ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ময়েনের দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৪:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২১
  • / ১৬২ বার পড়া হয়েছে

বৈদেশিক ও কর্মসংস্থান মামলায় সীমান্ত ইউপি চেয়ারম্যান
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বৈদেশিক ও কর্মস্থান আইনে সাজাপ্রাপ্ত জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মঈন উদ্দীন ময়েন কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হলে তাঁকে কারাগারে পাঠনোর নির্দেশ দেন আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান। এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি ওই মামলায় ২ বছরের সাজা দেওয়া হয় মঈন উদ্দীনকে। জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান মঈন উদ্দীন গয়েশপুর গ্রামের ইন্তাজ আলীর ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের সালাউদ্দীনের ছেলে আলমগীর হোসেনকে ভালো বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে ইতালি পাঠানোর প্রস্তাব দেন মঈন। ইতালিতে পাঠানোর নাম করে দুই দফায় ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন চেয়ারম্যান মঈন। পরে আলমগীরকে ইতালি না পাঠালে নানাভাবে অনুরোধ করার পরও সন্তুষ্ট না হলে দামুড়হুদা মডেল থানায় চেয়ারম্যান মঈন উদ্দীনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। ২০১৯ সালের ৩০ মে বৈদেশিক কর্মস্থান ও অভিবাসী আইনে মঈন উদ্দীনকে একমাত্র আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন প্রতারিত আলমগীরের ভাই মিজানুর রহমান। এরপর থানা থেকে চার্জশিট প্রেরণের পর আদালত ৩ সাক্ষীর সাক্ষ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে গত ২৪ জানুয়ারি মঈন উদ্দীনের অনুপস্থিতিতে দুই তাঁকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
এর দুদিন পর গতকাল মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) সাজাপ্রাপ্ত মঈন উদ্দীন আদালতে হাজির হলে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। দুপুরেই তাঁকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ময়েনের দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড

আপলোড টাইম : ০৯:১৪:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২১

বৈদেশিক ও কর্মসংস্থান মামলায় সীমান্ত ইউপি চেয়ারম্যান
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বৈদেশিক ও কর্মস্থান আইনে সাজাপ্রাপ্ত জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মঈন উদ্দীন ময়েন কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হলে তাঁকে কারাগারে পাঠনোর নির্দেশ দেন আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান। এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি ওই মামলায় ২ বছরের সাজা দেওয়া হয় মঈন উদ্দীনকে। জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান মঈন উদ্দীন গয়েশপুর গ্রামের ইন্তাজ আলীর ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের সালাউদ্দীনের ছেলে আলমগীর হোসেনকে ভালো বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে ইতালি পাঠানোর প্রস্তাব দেন মঈন। ইতালিতে পাঠানোর নাম করে দুই দফায় ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন চেয়ারম্যান মঈন। পরে আলমগীরকে ইতালি না পাঠালে নানাভাবে অনুরোধ করার পরও সন্তুষ্ট না হলে দামুড়হুদা মডেল থানায় চেয়ারম্যান মঈন উদ্দীনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। ২০১৯ সালের ৩০ মে বৈদেশিক কর্মস্থান ও অভিবাসী আইনে মঈন উদ্দীনকে একমাত্র আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন প্রতারিত আলমগীরের ভাই মিজানুর রহমান। এরপর থানা থেকে চার্জশিট প্রেরণের পর আদালত ৩ সাক্ষীর সাক্ষ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে গত ২৪ জানুয়ারি মঈন উদ্দীনের অনুপস্থিতিতে দুই তাঁকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
এর দুদিন পর গতকাল মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) সাজাপ্রাপ্ত মঈন উদ্দীন আদালতে হাজির হলে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। দুপুরেই তাঁকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।