ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মিয়ানমার থেকে চাল কিনবে বাংলাদেশ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:১০:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • / ২৯৪ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ ডেস্ক: মিয়ানমারের কাছ থেকে এক লাখ টন আতপ চাল কিনবে বাংলাদেশ। প্রতি টনের দাম পড়বে ৪৪২ ডলার। আগামী তিন মাসের মধ্যে মিয়ানমার বাংলাদেশকে এ চাল দেবে। গতকাল সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা জানান। কত দিনের মধ্যে এই চাল আসবে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, কেবল সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অনুমোদন পেলে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির পর সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন লাগবে। এরপর এলসি খোলা হবে। তারপর চাল আসবে। রোহিঙ্গা সংকটের জন্য মিয়ানমার সরকারকে দায়ী করে দেশটি থেকে চাল আমদানি না করতে সরকারকে আহ্বান জানিয়ে আসছিল গণজাগরণ মঞ্চসহ বিভিন্ন সংগঠন। দুই দফা বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতির পাশাপাশি চালের মজুদ তলানিতে নেমে আসার প্রেক্ষাপটে সরকার গত অর্থবছরের শেষ দিকে চাল আমদানির উদ্যোগ নেয়। সেইসঙ্গে বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি উৎসাহিত করতে ২৬ শতাংশ থেকে শুল্ক নামিয়ে আনা হয় দুই শতাংশে। বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ার খোলা বাজারে বিক্রির (ওএমএস) চালের দাম ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৩০ টাকা করেছে সরকার। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কামরুল বলেন, প্রথম দিনের চেয়ে সোমবার ওএমএস এ বিক্রি বেড়েছে, প্রতিটি ট্রাকের সামনে আগের দিনের চেয়ে বেশি ভিড় দেখা গেছে। ৭ সেপ্টেম্বর খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের নেতৃত্ব একটি প্রতিনিধিদল মিয়ানমার যায়। ৮ সেপ্টেম্বর তিন লাখ টন চাল আমদানির ব্যাপারে সমঝোতা স্মারক সই হয়। সেখানে কথা হয়, মিয়ানমারের একটি দল বাংলাদেশে আসবে। তখন চাল আমদানির ব্যাপারে আলোচনা হবে। আলোচনা শেষে এক লাখ টন আতপ চাল কেনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মিয়ানমার থেকে চাল কিনবে বাংলাদেশ

আপলোড টাইম : ০২:১০:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭

সমীকরণ ডেস্ক: মিয়ানমারের কাছ থেকে এক লাখ টন আতপ চাল কিনবে বাংলাদেশ। প্রতি টনের দাম পড়বে ৪৪২ ডলার। আগামী তিন মাসের মধ্যে মিয়ানমার বাংলাদেশকে এ চাল দেবে। গতকাল সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা জানান। কত দিনের মধ্যে এই চাল আসবে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, কেবল সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অনুমোদন পেলে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির পর সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন লাগবে। এরপর এলসি খোলা হবে। তারপর চাল আসবে। রোহিঙ্গা সংকটের জন্য মিয়ানমার সরকারকে দায়ী করে দেশটি থেকে চাল আমদানি না করতে সরকারকে আহ্বান জানিয়ে আসছিল গণজাগরণ মঞ্চসহ বিভিন্ন সংগঠন। দুই দফা বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতির পাশাপাশি চালের মজুদ তলানিতে নেমে আসার প্রেক্ষাপটে সরকার গত অর্থবছরের শেষ দিকে চাল আমদানির উদ্যোগ নেয়। সেইসঙ্গে বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি উৎসাহিত করতে ২৬ শতাংশ থেকে শুল্ক নামিয়ে আনা হয় দুই শতাংশে। বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ার খোলা বাজারে বিক্রির (ওএমএস) চালের দাম ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৩০ টাকা করেছে সরকার। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কামরুল বলেন, প্রথম দিনের চেয়ে সোমবার ওএমএস এ বিক্রি বেড়েছে, প্রতিটি ট্রাকের সামনে আগের দিনের চেয়ে বেশি ভিড় দেখা গেছে। ৭ সেপ্টেম্বর খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের নেতৃত্ব একটি প্রতিনিধিদল মিয়ানমার যায়। ৮ সেপ্টেম্বর তিন লাখ টন চাল আমদানির ব্যাপারে সমঝোতা স্মারক সই হয়। সেখানে কথা হয়, মিয়ানমারের একটি দল বাংলাদেশে আসবে। তখন চাল আমদানির ব্যাপারে আলোচনা হবে। আলোচনা শেষে এক লাখ টন আতপ চাল কেনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়।