ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মূল্যবোধের প্রয়োজনীয়তা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:৪৮:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ অগাস্ট ২০১৭
  • / ৩৮৭ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের সমস্যা দূর করতে সন্তানদের সঠিক ধর্মীয় শিক্ষা নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে তিনি পরিবারের পিতা-মাতাদের তাদের উঠতি বয়সী সন্তানদের আরো বেশি সঙ্গ দিয়ে তাদের মনের কথা শোনা ও বোঝার আহ্বান জানিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এমন আহ্বান অবশ্যই সময়োচিত। আমরা মনে করি, পাঠ্যসূচিতে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী পাঠ অন্তর্ভুক্ত করা এ মুহূর্তে জরুরি। সেই সঙ্গে অনুরোধ থাকবে, কোরান-হাদিস এবং ধর্মীয় শিক্ষাকে শিক্ষার প্রতিটি স্তরে অন্তর্ভুক্ত ও পাঠ নিশ্চিত করা যায় কিনা, সে বিষয়ে গভীর চিন্তাভাবনা করার বিষয়েও। চলমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে বিশ্লেষকদের অভিমত হলো প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা বর্তমান প্রজš§কে ধর্মীয় শিক্ষা থেকে বিচ্যুত করে তুলছে। পক্ষান্তরে অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অনেকেই উগ্রবাদী সংগঠন, ভ্রান্ত মতবাদ ও শিক্ষার দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে। পেশা ও বিত্ত-বৈভবের মোহে অতি ব্যস্ত পিতা-মাতারা সন্তানদের শিক্ষা ও জীবনযাত্রার পেছনে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করলেও তারা তাদের সময় বা সঙ্গ দিতে পারছেন না। তাছাড়া পরিবারের সদস্যরা যার যার মতো ব্যস্ত থাকার কারণে একই ছাদের নিচে থাকার পরও পরস্পরের মধ্যে এক ধরনের বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি হচ্ছে। এমতাবস্থায়, সত্যিকার অর্থে ধর্মীয় শিক্ষা এবং পারিবারিক বন্ধনকে আরো সুসংহত করা গেলে সন্তানের বিপথগামিতা রোধ করা অনেকাংশেই সম্ভব। বাংলাদেশসহ এ উপমহাদেশের হিন্দু-মুসলমানরা হাজার বছর ধরে নিজস্ব ধর্মীয় শিক্ষা-সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ অটুট রেখে শান্তি ও সৌহার্দ্য পূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে। শত শত বছরের সুলতানি ও মুঘল শাসনের সময়ও কোনো ধর্মীয় জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদের ইতিহাস নেই। সারাবিশ্বে চলমান সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের উত্থানের পেছনে নানাবিধ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়াবলি জড়িত। এক অর্থে এ সমস্যা এখন আর কোনো দেশের একক সমস্যা নয়। এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা। তবে দেশীয় বাস্তবতা কিংবা অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ও জাতিগত বিরোধকে কাজে লাগিয়ে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো তাদের থাবা বিস্তার করে থাকে। অনেক দেরিতে হলেও তরুণ সমাজের বিপথগামিতা এবং সন্ত্রাসী কর্মকা-ে তাদের জড়িয়ে পড়ার সামাজিক-সাংস্কৃতিক উৎসমুখের দিকে দৃষ্টি পড়েছে সরকারের। ধর্মীয় শিক্ষা এবং পারিবারিক সম্পর্কের বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় ও অর্থবহ করে তোলার প্রয়োজনীয়তার এই উপলব্ধি সমাজে একটি ইতিবাচক আবহ সৃষ্টি করতে পারে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মূল্যবোধের প্রয়োজনীয়তা

আপলোড টাইম : ০৫:৪৮:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ অগাস্ট ২০১৭

ধর্ম ডেস্ক: সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের সমস্যা দূর করতে সন্তানদের সঠিক ধর্মীয় শিক্ষা নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে তিনি পরিবারের পিতা-মাতাদের তাদের উঠতি বয়সী সন্তানদের আরো বেশি সঙ্গ দিয়ে তাদের মনের কথা শোনা ও বোঝার আহ্বান জানিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এমন আহ্বান অবশ্যই সময়োচিত। আমরা মনে করি, পাঠ্যসূচিতে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী পাঠ অন্তর্ভুক্ত করা এ মুহূর্তে জরুরি। সেই সঙ্গে অনুরোধ থাকবে, কোরান-হাদিস এবং ধর্মীয় শিক্ষাকে শিক্ষার প্রতিটি স্তরে অন্তর্ভুক্ত ও পাঠ নিশ্চিত করা যায় কিনা, সে বিষয়ে গভীর চিন্তাভাবনা করার বিষয়েও। চলমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে বিশ্লেষকদের অভিমত হলো প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা বর্তমান প্রজš§কে ধর্মীয় শিক্ষা থেকে বিচ্যুত করে তুলছে। পক্ষান্তরে অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অনেকেই উগ্রবাদী সংগঠন, ভ্রান্ত মতবাদ ও শিক্ষার দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে। পেশা ও বিত্ত-বৈভবের মোহে অতি ব্যস্ত পিতা-মাতারা সন্তানদের শিক্ষা ও জীবনযাত্রার পেছনে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করলেও তারা তাদের সময় বা সঙ্গ দিতে পারছেন না। তাছাড়া পরিবারের সদস্যরা যার যার মতো ব্যস্ত থাকার কারণে একই ছাদের নিচে থাকার পরও পরস্পরের মধ্যে এক ধরনের বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি হচ্ছে। এমতাবস্থায়, সত্যিকার অর্থে ধর্মীয় শিক্ষা এবং পারিবারিক বন্ধনকে আরো সুসংহত করা গেলে সন্তানের বিপথগামিতা রোধ করা অনেকাংশেই সম্ভব। বাংলাদেশসহ এ উপমহাদেশের হিন্দু-মুসলমানরা হাজার বছর ধরে নিজস্ব ধর্মীয় শিক্ষা-সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ অটুট রেখে শান্তি ও সৌহার্দ্য পূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে। শত শত বছরের সুলতানি ও মুঘল শাসনের সময়ও কোনো ধর্মীয় জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদের ইতিহাস নেই। সারাবিশ্বে চলমান সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের উত্থানের পেছনে নানাবিধ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়াবলি জড়িত। এক অর্থে এ সমস্যা এখন আর কোনো দেশের একক সমস্যা নয়। এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা। তবে দেশীয় বাস্তবতা কিংবা অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ও জাতিগত বিরোধকে কাজে লাগিয়ে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো তাদের থাবা বিস্তার করে থাকে। অনেক দেরিতে হলেও তরুণ সমাজের বিপথগামিতা এবং সন্ত্রাসী কর্মকা-ে তাদের জড়িয়ে পড়ার সামাজিক-সাংস্কৃতিক উৎসমুখের দিকে দৃষ্টি পড়েছে সরকারের। ধর্মীয় শিক্ষা এবং পারিবারিক সম্পর্কের বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় ও অর্থবহ করে তোলার প্রয়োজনীয়তার এই উপলব্ধি সমাজে একটি ইতিবাচক আবহ সৃষ্টি করতে পারে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।