্চ বিদ্যালয় ও পরানপুর গ্রামের শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশী পাশ করেছে। দর্শনা কেরু উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এ বছর ১৫৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাশ করেছে ১৪৯জন। পাশের হার ৯৭ দশমিক ৩৯%। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ ১জন, এ প্লাস পেয়েছে ৩৩জন, এ মাইনাস গ্রেডে ৬০জন উত্তীর্ণ হয়। দর্শনা পরানপুর গ্রাম থেকে ২৩জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২১জন পাশ করেছে। এদের মধ্যে ১০জন ছাত্রী এবং ১১জন ছাত্র রয়েছে। দর্শনা মেমনগর বিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২৪২জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ১৬০ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৬৬ দশমিক ১২%। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ একজন, এ গ্রেড পেয়েছে ১৩জন এবং ৮২জন ফেল করেছে। দর্শনা বালিকা বিদ্যালয় থেকে ৯৯জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৭৩ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৭৪%। এ গ্রেড পেয়েছে ১৩জন এবং এ মাইনাস পেয়েছে ২৬জন। ফেল করেছে ২৬জন। দর্শনা ডিএস ফাজিল মাদ্রাসা থেকে ৭৯জন পরীক্ষা দিয়ে ৬৮জন পাশ করেছে। পাশের হার ৮৬%। দর্শনা আল হেরা নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৫০জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৩১জন পাশ করেছে। দর্শনা দক্ষিন চাঁদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৯৯জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ৩৯জন পাশ করেছে। ফলে বিদ্যালয় ভিত্তিক কেরু উচ্চ বিদ্যালয় এবং গ্রাম ভিত্তিক পরানপুর গ্রাম পাশের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে বলে জানা গেছে।
মেহেরপুর প্রতিনিধি জানিয়েছে, সারা দেশের ন্যায় মেহেরপুরে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষার ফল গতকাল রবিবার দুপুরে প্রকাশিত হয়েছে। জেলার দু’টি সরকারি বিদ্যালয়ে জিপিএ-৫ পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা এগিয়ে থাকলেও আশানুরূপ ফলাফল করতে ব্যার্থ হয়েছে। মেহেরপুর সদর উপজেলার জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ১১৪ জন। মেহেরপুর জিনিয়াস ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেছিল ৪৩ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ১৯ জন জিপিএ-৫ সহ শতভাগ পাশ করার রেকর্ড ধরে রখেছে। মেহেরপুরের একমাত্র সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মোট ২৫৬ জন পরীক্ষা দিয়েছিল। এর মধ্যে ৩৭ জন জিপিএ-৫ সহ ২১৯ জন পাশ করেছে। এখানে পাশের হার ৮৫.৫৪%। অপরদিকে জেলার একমাত্র সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৪৭ জন পরীক্ষা দিয়ে ৩৯ জন জিপিএ-৫ সহ ২১৮ জন পাশ করেছে। এখানে পাশের হার শতকরা ৮৮.২৫%, মেহেরপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় এন্ড বিএম কলেজের ৬৪% এখান থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন , আমঝুপি মাধ্যমিক বালক বিদ্যালয়ে ৯৭.৫% এখান থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ জন, যাদুখালি স্কুল এন্ড কলেজে ৯৮.১৬% এখান থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন, কুলবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৭৭.৫২% এখান থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন, আশরাফপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৮৪.৮৮%, কাজি কুদরুতুল ইসলাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৩৯.১৩%, মোমিনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৯১.৪৮% এখান থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ জন, শালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৮২.৯১% , আমঝুপি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৭৪.৪৬% এখান থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন, গোভীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৮৪.৪৪%, উজলপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৭৯.৯৯%, টেংরামারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৮২.৬০%, সাহেবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৭১.৭৩%, কলমিজল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৫৮.৩৩%, গোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৭৬.