ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মৃত মা-বাবার জন্য সন্তানের করণীয়

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮
  • / ৩৬৬ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: সন্তানের ওপর মা-বাবার অধিকারের শেষ নেই। একজন সন্তান তার বাবা-মায়ের জন্য জীবনের সবটুকু দিয়েও যদি কিছু করার চেষ্টা করে তবুও তাদের অধিকার আদায় করতে পারবে না। মা-বাবার জীবদ্দশায় যেমন সন্তানের ওপর কিছু অধিকার থাকে তেমনি তাদের মৃত্যুর পরও সন্তানের কিছু করণীয় আছে। সেই করণীয় কী আল্লাহর রাসুল সা. একটি হাদিসে তা ব্যাখ্যা করেছেন। আবু উসাইদ (রা.) বলেন, আমরা রাসুল (সা.) এর কাছে বসেছিলাম। এমতাবস্থায় বনু সালমা গোত্রের এক ব্যক্তি রাসুলের কাছে এলেন। তিনি বললেন হে আল্লাহর রাসুল (সা.), মা-বাপের ইন্তেকালের পরও কি তাদের কোনো হক বাকি থাকে, যা আমার প্রদান করা উচিত? রাসুল (সা.) বললেন হ্যাঁ, তাদের জন্য দোয়া করবে, ক্ষমা চাইবে, তারা যদি (শরিয়ত সম্মতভাবে) কোনো অসিয়ত করে গিয়ে থাকে, তবে তা পূরণ করবে। যাদের সঙ্গে মা-বাপের আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিল, তাদের সঙ্গে আত্মীয়তার বন্ধন বজায় রাখবে এবং মা-বাবার বন্ধুবান্ধবের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবে (আবু দাউদ)। একজন সন্তান হিসেবে বাবা-মায়ের জন্য তাদের মৃত্যুর পর কী করা উচিত এর বিবরণ এই হাদিসে রয়েছে। সন্তান তার মৃত মা-বাবার জন্য দোয়া করবে এটাই সবচেয়ে বড় করণীয়। আমাদের সমাজে সাধারণত বাবা-মা মারা যাওয়ার পর সন্তান তাদের জন্য দোয়ার আয়োজন করেন, কোনো মাওলানা সাহেবকে ডেকে দোয়া করান। এর চেয়ে অনেক বেশি উপকারী হলো নিজে দোয়া করা। সন্তান তার মা-বাবার জন্য যে আবেগ ও দরদ নিয়ে দোয়া করবে তা অন্য কারও দ্বারা সম্ভব নয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মৃত মা-বাবার জন্য সন্তানের করণীয়

আপলোড টাইম : ১০:১৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮

ধর্ম ডেস্ক: সন্তানের ওপর মা-বাবার অধিকারের শেষ নেই। একজন সন্তান তার বাবা-মায়ের জন্য জীবনের সবটুকু দিয়েও যদি কিছু করার চেষ্টা করে তবুও তাদের অধিকার আদায় করতে পারবে না। মা-বাবার জীবদ্দশায় যেমন সন্তানের ওপর কিছু অধিকার থাকে তেমনি তাদের মৃত্যুর পরও সন্তানের কিছু করণীয় আছে। সেই করণীয় কী আল্লাহর রাসুল সা. একটি হাদিসে তা ব্যাখ্যা করেছেন। আবু উসাইদ (রা.) বলেন, আমরা রাসুল (সা.) এর কাছে বসেছিলাম। এমতাবস্থায় বনু সালমা গোত্রের এক ব্যক্তি রাসুলের কাছে এলেন। তিনি বললেন হে আল্লাহর রাসুল (সা.), মা-বাপের ইন্তেকালের পরও কি তাদের কোনো হক বাকি থাকে, যা আমার প্রদান করা উচিত? রাসুল (সা.) বললেন হ্যাঁ, তাদের জন্য দোয়া করবে, ক্ষমা চাইবে, তারা যদি (শরিয়ত সম্মতভাবে) কোনো অসিয়ত করে গিয়ে থাকে, তবে তা পূরণ করবে। যাদের সঙ্গে মা-বাপের আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিল, তাদের সঙ্গে আত্মীয়তার বন্ধন বজায় রাখবে এবং মা-বাবার বন্ধুবান্ধবের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবে (আবু দাউদ)। একজন সন্তান হিসেবে বাবা-মায়ের জন্য তাদের মৃত্যুর পর কী করা উচিত এর বিবরণ এই হাদিসে রয়েছে। সন্তান তার মৃত মা-বাবার জন্য দোয়া করবে এটাই সবচেয়ে বড় করণীয়। আমাদের সমাজে সাধারণত বাবা-মা মারা যাওয়ার পর সন্তান তাদের জন্য দোয়ার আয়োজন করেন, কোনো মাওলানা সাহেবকে ডেকে দোয়া করান। এর চেয়ে অনেক বেশি উপকারী হলো নিজে দোয়া করা। সন্তান তার মা-বাবার জন্য যে আবেগ ও দরদ নিয়ে দোয়া করবে তা অন্য কারও দ্বারা সম্ভব নয়।