ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মুজিব বর্ষে ১৪ হাজার মানুষকে প্রশিক্ষণ দেবে বিদ্যুৎ বিভাগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • / ২৮৬ বার পড়া হয়েছে

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের ভিডিও কনফারেন্স
বিশেষ প্রতিবেদক:
আগামী ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত সময়কে মুজিব বর্ষ ঘোষণা করেছে সরকার। এ সময়ের মধ্যে বৈদ্যুতিক কর্মপেশায় স্বল্পশিক্ষিত ১৪ হাজার মানুষকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈদ্যুতিক কর্মপেশায় দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টির প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এ ভিডিও কনফারেন্সে সঙ্গে সংযুক্ত হয় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ ৬৪ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও বিভিন্ন ইউএনও অফিস। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) খোন্দকার ফরহাদ আহমদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ইয়াহ্ ইয়া খান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা পারভীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কানাই লাল সরকার, চুয়াডাঙ্গা ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী সবুক্তগীন, সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রহমান, আহসান হাবীবসহ মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও পিজিসিবির কর্মকর্তা এবং প্রশিক্ষণার্থীরা।
ভিডিও কনফারেন্সে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, প্রতি ব্যাচের মেয়াদ হবে ৩৬০ ঘণ্টা বা দুই মাস। কোর্সে যাঁরা দক্ষতার পরিচয় দেবেন, তাঁদের বিদেশি ভাষায় প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করা হবে।
নসরুল হামিদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন ও সোনার বাংলা গড়ার জন্য সবচেয়ে বড় প্রয়াস দক্ষ জনগোষ্ঠী। বিদ্যুৎ বিভাগ দ্রুততার সঙ্গে এ প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করতে পারবে। আমাদের বিদ্যুৎ বিভাগ প্রতি বছর প্রায় ৭০ ঘণ্টা বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। বিদ্যুৎ বিভাগের সাফল্যের পেছনে প্রশিক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বিদেশেও আমরা প্রশিক্ষণের জন্য লোক পাঠাচ্ছি। আধুনিক ও বড় প্রকল্পগুলো আসছে। সেগুলো চালানোর জন্যও দক্ষ লোক দরকার। সে অনুযায়ী প্রশিক্ষণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’
প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, ‘আপনারা নিজের এলাকায় বসে প্রশিক্ষণ নেবেন। এরপর কাউন্সিলিং শুরু হবে, দেখা হবে, প্রশিক্ষণ পেয়ে তাঁরা কী করতে পারেন।’ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সেটা জনশক্তি রপ্তানি হোক বা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা শুরু করা হোক, এ সুযোগগুলোকে আরও বেশি জানাতে পারলে তাঁরা আরও আগ্রহী হবেন। যেকোনো জ্ঞানের অন্বেষণ বৃথা যায় না। মানুষের সেবা করাই আমাদের ধর্ম। সবাই সেবার মনোভাব নিয়ে মানুষের কাছে গেলে আমাদের মধ্যে হৃদ্যতা হবে, যেটা সমাজের মঙ্গল করে। দুই মাসের প্রশিক্ষণে সবাই লাভবান হবেন।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মুজিব বর্ষে ১৪ হাজার মানুষকে প্রশিক্ষণ দেবে বিদ্যুৎ বিভাগ

আপলোড টাইম : ০৯:৫৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের ভিডিও কনফারেন্স
বিশেষ প্রতিবেদক:
আগামী ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত সময়কে মুজিব বর্ষ ঘোষণা করেছে সরকার। এ সময়ের মধ্যে বৈদ্যুতিক কর্মপেশায় স্বল্পশিক্ষিত ১৪ হাজার মানুষকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈদ্যুতিক কর্মপেশায় দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টির প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এ ভিডিও কনফারেন্সে সঙ্গে সংযুক্ত হয় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ ৬৪ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও বিভিন্ন ইউএনও অফিস। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) খোন্দকার ফরহাদ আহমদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ইয়াহ্ ইয়া খান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা পারভীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কানাই লাল সরকার, চুয়াডাঙ্গা ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী সবুক্তগীন, সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রহমান, আহসান হাবীবসহ মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও পিজিসিবির কর্মকর্তা এবং প্রশিক্ষণার্থীরা।
ভিডিও কনফারেন্সে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, প্রতি ব্যাচের মেয়াদ হবে ৩৬০ ঘণ্টা বা দুই মাস। কোর্সে যাঁরা দক্ষতার পরিচয় দেবেন, তাঁদের বিদেশি ভাষায় প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করা হবে।
নসরুল হামিদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন ও সোনার বাংলা গড়ার জন্য সবচেয়ে বড় প্রয়াস দক্ষ জনগোষ্ঠী। বিদ্যুৎ বিভাগ দ্রুততার সঙ্গে এ প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করতে পারবে। আমাদের বিদ্যুৎ বিভাগ প্রতি বছর প্রায় ৭০ ঘণ্টা বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। বিদ্যুৎ বিভাগের সাফল্যের পেছনে প্রশিক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বিদেশেও আমরা প্রশিক্ষণের জন্য লোক পাঠাচ্ছি। আধুনিক ও বড় প্রকল্পগুলো আসছে। সেগুলো চালানোর জন্যও দক্ষ লোক দরকার। সে অনুযায়ী প্রশিক্ষণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’
প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, ‘আপনারা নিজের এলাকায় বসে প্রশিক্ষণ নেবেন। এরপর কাউন্সিলিং শুরু হবে, দেখা হবে, প্রশিক্ষণ পেয়ে তাঁরা কী করতে পারেন।’ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সেটা জনশক্তি রপ্তানি হোক বা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা শুরু করা হোক, এ সুযোগগুলোকে আরও বেশি জানাতে পারলে তাঁরা আরও আগ্রহী হবেন। যেকোনো জ্ঞানের অন্বেষণ বৃথা যায় না। মানুষের সেবা করাই আমাদের ধর্ম। সবাই সেবার মনোভাব নিয়ে মানুষের কাছে গেলে আমাদের মধ্যে হৃদ্যতা হবে, যেটা সমাজের মঙ্গল করে। দুই মাসের প্রশিক্ষণে সবাই লাভবান হবেন।’