৫৬%, কামদেবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৭৩.৫২%, শোলমারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৭১.৪২% এখান থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন, বাড়িবাকা সীমান্ত মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ৯০.৩২%, ঝাউবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬৭.২১%, ভৈরব মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ৯১.১১% এখান থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন, সীমান্ত মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ৯৩.৭৩%, হাতিভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৮৪.২১%, আর আর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৮৮.৮৮% এখান থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন, হরিরামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৮৮%, বলিয়ারপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৯০.৫৮% এখান থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন, কবি নজরুল শিক্ষা মঞ্জিল ৬৮.২৯%, মদনাডাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ৯১.৬৬%, মোমিনপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ৯৫.১২%, সুবিদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬৮.৭৪%, সিএসসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৯২.১৮% এখান থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন এবং শ্যামপুর শালিকা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ৯৪.৫৯% পাশ করেছে।
মুজিবনগর অফিস জানিয়েছে, মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার চারটি মাদরাসার দাখিল পরীক্ষার ফলাফলে ভরাডুবি হয়েছে। মানিকনগর ডিএসএ আলিম মাদরাসায় এ বছরে ১৬জন নিয়মিত ১জন অনিয়মিত পরীক্ষার্থীর মধ্যে নিয়মিত ১৬ জন ফেল, ১জন পাস, দারিয়াপুর গাউছিয়া দাখিল মাদরাসায় ১৪জনের মধ্যে অনিয়মিত ৩ জন পাস, আয়েশানগর দাখিল মাদরাসায় ১৩ জনর মধ্যে ৮ জন পাস এবং শিবপুর দারুল কুরআন দাখিল মাদরাসায় ২৭ জনের মধ্যে ১২জন পাস। কেউই জিপিএ-৫ পায়নি।
ঝিনাইদহ অফিস জানিয়েছে, ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ থেকে এবারও এসএসসি পরীক্ষায় শতভাগ জিপিএ-৫ এ রেকর্ড গড়েছে। এবার এসএসসি পরীক্ষায় কলেজের সবাই জিপিএ-৫ পেয়েছে। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৫০ জন ক্যাডেট পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ৪৬ জন গোল্ডের প্লাসসহ সকলেই জিপিএ ৫ পেয়েছে। ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের অধ্যক্ষ কর্ণেল সাদিকুল বারী জানান, প্রতিবারের ন্যায় এবারের এসএসসি পরীক্ষায়ও সবাই জিপিএ-৫ পেয়েছে। এই সাফল্যের পিছনে রয়েছে ক্যাডেট কলেজের মনোরম পরিবেশ, শিক্ষার্থীদের অধ্যবসায়, সন্তানদের প্রতি অভিভাবকদের সচেতনতা। তিনি বলেন শিক্ষকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ভাল ফলাফলের মুল কারন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

যশোর বোর্ডে শীর্ষে নড়াইল : চুয়াডাঙ্গার উন্নতি : মেহেরপুর-ঝিনাইদহের ফল বিপর্যয়

আপলোড টাইম : ০৬:০৭:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ মে ২০১৮

এসএসসি সমমানের ফল প্রকাশ : প্রশ্ন ফাঁসের ডামাডোলে জিপিএ ফাইভ বাড়লেও কমেছে পাসের হার
এসএম শাফায়েত: এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় এ বছর প্রশ্ন ফাঁসের ডামাডোলেও কমেছে পাসের হার। গতবার পাসের হার ছিল ৮০ দশমিক ৩৫ শতাংশ। যার মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছিল একলাখ ৪ হাজার ৭৬১ জন। গত বছরের তুলনায় এবার জিপিএ-৫ বাড়লেও পাসের হার কমেছে ২ দশমিক ৫৮ শতাংশ। এ পরীক্ষা শুরু থেকেই টানা ১২টি বিষয়ের নৈব্যত্তিক প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল, যা নিয়ে সমালোচনায় পড়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সরকার। এ বছর পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ। আর জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ৬২৯ জন। বরাবরের মতই নির্ধারিত ৬০ দিনের মধ্যেই ফল প্রকাশ করেছে সরকার। গতকাল রোববার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদসহ ১০ বোর্ডের চেয়ারম্যানরা। এ বছর ৭৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ হারে মোট ১৫ লাখ ৭৬ হাজার ২৯ জন পাস করেছে। এবার এক লাখ ১০ হাজার ৬২৯ জন জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন। এসএসসিতে পাস করেছে ১৬ লাখের বেশি পরীক্ষার্থী, পাসের হার ৭৯ দশমিক চার শূন্য আর জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন ১ লাখ ২ হাজার ৮৪৫ জন। কারিগরিতে ৭১ দশমিক ৯৬ ও মাদ্রাসায় পাস করেছেন ৭০ দশমিক ৮৯ শতাংশ হারে।
