ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মেহেরপুর গাংনী থানার এএসআই ও চুয়াডাঙ্গার সন্তান আবুল বাসার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৫৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারী ২০১৮
  • / ৪৬২ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ বারো বাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত : আজ দাফন
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঝিনাইদ-যশোর মহাসড়কের কালিগঞ্জ উপজেলার বারবাজার মহিষাহাটি নামক মোড়ে দ্রুতগতির একটি যাত্রীবাহী বাসের সাথে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে আবুল বাশার (৩৬) নামের পুলিশের এক এএসআই নিহত হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকাল আনুমানিক ৫টার দিকে এ দূর্ঘটনা ঘটে। আজ তার দাফনকার্য সম্পন্ন করা হবে বলে জানা যায়।
জানা গেছে, একটি মামলায় সাক্ষি দেওয়ার জন্য গতকাল সোমবার বিকালে মোটরসাইকেলযোগে ঝিনাইদহ থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা হোন। পথিমধ্যে ঝিনাইদ-যশোর মহাসড়কের কালিগঞ্জ উপজেলার বারবাজার মহিষাহাটি নামকস্থানে পৌছালে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগতির একটি যাত্রীবাহী মোটরসাইকেলে থাকা বাশার দারোগাকে সামনে স্বজোরে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। এতে বাশার মোটরসাইকেল নিয়ে ছিটকে রাস্তায় পড়ে মাথায় প্রচন্ড আঘাত পায়। এছাড়া বাসের ধাক্কায় তার শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এসময় স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্য বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক এএসআই বাশারের অবস্থার আরো অবনতি হওয়ায় তাকে রেফার্ড করেন। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়। সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত পুলিশের সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবুল চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার আইলহাস লক্ষীপুর গ্রামের আফিজ উদ্দিনের ছেলে। নিহত পুলিশ কর্মকর্তা বাশার মেহেরপুর গাংনী থানার অধিনস্ত দলা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এর আগে ঝিনাইদহ সদর থানায় কর্মরত থাকাকালীন ঝিনাইদহ শহরে স্থায়ী বসবাস শুরু করেন। গতকাল তিনি ঝিনাইদহের বাসা থেকে স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানের সাথে এক দিনের ছুটি কাটিয়ে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কে জানতো এই ছুটি হবে তার জীবনের শেষ ছুটি। মেহেরপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুস্তাফিজুর রহমান জানান, গত রবিবার বাশার খুলনায় সাক্ষী দেয়ার একদিনের জন্য ছুটি নেয়। তার বাসা ঝিনাইদহে থাকায় সেখানে পরিবারের সাথে একদিন থেকে সোমবার খুলনায় সাক্ষী দিতে যাচ্ছিলো।


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাই, গতকাল সন্ধ্যার দিকে বাস ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখানকার ডাক্তার তাকে ঢাকায় রেফার্ড করে।
মেহেরপুর গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আবুল বাশার গাংনী থানার দলা পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত ছিল। সে এবার এসআই পদে পরিক্ষাও দিয়েছিল। র‌্যাংকে মেহেরপুর জেলার ভিতরে এক নম্বরে ছিল। কিন্তু তার এই স্বপ্ন আর পূরণ হলোনা। যাত্রীবাহী ঘাতক বাস কেড়ে নিল তার প্রাণ। আমরা একজন সৎ ও ভাল অফিসারকে হারালাম। এর আগে সে ঝিনাইদহ সদর থানায় কর্মরত ছিলেন। সে ২০০৪ সালের মার্চ মাসে চাকরিতে যোগদান করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রীসহ দুই শিশুকন্যা রেখে গেছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মেহেরপুর গাংনী থানার এএসআই ও চুয়াডাঙ্গার সন্তান আবুল বাসার

আপলোড টাইম : ১১:৫৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারী ২০১৮

ঝিনাইদহ বারো বাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত : আজ দাফন
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঝিনাইদ-যশোর মহাসড়কের কালিগঞ্জ উপজেলার বারবাজার মহিষাহাটি নামক মোড়ে দ্রুতগতির একটি যাত্রীবাহী বাসের সাথে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে আবুল বাশার (৩৬) নামের পুলিশের এক এএসআই নিহত হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকাল আনুমানিক ৫টার দিকে এ দূর্ঘটনা ঘটে। আজ তার দাফনকার্য সম্পন্ন করা হবে বলে জানা যায়।
জানা গেছে, একটি মামলায় সাক্ষি দেওয়ার জন্য গতকাল সোমবার বিকালে মোটরসাইকেলযোগে ঝিনাইদহ থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা হোন। পথিমধ্যে ঝিনাইদ-যশোর মহাসড়কের কালিগঞ্জ উপজেলার বারবাজার মহিষাহাটি নামকস্থানে পৌছালে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগতির একটি যাত্রীবাহী মোটরসাইকেলে থাকা বাশার দারোগাকে সামনে স্বজোরে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। এতে বাশার মোটরসাইকেল নিয়ে ছিটকে রাস্তায় পড়ে মাথায় প্রচন্ড আঘাত পায়। এছাড়া বাসের ধাক্কায় তার শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এসময় স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্য বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক এএসআই বাশারের অবস্থার আরো অবনতি হওয়ায় তাকে রেফার্ড করেন। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়। সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত পুলিশের সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবুল চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার আইলহাস লক্ষীপুর গ্রামের আফিজ উদ্দিনের ছেলে। নিহত পুলিশ কর্মকর্তা বাশার মেহেরপুর গাংনী থানার অধিনস্ত দলা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এর আগে ঝিনাইদহ সদর থানায় কর্মরত থাকাকালীন ঝিনাইদহ শহরে স্থায়ী বসবাস শুরু করেন। গতকাল তিনি ঝিনাইদহের বাসা থেকে স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানের সাথে এক দিনের ছুটি কাটিয়ে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কে জানতো এই ছুটি হবে তার জীবনের শেষ ছুটি। মেহেরপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুস্তাফিজুর রহমান জানান, গত রবিবার বাশার খুলনায় সাক্ষী দেয়ার একদিনের জন্য ছুটি নেয়। তার বাসা ঝিনাইদহে থাকায় সেখানে পরিবারের সাথে একদিন থেকে সোমবার খুলনায় সাক্ষী দিতে যাচ্ছিলো।


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাই, গতকাল সন্ধ্যার দিকে বাস ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখানকার ডাক্তার তাকে ঢাকায় রেফার্ড করে।
মেহেরপুর গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আবুল বাশার গাংনী থানার দলা পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত ছিল। সে এবার এসআই পদে পরিক্ষাও দিয়েছিল। র‌্যাংকে মেহেরপুর জেলার ভিতরে এক নম্বরে ছিল। কিন্তু তার এই স্বপ্ন আর পূরণ হলোনা। যাত্রীবাহী ঘাতক বাস কেড়ে নিল তার প্রাণ। আমরা একজন সৎ ও ভাল অফিসারকে হারালাম। এর আগে সে ঝিনাইদহ সদর থানায় কর্মরত ছিলেন। সে ২০০৪ সালের মার্চ মাসে চাকরিতে যোগদান করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রীসহ দুই শিশুকন্যা রেখে গেছেন।