ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মেহেরপুরে মুরগীর দাম চড়া, সবজি স্থিতিশীল

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:৪০:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ মে ২০১৮
  • / ৩৬০ বার পড়া হয়েছে

মাসুদ রানা: রোজা শুরু হওয়ার পর দ্বিতীয় সপ্তাহে মেহেরপুরের বাজারে শাক সবজির মূল্য কিছুটা কমতে শুরু করলেও বেড়েছে মুরগীর দাম। গতকালও বাজারে আড়তের চেয়ে খুচরা বাজারে শসার মূল্য ২০ টাকা কেজি প্রতি বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। গতকাল শনিবার মেহেরপুরের বাজারে (আড়ত) শসা ১৮-২০ টাকা বিক্রি হয়েছে। বাজারে সেই শসা ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। আলু, পিয়াজ, রসুন আগের দামে বিক্রি হয়েছে। কাঁচা ঝালের মূল্য কেজি প্রতি ২-১ টাকা কম বেশি ওটা নামা করেছে। তবে অন্য বছরের তুলনায় এবার রমজান মাসে বেগুনে আগুন লাগতে দেখা যায়নি। বেগুনের মূল্য ১২ টাকা থেকে শুরু করে প্রকারভেদে ২৫ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। এতে কাঁচা পেঁপে এবং কাঁচা পাকা কলার মূল্য সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। কেননা কাঁচা পেপে ৪০-৪৫ টাকা। কাঁচা কলা ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে পাকা কলার যেনো আগুন লেগেই রয়েছে। অন্য বছর গুলোতে পাকা কলা সবচেয়ে সস্তা দরে বিক্রি হলেও এবারের চিত্র ভিন্ন। প্রকারভেদে পাকা কলা ১৬ টাকা থেকে শুরু করে ৪০ টাকা পর্যন্ত হালি বিক্রি করা হচ্ছে। এদিকে বাজারে মাছের আমদানী প্রচুর রয়েছে। দামেও সাধারন মানুষের নাগালের মধ্যে থাকলেও আগুন ছাড়াচ্ছে মুরগীর বাজারে। গতকাল দেশি মুরগী ৪শ’ টাকা সোনালী ২৮০ টাকা ব্রয়লার ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বেশি মুরগীর আমদানী এমনিতেই অনেক কম। সোনালী মুরগীর সাদ প্রায় দেশি মুরগীর মতো। তাই অনেকে দেশি মুরগীর পরিবর্তে সোনালী মুরগীর দিকে ঝুঁকে পড়ছে। আর এতেই ব্যবসায়ীরা পেয়ে বসেছে। রোজার কয়েকদিন আগেও যে সোনালী মুরগী ১৮০-২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে, সেই সোনালী মুরগী এখন ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। হঠাৎ করে সোনালী মুরগীতে এতো আগুন লাগলো কেন। ব্যবসায়ীদের জবাব আমদানী কম। বেশি মূল্যে কিনতে হচ্ছে। এদিকে পবিত্র রমজান মাসেও রোগা পাতলা ছাগল, ভেড়া জবায় করে খাসির নামে এবং দামে বিক্রি করা হচ্ছে। বিষয়গুলো নিয়ে বাজার মনিটরিং কমিটির উচিত বাজারের দিকে বেশি করে লক্ষ্য করা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মেহেরপুরে মুরগীর দাম চড়া, সবজি স্থিতিশীল

আপলোড টাইম : ০৫:৪০:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ মে ২০১৮

মাসুদ রানা: রোজা শুরু হওয়ার পর দ্বিতীয় সপ্তাহে মেহেরপুরের বাজারে শাক সবজির মূল্য কিছুটা কমতে শুরু করলেও বেড়েছে মুরগীর দাম। গতকালও বাজারে আড়তের চেয়ে খুচরা বাজারে শসার মূল্য ২০ টাকা কেজি প্রতি বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। গতকাল শনিবার মেহেরপুরের বাজারে (আড়ত) শসা ১৮-২০ টাকা বিক্রি হয়েছে। বাজারে সেই শসা ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। আলু, পিয়াজ, রসুন আগের দামে বিক্রি হয়েছে। কাঁচা ঝালের মূল্য কেজি প্রতি ২-১ টাকা কম বেশি ওটা নামা করেছে। তবে অন্য বছরের তুলনায় এবার রমজান মাসে বেগুনে আগুন লাগতে দেখা যায়নি। বেগুনের মূল্য ১২ টাকা থেকে শুরু করে প্রকারভেদে ২৫ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। এতে কাঁচা পেঁপে এবং কাঁচা পাকা কলার মূল্য সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। কেননা কাঁচা পেপে ৪০-৪৫ টাকা। কাঁচা কলা ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে পাকা কলার যেনো আগুন লেগেই রয়েছে। অন্য বছর গুলোতে পাকা কলা সবচেয়ে সস্তা দরে বিক্রি হলেও এবারের চিত্র ভিন্ন। প্রকারভেদে পাকা কলা ১৬ টাকা থেকে শুরু করে ৪০ টাকা পর্যন্ত হালি বিক্রি করা হচ্ছে। এদিকে বাজারে মাছের আমদানী প্রচুর রয়েছে। দামেও সাধারন মানুষের নাগালের মধ্যে থাকলেও আগুন ছাড়াচ্ছে মুরগীর বাজারে। গতকাল দেশি মুরগী ৪শ’ টাকা সোনালী ২৮০ টাকা ব্রয়লার ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বেশি মুরগীর আমদানী এমনিতেই অনেক কম। সোনালী মুরগীর সাদ প্রায় দেশি মুরগীর মতো। তাই অনেকে দেশি মুরগীর পরিবর্তে সোনালী মুরগীর দিকে ঝুঁকে পড়ছে। আর এতেই ব্যবসায়ীরা পেয়ে বসেছে। রোজার কয়েকদিন আগেও যে সোনালী মুরগী ১৮০-২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে, সেই সোনালী মুরগী এখন ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। হঠাৎ করে সোনালী মুরগীতে এতো আগুন লাগলো কেন। ব্যবসায়ীদের জবাব আমদানী কম। বেশি মূল্যে কিনতে হচ্ছে। এদিকে পবিত্র রমজান মাসেও রোগা পাতলা ছাগল, ভেড়া জবায় করে খাসির নামে এবং দামে বিক্রি করা হচ্ছে। বিষয়গুলো নিয়ে বাজার মনিটরিং কমিটির উচিত বাজারের দিকে বেশি করে লক্ষ্য করা।