এদিকে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের আওতায় খুলনা বিভাগের ১০ জেলার মধ্যে ২০১৮ সালের এসএসসিতে চমক দেখিয়েছে নড়াইল জেলা। পাসের হার ৮১ দশমিক ৬১ শতাংশ; এদিক দিয়ে শীর্ষে রয়েছে জেলাটি। গত বছর এই তালিকায় ৮ম ছিল তারা। এবার ৮ম অবস্থান অধিকার করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা। পাসের হার ৭৫ দশমিক ১৪ শতাংশ; গতবার এ জেলা ৯ম অবস্থানে ছিল। ফল বিপর্যয়ে চরম অবনতি হয়েছে মেহেরপুর জেলার। পাসের হার ৭৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ। গত বছরের তৃতীয় মেহেরপুর এবার নেমে গেছে সপ্তমে। একই ভাবে ঝিনাইদহ জেলার অবস্থাও এবার নাজুক। পাসের হার ৭১ দশমিক ৬৫ শতাংশ। গতবারের ৬ষ্ঠ অবস্থান থেকে নেমে এবার ৯ম হয়েছে জেলাটি। আর গতবারের শীর্ষ জেলা খুলনা নেমে গেছে দ্বিতীয়তে। এ জেলায় পাসের হার ৮১ দশমিক ২৭ শতাংশ। তবে তলানিতে থাকা মাগুরার অবস্থান একইরকম। পাসের হার ৬৪দশমিক ৫৮ শতাংশ। গতবারও তারা ১০ নম্বরেই ছিল।
যশোর শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বোর্ডের অধীনে খুলনা বিভাগ থেকে এ বছর মোট ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৮৫ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার ৬৯৯ জন। পাসের হার ৭৬ দশমিক ৬৪ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৩৯৫ জন।
বোর্ডের মধ্যে সবচেয়ে ভালো ফলাফল করেছে নড়াইল জেলা। এই জেলা থেকে ৯ হাজার ৫২৯ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়েছে ৭ হাজার ৭৭৭ জন। পাসের হার ৮১ দশমিক ৬১। গতবছর বোর্ডে ৮ম অবস্থানে ছিল জেলাটি।
গত বছর প্রথম অবস্থানে থাকা খুলনা এবার নেমে গেছে দ্বিতীয় স্থানে। এ জেলা থেকে ২৭ হাজার ৩৩৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ২২ হাজার ২১৪ জন। পাসের হার ৮১ দশমিক ২৭ শতাংশ।
তৃতীয় স্থানে রয়েছে যশোর জেলা। গত বছরের তুলনায় এক ধাপ উন্নতি করা এই জেলা থেকে ৩১ হাজার ৯৪৩ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ২৫ হাজার ৬৬০ জন। পাসের হার ৮০ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
গত বছর দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা সাতক্ষীরা এবার ৪র্থ। এ জেলা থেকে ১৯ হাজার ৯৪৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ১৫ হাজার ৩৫৪ জন। পাসের হার ৭৬ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
৭ম স্থান থেকে এগিয়ে এবার ৫ম হয়েছে বাগেরহাট জেলা। এ জেলা থেকে ১৫ হাজার ৯৩০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ১২ হাজার ২৪৯ জন। পাশের হার ৭৬ দশমিক ৮৯।
গত বারের ৫ম কুষ্টিয়া জেলা এবার ৬ষ্ঠ। এ জেলা থেকে ২৪ হাজার ৪২৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে কৃতকার্য হয়েছে ১৮ হাজার ৫২৬ জন। পাসের হার ৭৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
গত বছরের তৃতীয় মেহেরপুর এবার নেমে গেছে সপ্তমে। এ জেলা থেকে ৮ হাজার ৮২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা নিয়ে পাস করেছে ৬ হয়েছে ১২৫ জন। পাসের হার ৭৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ।
৯ম অবস্থান থেকে ৮ম স্থানে এসেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা। এখান থেকে ১২ হাজার ১৩ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৯ হাজার ২৭ জন। পাসের হার ৭৫ দশমিক ১৪।
ঝিনাইদহ জেলা গতবারের ৬ষ্ঠ অবস্থান থেকে নেমে এবার ৯ম হয়েছে। এখান থেকে ২২ হাজার ১০৯ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ১৫ হাজার ৮৪০ জন। পাসের হার ৭১ দশমিক ৬৫।
আর গত বারের মত এবারও যশোর বোর্ডে তলানিতে অবস্থান করছে মাগুরা। এ জেলা থেকে ১২ হাজার ২৭৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে ৭ হাজার ৯২৭ জন। পাসের হার ৬৪ দশমিক ৫৮।
যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র জানিয়েছেন, বোর্ডের সার্বিক ফলাফলের উন্নতির জন্য বোর্ডের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ অব্যাহত রয়েছে। বোর্ড কর্মকর্তারা বিভিন্ন স্কুল তাৎক্ষণিক পরিদর্শনসহ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন। নিয়মিত লেখাপড়ায় শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। বোর্ডের প্রশ্ন ব্যাংকের মাধ্যমে স্কুলগুলোতে পাঠিয়ে পরীক্ষা গ্রহণ করায় তার প্রভাব ফলাফলে পড়ছে।
