ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মুক্তি মিলছে না খালেদা জিয়ার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:০২:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / ২৪৮ বার পড়া হয়েছে

জামিন আবেদন খারিজ, রোববার সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ
সমীকরণ প্রতিবেদন:
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগেও জামিন মেলেনি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার। তাঁর সম্মতি থাকলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে দ্রুত অ্যাডভান্স ট্রিটমেন্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছে আপিল বিভাগ। গতকাল প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ সর্বসম্মত এ আদেশ দেয়। এ মামলায় সাত বছরের দ- মাথায় নিয়ে করা জামিন আবেদন হাই কোর্টে খারিজ হওয়ার পর আপিল বিভাগে এসেছিলেন খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে গতকাল কড়া নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয় সুপ্রিম কোর্ট এলাকায়। এজলাসে আইনজীবীদের প্রবেশেও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। এদিন আপিল বিভাগের তালিকাভুক্ত ছাড়া কোনো আইনজীবীকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি প্রধান বিচারপতির এজলাসে। অন্তত তিন স্থানে পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে হয়েছে গণমাধ্যমকর্মীদেরও। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করা হয়েছে প্রধান বিচারপতির এজলাসের কার্যক্রম। এ মামলার গত শুনানিতে (৫ ডিসেম্বর) বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের হট্টগোলের জেরেই এসব ক্যামেরা বসানো হয় বলে সুপ্রিম কোর্ট সূত্রের তথ্য। শুনানি চলাকালে এজলাসের বাইরে দুই পক্ষের আইনজীবীরা পাল্টাপাল্টি মিছিল করেছেন।
আদেশের পর রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিএনপি নেতা-কর্মীরা তৎক্ষণাৎ বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। খালেদা জিয়ার পক্ষে জামিন আবেদনের শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। তাদের সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট সগির হোসেন। এ সময় খালেদা জিয়ার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন নিতাই রায়চৌধুরী, মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ আরও কয়েকজন। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং দুদকের পক্ষে অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান শুনানি করেন। এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন, সাবেক সম্পাদক ড. মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী প্রমুখ।
গত বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়। ১০ লাখ টাকা অর্থদন্ড করা হয়। এ সাজা বাতিল চেয়ে গত বছরের ১৮ নভেম্বর হাই কোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া। শুনানি নিয়ে গত ৩০ এপ্রিল হাই কোর্ট ওই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে। একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে বিচারিক আদালতের দেওয়া জরিমানার আদেশ স্থগিত করে। এ ছাড়া বিচারিক আদালতে থাকা মামলার নথি তলব করে হাই কোর্ট। ২০ জুন মামলার নথি হাই কোর্টে আসার পর খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন আদালতে তুলে ধরেন তাঁর আইনজীবীরা। ৩১ জুলাই জামিন আবেদন খারিজ করে হাই কোর্ট।
খালেদার আইনজীবীদের প্রতিক্রিয়া :
আদেশের পর তৎক্ষণাৎ প্রতিক্রিয়ায় খন্দকার মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘জামিন চেয়ে আমরা আইনি লড়াই চালিয়েছি। সাত বছরের সাজায় জামিন না দেওয়া নজিরবিহীন। এটি সুপ্রিম কোর্টের জন্য একটি কলঙ্কজনক ঘটনা হয়ে থাকবে।’ পরে এক সংবাদ সম্মেলনে অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সরকারের রোষানলে পড়ে সর্বোচ্চ আদালত থেকেও জামিন পেলেন না। আমরা মনে করি, গণতান্ত্রিক নেত্রী খালেদা জিয়া রাজনৈতিকভাবে নিষ্পেষিত।’ জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন ধরে আমরা সরকারের প্রস্তুতি দেখছিলাম। আমাদের আইনজীবীদের বিভিন্নভাবে হেনস্তা করা হচ্ছিল। সরকারের উসকানিতে কোনো আইনজীবী পা দিইনি।’
অ্যাটর্নি জেনারেল যা বললেন :
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিশেষ অবনতি হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি বলেন, ‘উচ্চ আদালতে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত যে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে, তা আদালতে পড়ে শোনানো হয়েছে। তাতে আমরা দেখিয়েছি, আসলে তাঁর শারীরিক অবস্থার বিশেষ কোনো অবনতি হয়নি। যে রকম ছিল, সে রকমই আছে।’ তিনি বলেন, ‘জামিন আবেদন নাকচ হলেও খালেদা জিয়ার অনুমতিসাপেক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকদের তাঁকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
রোববার সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ :
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আদেশে জাতি স্তম্ভিত হয়েছে বলে দাবি করেছে বিএনপি। গত রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, যে রায় হয়েছে সেই রায়ে আমরা হতাশ এবং ক্ষুব্ধ। জাতি স্তম্ভিত শুধু নয়, ক্ষুব্ধ। মানুষের মধ্যে প্রত্যাশা ছিল যে, অন্তত সর্বোচ্চ বিচারালয় বিচার ব্যবস্থায় যা আমাদের শেষ ভরসাস্থল, যেখান থেকে ন্যায়বিচার পাওয়া যাবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে বেগম খালেদা জিয়া সেই ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। সর্বোচ্চ আদালতের আদেশের প্রতিবাদে আগামী রবিবার সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘আমরা স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, রবিবার সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা মহানগরে প্রতি থানায় বেলা ২টার পর থেকে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এই হচ্ছে আপাতত কর্মসূচি। পরবর্তীতে আরও কর্মসূচি ঘোষণা করব।’
স্কাইপে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে মির্জা ফখরুল ছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন। এর আগে দলের ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন খালেদা জিয়ার মামলায় আপিল বিভাগের রায় বিস্তারিতভাবে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের কাছে তুলে ধরেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মুক্তি মিলছে না খালেদা জিয়ার

