ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মোচিকের শ্রমিকদের বেতন ও আখের মূল্য পরিশোদের দাবিতে প্রধানমন্ত্রি বরাবর স্মারকলিপি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০১:২৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ এপ্রিল ২০২০
  • / ১৮৮ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, কালীগঞ্জ:
ঝিনাইদেরহ মোবারকগঞ্জ চিনিকল (মোচিক) শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন, চাষিদের আখের মূল্য পরিশোধসহ পাঁচ দফা দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২০ এপ্রিল) সকাল ১০টায় মিলের শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সূবর্ণা রানী সাহার হাতে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন। স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন মিলটির শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. গোলাম রসুল, সাধারণ সম্পাদক মো. শরিফুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলামসহ নেতৃবৃন্দ।
শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি গোলাম রসুল জানান, মিলের শ্রমিক-কর্মচারীদের গত তিন মাসের ৫ কোটি ৭২ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে। এছাড়া সদ্য শেষ হওয়া মাড়াই মৌসুমের কৃষকদের আখের টাকা বাকি রয়েছে ১৯ কোটি ২২ লাখ টাকা। তিনি আরও জানান, করোনা সংকটে মিলটি বকেয়া বেতন ও আখের টাকা পরিশোধ না করায় শ্রমিক-কর্মচারী ও কৃষকেরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বিষয়টি নিয়ে করপোরেশনকে বারবার অবহিত করার পরও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৯-২০২০ মাড়াই মৌসুমে ৯৬ কার্যদিবসে ১ লাখ ৩৯ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে প্রায় ৭ হাজার মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন করে। মাড়াই মৌসুম শেষ হওয়ার দুই মাস পার হলে মিল গোড়াউনে এখনো প্রায় ৫ হাজার মেট্রিক টন চিনি অবিক্রিত রয়েছে। চিনি বিক্রি না হওয়ায় শ্রমিক কর্মচারী ও আখচাষিদের পাওয়া পরিশোধ করতে পারছে না মিল কর্তৃপক্ষ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মোচিকের শ্রমিকদের বেতন ও আখের মূল্য পরিশোদের দাবিতে প্রধানমন্ত্রি বরাবর স্মারকলিপি

আপলোড টাইম : ০১:২৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ এপ্রিল ২০২০

প্রতিবেদক, কালীগঞ্জ:
ঝিনাইদেরহ মোবারকগঞ্জ চিনিকল (মোচিক) শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন, চাষিদের আখের মূল্য পরিশোধসহ পাঁচ দফা দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২০ এপ্রিল) সকাল ১০টায় মিলের শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সূবর্ণা রানী সাহার হাতে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন। স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন মিলটির শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. গোলাম রসুল, সাধারণ সম্পাদক মো. শরিফুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলামসহ নেতৃবৃন্দ।
শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি গোলাম রসুল জানান, মিলের শ্রমিক-কর্মচারীদের গত তিন মাসের ৫ কোটি ৭২ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে। এছাড়া সদ্য শেষ হওয়া মাড়াই মৌসুমের কৃষকদের আখের টাকা বাকি রয়েছে ১৯ কোটি ২২ লাখ টাকা। তিনি আরও জানান, করোনা সংকটে মিলটি বকেয়া বেতন ও আখের টাকা পরিশোধ না করায় শ্রমিক-কর্মচারী ও কৃষকেরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বিষয়টি নিয়ে করপোরেশনকে বারবার অবহিত করার পরও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৯-২০২০ মাড়াই মৌসুমে ৯৬ কার্যদিবসে ১ লাখ ৩৯ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে প্রায় ৭ হাজার মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন করে। মাড়াই মৌসুম শেষ হওয়ার দুই মাস পার হলে মিল গোড়াউনে এখনো প্রায় ৫ হাজার মেট্রিক টন চিনি অবিক্রিত রয়েছে। চিনি বিক্রি না হওয়ায় শ্রমিক কর্মচারী ও আখচাষিদের পাওয়া পরিশোধ করতে পারছে না মিল কর্তৃপক্ষ।