চুয়াডাঙ্গা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় জেলা শহরে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এসএসসি ফলাফলে শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে। গতকাল রোববার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এবারে ফলাফলে চুয়াডাঙ্গা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশের হার ৮৬ শতাংশ। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূর হোসেন বিশ্বাস জানান, এবারের ফলাফলে দুইটি গোল্ডেন এ প্লাসসহ চারটি এ প্লাস অর্জন হয়েছে। বিজ্ঞান ও বাণিজ্য বিভাগে শতভাগ পাশ করেছে। এবারে চুয়াডাঙ্গা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও সমমানের পরিক্ষায় ৯৮ জন অংশগ্রহণ করে ৮৪ জন পাশ করে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের ফলাফলে শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি উত্তরত্তর ফলাফল দিনদিন আকর্ষনিয়ভাবে ভালো করছে।
দর্শনা অফিস জানিয়েছে, দর্শনা পৌরসভা এলাকায় এবারের এসএসসি সমমান পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে দর্শনা কেরু উচ্চ বিদ্যালয় ও পরানপুর গ্রামের শিক্ষার্থীরা শীর্ষে অবস্থান করেছে। গতকাল রোববার এসএসসি সমমান পরীক্ষায় ফলাফল প্রকাশের পর দেখা যায় দর্শনা কেরু উচ্চ বিদ্যালয় ও পরানপুর গ্রামের শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশী পাশ করেছে। দর্শনা কেরু উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এ বছর ১৫৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাশ করেছে ১৪৯জন। পাশের হার ৯৭ দশমিক ৩৯%। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ ১জন, এ প্লাস পেয়েছে ৩৩জন, এ মাইনাস গ্রেডে ৬০জন উত্তীর্ণ হয়। দর্শনা পরানপুর গ্রাম থেকে ২৩জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২১জন পাশ করেছে। এদের মধ্যে ১০জন ছাত্রী এবং ১১জন ছাত্র রয়েছে। দর্শনা মেমনগর বিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২৪২জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ১৬০ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৬৬ দশমিক ১২%। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ একজন, এ গ্রেড পেয়েছে ১৩জন এবং ৮২জন ফেল করেছে। দর্শনা বালিকা বিদ্যালয় থেকে ৯৯জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৭৩ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৭৪%। এ গ্রেড পেয়েছে ১৩জন এবং এ মাইনাস পেয়েছে ২৬জন। ফেল করেছে ২৬জন। দর্শনা ডিএস ফাজিল মাদ্রাসা থেকে ৭৯জন পরীক্ষা দিয়ে ৬৮জন পাশ করেছে। পাশের হার ৮৬%। দর্শনা আল হেরা নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৫০জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৩১জন পাশ করেছে। দর্শনা দক্ষিন চাঁদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৯৯জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ৩৯জন পাশ করেছে। ফলে বিদ্যালয় ভিত্তিক কেরু উচ্চ বিদ্যালয় এবং গ্রাম ভিত্তিক পরানপুর গ্রাম পাশের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে বলে জানা গেছে।
মেহেরপুর প্রতিনিধি জানিয়েছে, সারা দেশের ন্যায় মেহেরপুরে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষার ফল গতকাল রবিবার দুপুরে প্রকাশিত হয়েছে। জেলার দু’টি সরকারি বিদ্যালয়ে জিপিএ-৫ পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা এগিয়ে থাকলেও আশানুরূপ ফলাফল করতে ব্যার্থ হয়েছে। মেহেরপুর সদর উপজেলার জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ১১৪ জন। মেহেরপুর জিনিয়াস ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেছিল ৪৩ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ১৯ জন জিপিএ-৫ সহ শতভাগ পাশ করার রেকর্ড ধরে রখেছে। মেহেরপুরের একমাত্র সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মোট ২৫৬ জন পরীক্ষা দিয়েছিল। এর মধ্যে ৩৭ জন জিপিএ-৫ সহ ২১৯ জন পাশ করেছে। এখানে পাশের হার ৮৫.৫৪%। অপরদিকে জেলার একমাত্র সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৪৭ জন পরীক্ষা দিয়ে ৩৯ জন জিপিএ-৫ সহ ২১৮ জন পাশ করেছে। এখানে পাশের হার শতকরা ৮৮.২৫%, মেহেরপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় এন্ড বিএম কলেজের ৬৪% এখান থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন , আমঝুপি মাধ্যমিক বালক বিদ্যালয়ে ৯৭.