আপলোড টাইম : ১১:০২:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯

জামিন আবেদন খারিজ, রোববার সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ
সমীকরণ প্রতিবেদন:
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগেও জামিন মেলেনি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার। তাঁর সম্মতি থাকলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে দ্রুত অ্যাডভান্স ট্রিটমেন্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছে আপিল বিভাগ। গতকাল প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ সর্বসম্মত এ আদেশ দেয়। এ মামলায় সাত বছরের দ- মাথায় নিয়ে করা জামিন আবেদন হাই কোর্টে খারিজ হওয়ার পর আপিল বিভাগে এসেছিলেন খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে গতকাল কড়া নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয় সুপ্রিম কোর্ট এলাকায়। এজলাসে আইনজীবীদের প্রবেশেও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। এদিন আপিল বিভাগের তালিকাভুক্ত ছাড়া কোনো আইনজীবীকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি প্রধান বিচারপতির এজলাসে। অন্তত তিন স্থানে পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে হয়েছে গণমাধ্যমকর্মীদেরও। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করা হয়েছে প্রধান বিচারপতির এজলাসের কার্যক্রম। এ মামলার গত শুনানিতে (৫ ডিসেম্বর) বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের হট্টগোলের জেরেই এসব ক্যামেরা বসানো হয় বলে সুপ্রিম কোর্ট সূত্রের তথ্য। শুনানি চলাকালে এজলাসের বাইরে দুই পক্ষের আইনজীবীরা পাল্টাপাল্টি মিছিল করেছেন।
আদেশের পর রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিএনপি নেতা-কর্মীরা তৎক্ষণাৎ বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। খালেদা জিয়ার পক্ষে জামিন আবেদনের শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। তাদের সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট সগির হোসেন। এ সময় খালেদা জিয়ার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন নিতাই রায়চৌধুরী, মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ আরও কয়েকজন। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং দুদকের পক্ষে অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান শুনানি করেন। এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন, সাবেক সম্পাদক ড. মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী প্রমুখ।
গত বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়। ১০ লাখ টাকা অর্থদন্ড করা হয়। এ সাজা বাতিল চেয়ে গত বছরের ১৮ নভেম্বর হাই কোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া। শুনানি নিয়ে গত ৩০ এপ্রিল হাই কোর্ট ওই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে। একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে বিচারিক আদালতের দেওয়া জরিমানার আদেশ স্থগিত করে। এ ছাড়া বিচারিক আদালতে থাকা মামলার নথি তলব করে হাই কোর্ট। ২০ জুন মামলার নথি হাই কোর্টে আসার পর খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন আদালতে তুলে ধরেন তাঁর আইনজীবীরা। ৩১ জুলাই জামিন আবেদন খারিজ করে হাই কোর্ট।
খালেদার আইনজীবীদের প্রতিক্রিয়া :
আদেশের পর তৎক্ষণাৎ প্রতিক্রিয়ায় খন্দকার মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘জামিন চেয়ে আমরা আইনি লড়াই চালিয়েছি। সাত বছরের সাজায় জামিন না দেওয়া নজিরবিহীন। এটি সুপ্রিম কোর্টের জন্য একটি কলঙ্কজনক ঘটনা হয়ে থাকবে।’ পরে এক সংবাদ সম্মেলনে অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সরকারের রোষানলে পড়ে সর্বোচ্চ আদালত থেকেও জামিন পেলেন না। আমরা মনে করি, গণতান্ত্রিক নেত্রী খালেদা জিয়া রাজনৈতিকভাবে নিষ্পেষিত।’ জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন ধরে আমরা সরকারের প্রস্তুতি দেখছিলাম। আমাদের আইনজীবীদের বিভিন্নভাবে হেনস্তা করা হচ্ছিল। সরকারের উসকানিতে কোনো আইনজীবী পা দিইনি।’
অ্যাটর্নি জেনারেল যা বললেন :
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিশেষ অবনতি হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি বলেন, ‘উচ্চ আদালতে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত যে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে, তা আদালতে পড়ে শোনানো হয়েছে। তাতে আমরা দেখিয়েছি, আসলে তাঁর শারীরিক অবস্থার বিশেষ কোনো অবনতি হয়নি। যে রকম ছিল, সে রকমই আছে।’ তিনি বলেন, ‘জামিন আবেদন নাকচ হলেও খালেদা জিয়ার অনুমতিসাপেক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকদের তাঁকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
রোববার সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ :
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আদেশে জাতি স্তম্ভিত হয়েছে বলে দাবি করেছে বিএনপি। গত রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, যে রায় হয়েছে সেই রায়ে আমরা হতাশ এবং ক্ষুব্ধ। জাতি স্তম্ভিত শুধু নয়, ক্ষুব্ধ। মানুষের মধ্যে প্রত্যাশা ছিল যে, অন্তত সর্বোচ্চ বিচারালয় বিচার ব্যবস্থায় যা আমাদের শেষ ভরসাস্থল, যেখান থেকে ন্যায়বিচার পাওয়া যাবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে বেগম খালেদা জিয়া সেই ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। সর্বোচ্চ আদালতের আদেশের প্রতিবাদে আগামী রবিবার সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘আমরা স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, রবিবার সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা মহানগরে প্রতি থানায় বেলা ২টার পর থেকে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এই হচ্ছে আপাতত কর্মসূচি। পরবর্তীতে আরও কর্মসূচি ঘোষণা করব।’
স্কাইপে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে মির্জা ফখরুল ছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন। এর আগে দলের ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন খালেদা জিয়ার মামলায় আপিল বিভাগের রায় বিস্তারিতভাবে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের কাছে তুলে ধরেন।