ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মৃত ঘোষণার পর নড়ে উঠল নবজাতক

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০১:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মে ২০২০
  • / ২৪৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় সদর হাসপাতালে ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর নবজাতকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এ সময় নবজাতকে শেষবারের মতো পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কাছে গেলে হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্সের হাতেই নড়ে ওঠে শিশুটি। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাতটায় জন্ম নেওয়া নবজাতক বর্তমানে হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. মাহাবুবুর রহমান মিলনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জানা যায়, সুরুজ আলীর স্ত্রী শিরিনা আক্তার ছয় মাসের অন্তসত্ত্বা ছিলেন। বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শিরিনার প্রসব বেদনা উঠলে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। বাচ্চা ভূমিষ্ট হওয়ার জন্য আরও চার মাস বাকি থাকায় তাঁকে গাইনি ওয়ার্ডেই চিকিৎসাধীন রাখা হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে স্বাভাবিক প্রসবের মাধ্যমে পুত্রসন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। কিন্তু জন্মের পর বাচ্চাটির কোনো সাড়া শব্দ না থাকায় কর্তব্যরত সিনিয়র স্টাফ নার্স শিশুটি মৃত হয়েছে বলে জানান। এর কিছুক্ষণ পর নবজাতকের মৃত্যু বিষয়ে নিশ্চিত হতে শেষবারের মতো পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কোলে নিলে নড়ে ওঠে শিশুটি।
শিরিনা খাতুন বলেন, বুধবার রাতে প্রসব বেদনা উঠলে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। বৃহস্পতিবার সকালে স্বাভাবিক প্রসবের মাধ্যমে পুত্রসন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। কিন্তু তিনি মৃত সন্তান প্রসব করেছেন বলে জানান হাসপাতালের নার্স। কিছুক্ষণ পর তিনি বাচ্চাটিকে দেখতে চাইলে একজন নার্স বাচ্চাটি কোলে নিলে বাচ্চাটি নড়ে ওঠে।
শিরিনার ননদ শারমিন বলেন, ‘হাসপাতালের নার্স প্রথমে শিশুটি জন্মের পূর্বেই মারা গেছে বলে জানান। কিছুক্ষণ পর শিশুটিকে আরেকবার পরীক্ষার জন্য কোলে নিতেই নড়ে ওঠে শিশুটি। এ সময় আমাদের চিৎকারে শিশুকে দ্রুত জরুরি বিভাগে নিয়ে যান তাঁরা। পরে চিকিৎসকের নির্দেশে অক্সিজেন দিয়ে চিকিৎসা শুরু করা হয়।’
শিশুর বাবা সুরুজ আলী জানান, ‘বাচ্চাটি ছয় মাসে জন্ম নিয়েছে। আমি পরে সব কিছু জানতে পেরেছি। তবে আমার বাচ্চাটি এখন ভালো আছে। আল্লাহ ওর হায়াত দিয়েছে।’
সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহাবুবুর রহমান মিলন জানান, ‘শিশুটির যখন জন্ম হয়, তখন একেবারেই শ্বাস-প্রশ্বাস চলছিল না বলে জানতে পেরেছি। সঠিক সময়ের অনেক আগেই জন্ম নেওয়ায় শিশুটির হার্ট ও লাঞ্চ এখনও পরিপুষ্ট হয়নি। শিশুটির অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। শিশুটিকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মৃত ঘোষণার পর নড়ে উঠল নবজাতক

আপলোড টাইম : ১০:০১:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মে ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় সদর হাসপাতালে ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর নবজাতকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এ সময় নবজাতকে শেষবারের মতো পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কাছে গেলে হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্সের হাতেই নড়ে ওঠে শিশুটি। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাতটায় জন্ম নেওয়া নবজাতক বর্তমানে হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. মাহাবুবুর রহমান মিলনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জানা যায়, সুরুজ আলীর স্ত্রী শিরিনা আক্তার ছয় মাসের অন্তসত্ত্বা ছিলেন। বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শিরিনার প্রসব বেদনা উঠলে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। বাচ্চা ভূমিষ্ট হওয়ার জন্য আরও চার মাস বাকি থাকায় তাঁকে গাইনি ওয়ার্ডেই চিকিৎসাধীন রাখা হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে স্বাভাবিক প্রসবের মাধ্যমে পুত্রসন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। কিন্তু জন্মের পর বাচ্চাটির কোনো সাড়া শব্দ না থাকায় কর্তব্যরত সিনিয়র স্টাফ নার্স শিশুটি মৃত হয়েছে বলে জানান। এর কিছুক্ষণ পর নবজাতকের মৃত্যু বিষয়ে নিশ্চিত হতে শেষবারের মতো পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কোলে নিলে নড়ে ওঠে শিশুটি।
শিরিনা খাতুন বলেন, বুধবার রাতে প্রসব বেদনা উঠলে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। বৃহস্পতিবার সকালে স্বাভাবিক প্রসবের মাধ্যমে পুত্রসন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। কিন্তু তিনি মৃত সন্তান প্রসব করেছেন বলে জানান হাসপাতালের নার্স। কিছুক্ষণ পর তিনি বাচ্চাটিকে দেখতে চাইলে একজন নার্স বাচ্চাটি কোলে নিলে বাচ্চাটি নড়ে ওঠে।
শিরিনার ননদ শারমিন বলেন, ‘হাসপাতালের নার্স প্রথমে শিশুটি জন্মের পূর্বেই মারা গেছে বলে জানান। কিছুক্ষণ পর শিশুটিকে আরেকবার পরীক্ষার জন্য কোলে নিতেই নড়ে ওঠে শিশুটি। এ সময় আমাদের চিৎকারে শিশুকে দ্রুত জরুরি বিভাগে নিয়ে যান তাঁরা। পরে চিকিৎসকের নির্দেশে অক্সিজেন দিয়ে চিকিৎসা শুরু করা হয়।’
শিশুর বাবা সুরুজ আলী জানান, ‘বাচ্চাটি ছয় মাসে জন্ম নিয়েছে। আমি পরে সব কিছু জানতে পেরেছি। তবে আমার বাচ্চাটি এখন ভালো আছে। আল্লাহ ওর হায়াত দিয়েছে।’
সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহাবুবুর রহমান মিলন জানান, ‘শিশুটির যখন জন্ম হয়, তখন একেবারেই শ্বাস-প্রশ্বাস চলছিল না বলে জানতে পেরেছি। সঠিক সময়ের অনেক আগেই জন্ম নেওয়ায় শিশুটির হার্ট ও লাঞ্চ এখনও পরিপুষ্ট হয়নি। শিশুটির অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। শিশুটিকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।