৫% এখান থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ জন, যাদুখালি স্কুল এন্ড কলেজে ৯৮.১৬% এখান থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন, কুলবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৭৭.৫২% এখান থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন, আশরাফপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৮৪.৮৮%, কাজি কুদরুতুল ইসলাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৩৯.১৩%, মোমিনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৯১.৪৮% এখান থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ জন, শালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৮২.৯১% , আমঝুপি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৭৪.৪৬% এখান থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন, গোভীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৮৪.৪৪%, উজলপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৭৯.৯৯%, টেংরামারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৮২.৬০%, সাহেবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৭১.৭৩%, কলমিজল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৫৮.৩৩%, গোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৭৬.৫৬%, কামদেবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৭৩.৫২%, শোলমারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৭১.৪২% এখান থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন, বাড়িবাকা সীমান্ত মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ৯০.৩২%, ঝাউবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬৭.২১%, ভৈরব মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ৯১.১১% এখান থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন, সীমান্ত মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ৯৩.৭৩%, হাতিভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৮৪.২১%, আর আর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৮৮.৮৮% এখান থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন, হরিরামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৮৮%, বলিয়ারপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৯০.৫৮% এখান থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন, কবি নজরুল শিক্ষা মঞ্জিল ৬৮.২৯%, মদনাডাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ৯১.৬৬%, মোমিনপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ৯৫.১২%, সুবিদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬৮.৭৪%, সিএসসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৯২.১৮% এখান থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন এবং শ্যামপুর শালিকা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ৯৪.৫৯% পাশ করেছে।
মুজিবনগর অফিস জানিয়েছে, মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার চারটি মাদরাসার দাখিল পরীক্ষার ফলাফলে ভরাডুবি হয়েছে। মানিকনগর ডিএসএ আলিম মাদরাসায় এ বছরে ১৬জন নিয়মিত ১জন অনিয়মিত পরীক্ষার্থীর মধ্যে নিয়মিত ১৬ জন ফেল, ১জন পাস, দারিয়াপুর গাউছিয়া দাখিল মাদরাসায় ১৪জনের মধ্যে অনিয়মিত ৩ জন পাস, আয়েশানগর দাখিল মাদরাসায় ১৩ জনর মধ্যে ৮ জন পাস এবং শিবপুর দারুল কুরআন দাখিল মাদরাসায় ২৭ জনের মধ্যে ১২জন পাস। কেউই জিপিএ-৫ পায়নি।
ঝিনাইদহ অফিস জানিয়েছে, ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ থেকে এবারও এসএসসি পরীক্ষায় শতভাগ জিপিএ-৫ এ রেকর্ড গড়েছে। এবার এসএসসি পরীক্ষায় কলেজের সবাই জিপিএ-৫ পেয়েছে। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৫০ জন ক্যাডেট পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ৪৬ জন গোল্ডের প্লাসসহ সকলেই জিপিএ ৫ পেয়েছে। ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের অধ্যক্ষ কর্ণেল সাদিকুল বারী জানান, প্রতিবারের ন্যায় এবারের এসএসসি পরীক্ষায়ও সবাই জিপিএ-৫ পেয়েছে। এই সাফল্যের পিছনে রয়েছে ক্যাডেট কলেজের মনোরম পরিবেশ, শিক্ষার্থীদের অধ্যবসায়, সন্তানদের প্রতি অভিভাবকদের সচেতনতা। তিনি বলেন শিক্ষকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ভাল ফলাফলের মুল কারন।