ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মেলা বন্ধ : দুই লাখ টাকার ফেরতযোগ্য জামানত বাজেয়াপ্ত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • / ৩৪০ বার পড়া হয়েছে

মেলা পরিচালনায় জেলা প্রশাসকের ১৬ শর্ত ভঙ্গ করায় আলমডাঙ্গার বড় গাংনী স্কুলমাঠের

কয়েক লক্ষাধিক টাকার বিক্রি হওয়া লটারির টিকিটের ড্র না হওয়ায় জনমনে ক্ষোভ
নিজস্ব প্রতিবেদক: আলমডাঙ্গা বড় গাংনী বাজারের উন্নয়ন কল্পে ঈদ আনন্দ মেলার নামে গাংনী স্কুল মাঠের লটারী, জুয়া, সার্কাস ও জাদুর নামে অশ্লীল কর্মকান্ড বন্ধ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে এ মেলা বন্ধ করে দেয় আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দিনব্যপী ‘চাঁদের কণা’ নামক লটারী বিক্রয় প্রতিনিধিরা টিকিট ও টিনের বাক্স নিয়ে উচ্চ স্বরে মাইক বাঁজিয়ে কয়েক লক্ষাধিক টাকার টিকিট বিক্রি করলেও ড্র না দিয়ে জনসাধারণের সাথে প্রতারনা করে। এ নিয়ে জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রতারিত জনসাধারণ জেলা প্রশাসকের নিকট লটারী কার্যক্রমের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার পূর্বক আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এদিকে জেলা প্রশাসকের দেওয়া ১৬টি শর্তভঙ্গ করায় মেলার অনুমোদন নেওয়ার সময় জমাকৃত (ফেরতযোগ্য) ২ লক্ষ টাকার জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
জানা যায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার বড় গাংনী বাজার উন্নয়ন কল্পে গাংনী স্কুল মাঠে দেশীয় পণ্য সামগ্রির দোকান, মোটরসাইকেল খেলা, নাগরদোলা, গ্রামীণ যাত্রাপালা, সার্কাস এবং শিশুদের সামগ্রি প্রদর্শনী ও বিক্রয়ের কথা বলে জেলা প্রশাসন থেকে মেলার অনুমতি নেয় বড় গাংনী আনন্দ মেলা কমিটির সভাপতি মো. মিনারুল ইসলাম (রাজু)। মেলার মাঠে উচ্চস্বরে মাইক বাঁজানো, কোন ধরণের জুয়া, অশ্লীলতা না হতে দেওয়াসহ রাত ১০টার মধ্যে মেলার কার্যক্রম বন্ধ রাখার শর্তে অনুমতি নিলেও সেখানে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এনে ‘চাঁদের কণা’ নামক লটারীর নামে প্রতারনা শুরু হয় প্রথমদিন থেকেই; যার কোন অনুমোদন জেলা প্রশাসন দেয়নি। প্রতিদিন প্রায় ২ শতাধিক ব্যাটারী চালিত ভ্যান, অটো ভাড়া করে তাতে মাইক লাগিয়ে ২০ টাকা মুল্যের টিকিট বিক্রি করে তারা। সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রত্যন্ত পল্লিতে গিয়ে আরটিআর মোটর সাইকেলের প্রলোভন দেখিয়ে বাহারী প্রচারের মাধ্যমে জনসাধারণকে বোকা বানিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় তারা। এদিকে সার্কাস ও জাদুর নামেও শুরু হয় অশ্লীলতা। সন্ধ্যার পর থেকে গভীরে রাত পর্যন্ত চলে অশ্লীল নৃত্য প্রদর্শন; যদিও রাত ১০টার পরই মেলার সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার শর্ত নিয়েছিল মেলা কমিটি। এসব অবৈধ কর্মকান্ডে এলাকার লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। এ নিয়ে জেলা প্রশাসকের ফেসবুক ও মোবাইলে একাধিক অভিযোগ আসতে থাকলে যথাযথ প্রমাণ সাপেক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজাদ জাহানকে এ মেলা বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করলে মেলা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মেলা বন্ধ : দুই লাখ টাকার ফেরতযোগ্য জামানত বাজেয়াপ্ত

