ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ময়নাতদন্ত শেষে অন্তরার দাফন সম্পন্ন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১৩:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ নভেম্বর ২০২০
  • / ১৫১ বার পড়া হয়েছে

দামুড়হুদার রামনগরে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা
প্রতিবেদক, দামুড়হুদা:
দামুড়হুদা রামনগরের নিহত গৃহবধূর ময়নাতদন্ত শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের লাশ তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গতকাল আসরের নামাজের পর জানাজা শেষে আলমডাঙ্গার শালিকা গ্রামের কবরস্থানে নিহত অন্তরার দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়। এদিকে, অন্তরার মৃত্যু নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, গত সোমবার দুপুরে ঘরের আড়া থেকে অন্তরার ঝুলন্ত লাশ মাটিতে নামিয়ে পালিয়ে যান স্বামী মিজানুর ও শ্বশুর-শাশুড়ি। পরে খবর পেয়ে সোমবার দুপুরে পুলিশ নিহত অন্তরার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
অন্তরার পরিবার সূত্রে জানা যায়, দামুড়হুদা উপজেলার রামনগর হঠাৎপাড়ার আবুল হোসেন বুড়োর ছেলে মোটরসাইকেল মিস্ত্রি মিজানুর রহমান তিন বছর আগে চুয়াডাঙ্গা দৌলাতদিয়াড়ে বিয়ে করেন। বিয়ের এক বছর পার না হতেই যৌতুকের দাবিতে ঝগড়া-বিবাদ হওয়ার কারণে সেই বউকে তালাক দেন মিজানুর। পরে বিয়ে করেন আলমডাঙ্গা থানার শালিকা গ্রামের আদম আলির মেয়ে অন্তরা খাতুন কল্পনাকে। বিয়ে হওয়ার পর থেকে অন্তরার সাথে প্রায়ই তাঁদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকত। চার মাস আগে মিজানুর দোকান করার জন্য টাকা চাই আন্তরার কাছে। টাকা দিতে না পাড়ায় আন্তরাকে মারধর করে মিজানুর রহমান। সে দফায় পাশের বাড়িতে পালিয়ে রক্ষা পাই অন্তরা। পরে অন্তরার বাবা এসে তাকে নিয়ে যায়। পরে মিজানুর আবার অন্তরকে ফিরিয়ে আনেন। সর্বশেষ আন্তরার খালুর বাড়ি চিৎলায় দাওয়াত খেতে যাওয়া নিয়ে মিজানুরের সঙ্গে ঝগড়া বিবাদ বাঁেধ। ঝগড়া বিবাদের কথা শুনে অন্তরার পিতা আদম জামাইয়ের কাছে বার বার ফোন দিলে মিজানুর ফোন রিসিভ না করলে আদম আলী মেয়ের শ্বশুর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। জামাইবাড়ি পৌঁছানের আগেই ভালাইপুর মোড়ে এসে লোক মারফত শুনতে পান তার মেয়ে মারা গেছে।
অন্তরার চাচাতো ভাই মাজহারুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার বোনের বিয়ে দেওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন সময় যৌতুকের দাবি করত মিজানুর। আমার চাচা ভ্যানচালক হওয়া সত্বেও তাকে দু-দফায় ৯০ হাজার টাকা দিয়েছেন। এবার মোটরসাইকেল দিতে না পারায় আমার বোনকে মিজানুরসহ তার পিতা মাতা মিলে হত্যা করে আড়ায় ঝুলিয়ে রাখে। তারা যদি হত্যা না করে থাকবে তাহলে তারা পালিয়ে যাবে কেন? ’
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক বলেন, ‘ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের লাশ পরিবারে কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এবিষয়ে এখন পর্যন্ত নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ময়নাতদন্ত শেষে অন্তরার দাফন সম্পন্ন

আপলোড টাইম : ১০:১৩:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ নভেম্বর ২০২০

দামুড়হুদার রামনগরে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা
প্রতিবেদক, দামুড়হুদা:
দামুড়হুদা রামনগরের নিহত গৃহবধূর ময়নাতদন্ত শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের লাশ তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গতকাল আসরের নামাজের পর জানাজা শেষে আলমডাঙ্গার শালিকা গ্রামের কবরস্থানে নিহত অন্তরার দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়। এদিকে, অন্তরার মৃত্যু নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, গত সোমবার দুপুরে ঘরের আড়া থেকে অন্তরার ঝুলন্ত লাশ মাটিতে নামিয়ে পালিয়ে যান স্বামী মিজানুর ও শ্বশুর-শাশুড়ি। পরে খবর পেয়ে সোমবার দুপুরে পুলিশ নিহত অন্তরার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
অন্তরার পরিবার সূত্রে জানা যায়, দামুড়হুদা উপজেলার রামনগর হঠাৎপাড়ার আবুল হোসেন বুড়োর ছেলে মোটরসাইকেল মিস্ত্রি মিজানুর রহমান তিন বছর আগে চুয়াডাঙ্গা দৌলাতদিয়াড়ে বিয়ে করেন। বিয়ের এক বছর পার না হতেই যৌতুকের দাবিতে ঝগড়া-বিবাদ হওয়ার কারণে সেই বউকে তালাক দেন মিজানুর। পরে বিয়ে করেন আলমডাঙ্গা থানার শালিকা গ্রামের আদম আলির মেয়ে অন্তরা খাতুন কল্পনাকে। বিয়ে হওয়ার পর থেকে অন্তরার সাথে প্রায়ই তাঁদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকত। চার মাস আগে মিজানুর দোকান করার জন্য টাকা চাই আন্তরার কাছে। টাকা দিতে না পাড়ায় আন্তরাকে মারধর করে মিজানুর রহমান। সে দফায় পাশের বাড়িতে পালিয়ে রক্ষা পাই অন্তরা। পরে অন্তরার বাবা এসে তাকে নিয়ে যায়। পরে মিজানুর আবার অন্তরকে ফিরিয়ে আনেন। সর্বশেষ আন্তরার খালুর বাড়ি চিৎলায় দাওয়াত খেতে যাওয়া নিয়ে মিজানুরের সঙ্গে ঝগড়া বিবাদ বাঁেধ। ঝগড়া বিবাদের কথা শুনে অন্তরার পিতা আদম জামাইয়ের কাছে বার বার ফোন দিলে মিজানুর ফোন রিসিভ না করলে আদম আলী মেয়ের শ্বশুর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। জামাইবাড়ি পৌঁছানের আগেই ভালাইপুর মোড়ে এসে লোক মারফত শুনতে পান তার মেয়ে মারা গেছে।
অন্তরার চাচাতো ভাই মাজহারুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার বোনের বিয়ে দেওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন সময় যৌতুকের দাবি করত মিজানুর। আমার চাচা ভ্যানচালক হওয়া সত্বেও তাকে দু-দফায় ৯০ হাজার টাকা দিয়েছেন। এবার মোটরসাইকেল দিতে না পারায় আমার বোনকে মিজানুরসহ তার পিতা মাতা মিলে হত্যা করে আড়ায় ঝুলিয়ে রাখে। তারা যদি হত্যা না করে থাকবে তাহলে তারা পালিয়ে যাবে কেন? ’
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক বলেন, ‘ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের লাশ পরিবারে কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এবিষয়ে এখন পর্যন্ত নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’