ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মুন্সিগঞ্জে বাড়ি ঘর ভাংচুর ও দখলের চেষ্টার অভিযোগ!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:০৪:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮
  • / ২৫৫ বার পড়া হয়েছে

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি (আলমডাঙ্গা): আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জে অভিনব কায়দায় বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার সকাল ১০টার দিকে এই ঘটনাটি ঘটেছে। এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা কোর্টে বাড়ির মালিক রেজাউল করিম বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের মুন্সিগঞ্জ বাজারে রেজাউল করিম দীর্ঘ ৫০ বছর যাবত বসবাস করে আসছিলো। ইতোমধ্যে তার ভাতিজা রেজা আল মামুন গত ২ বছর একই স্থানে বসবাস শুরু করে। ২৬ শতক জমির মধ্যে উভয় ১৩ শতক জমির মালিকানা হয়। কিন্তু রেজা আল মামুনের ১৩ শতক জমির মধ্যে রেজাউল করিমের বাথরুম ও রান্না ঘর পড়ে। এবিষয়ে বাড়ির মালিক রেজাউল করিম চুয়াডাঙ্গা কোর্টে বন্টনের জন্য মামলা করেন। ইতোমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের উপস্থিতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা রেজা আল মামুনের জমির মধ্যে থাকা রান্না ঘর ও বাথরুম জেহালা ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ অনুযায়ী মিমাংসা করে। এসময় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির সামনে রেজা আল মামুন চাচা রেজাউল করিমকে কোর্টে থেকে মামলা তুলে নেয়ার শর্তে জমি রেজিষ্ট্রি করে নেয়ার কথা বলে। উভয়পক্ষ মিমাংসাকৃত সিদ্ধান্ত মেনে নেয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাড়ির মালিক রেজাউল করিম চুয়াডাঙ্গা কোর্টের মামলা তুলে নেয়। কিন্তু মামলা তুলে নেয়ার পরে ভাতিজা রেজা জমি রেজিষ্ট্রি করতে টালবাহানা করতে থাকে। ২৪ সেপ্টেম্বর হঠাৎ রেজা আল মামুনের নেতৃত্বে ৩০ থেকে ৩৫ জন এসে বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে এবং দখলে নেয়ার চেষ্টা করে। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি ভূক্তভোগী অনুরোধ করেছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মুন্সিগঞ্জে বাড়ি ঘর ভাংচুর ও দখলের চেষ্টার অভিযোগ!

আপলোড টাইম : ০৯:০৪:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি (আলমডাঙ্গা): আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জে অভিনব কায়দায় বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার সকাল ১০টার দিকে এই ঘটনাটি ঘটেছে। এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা কোর্টে বাড়ির মালিক রেজাউল করিম বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের মুন্সিগঞ্জ বাজারে রেজাউল করিম দীর্ঘ ৫০ বছর যাবত বসবাস করে আসছিলো। ইতোমধ্যে তার ভাতিজা রেজা আল মামুন গত ২ বছর একই স্থানে বসবাস শুরু করে। ২৬ শতক জমির মধ্যে উভয় ১৩ শতক জমির মালিকানা হয়। কিন্তু রেজা আল মামুনের ১৩ শতক জমির মধ্যে রেজাউল করিমের বাথরুম ও রান্না ঘর পড়ে। এবিষয়ে বাড়ির মালিক রেজাউল করিম চুয়াডাঙ্গা কোর্টে বন্টনের জন্য মামলা করেন। ইতোমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের উপস্থিতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা রেজা আল মামুনের জমির মধ্যে থাকা রান্না ঘর ও বাথরুম জেহালা ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ অনুযায়ী মিমাংসা করে। এসময় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির সামনে রেজা আল মামুন চাচা রেজাউল করিমকে কোর্টে থেকে মামলা তুলে নেয়ার শর্তে জমি রেজিষ্ট্রি করে নেয়ার কথা বলে। উভয়পক্ষ মিমাংসাকৃত সিদ্ধান্ত মেনে নেয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাড়ির মালিক রেজাউল করিম চুয়াডাঙ্গা কোর্টের মামলা তুলে নেয়। কিন্তু মামলা তুলে নেয়ার পরে ভাতিজা রেজা জমি রেজিষ্ট্রি করতে টালবাহানা করতে থাকে। ২৪ সেপ্টেম্বর হঠাৎ রেজা আল মামুনের নেতৃত্বে ৩০ থেকে ৩৫ জন এসে বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে এবং দখলে নেয়ার চেষ্টা করে। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি ভূক্তভোগী অনুরোধ করেছেন।