আপলোড টাইম : ১০:১৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭

মেলা পরিচালনায় জেলা প্রশাসকের ১৬ শর্ত ভঙ্গ করায় আলমডাঙ্গার বড় গাংনী স্কুলমাঠের

কয়েক লক্ষাধিক টাকার বিক্রি হওয়া লটারির টিকিটের ড্র না হওয়ায় জনমনে ক্ষোভ
নিজস্ব প্রতিবেদক: আলমডাঙ্গা বড় গাংনী বাজারের উন্নয়ন কল্পে ঈদ আনন্দ মেলার নামে গাংনী স্কুল মাঠের লটারী, জুয়া, সার্কাস ও জাদুর নামে অশ্লীল কর্মকান্ড বন্ধ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে এ মেলা বন্ধ করে দেয় আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দিনব্যপী ‘চাঁদের কণা’ নামক লটারী বিক্রয় প্রতিনিধিরা টিকিট ও টিনের বাক্স নিয়ে উচ্চ স্বরে মাইক বাঁজিয়ে কয়েক লক্ষাধিক টাকার টিকিট বিক্রি করলেও ড্র না দিয়ে জনসাধারণের সাথে প্রতারনা করে। এ নিয়ে জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রতারিত জনসাধারণ জেলা প্রশাসকের নিকট লটারী কার্যক্রমের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার পূর্বক আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এদিকে জেলা প্রশাসকের দেওয়া ১৬টি শর্তভঙ্গ করায় মেলার অনুমোদন নেওয়ার সময় জমাকৃত (ফেরতযোগ্য) ২ লক্ষ টাকার জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
জানা যায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার বড় গাংনী বাজার উন্নয়ন কল্পে গাংনী স্কুল মাঠে দেশীয় পণ্য সামগ্রির দোকান, মোটরসাইকেল খেলা, নাগরদোলা, গ্রামীণ যাত্রাপালা, সার্কাস এবং শিশুদের সামগ্রি প্রদর্শনী ও বিক্রয়ের কথা বলে জেলা প্রশাসন থেকে মেলার অনুমতি নেয় বড় গাংনী আনন্দ মেলা কমিটির সভাপতি মো. মিনারুল ইসলাম (রাজু)। মেলার মাঠে উচ্চস্বরে মাইক বাঁজানো, কোন ধরণের জুয়া, অশ্লীলতা না হতে দেওয়াসহ রাত ১০টার মধ্যে মেলার কার্যক্রম বন্ধ রাখার শর্তে অনুমতি নিলেও সেখানে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এনে ‘চাঁদের কণা’ নামক লটারীর নামে প্রতারনা শুরু হয় প্রথমদিন থেকেই; যার কোন অনুমোদন জেলা প্রশাসন দেয়নি। প্রতিদিন প্রায় ২ শতাধিক ব্যাটারী চালিত ভ্যান, অটো ভাড়া করে তাতে মাইক লাগিয়ে ২০ টাকা মুল্যের টিকিট বিক্রি করে তারা। সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রত্যন্ত পল্লিতে গিয়ে আরটিআর মোটর সাইকেলের প্রলোভন দেখিয়ে বাহারী প্রচারের মাধ্যমে জনসাধারণকে বোকা বানিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় তারা। এদিকে সার্কাস ও জাদুর নামেও শুরু হয় অশ্লীলতা। সন্ধ্যার পর থেকে গভীরে রাত পর্যন্ত চলে অশ্লীল নৃত্য প্রদর্শন; যদিও রাত ১০টার পরই মেলার সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার শর্ত নিয়েছিল মেলা কমিটি। এসব অবৈধ কর্মকান্ডে এলাকার লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। এ নিয়ে জেলা প্রশাসকের ফেসবুক ও মোবাইলে একাধিক অভিযোগ আসতে থাকলে যথাযথ প্রমাণ সাপেক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজাদ জাহানকে এ মেলা বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করলে মেলা বন্ধ করে দেওয়া হয়।