ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মিন্নিসহ ছয়জনের ফাঁসি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৩:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর ২০২০
  • / ১৭২ বার পড়া হয়েছে

তরুণসমাজ যাতে ভুল পথে অগ্রসর না হয় তার বার্তা : আদালত
সমীকরণ প্রতিবেদন:
বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তাঁর স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয় আসামিকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। আর চার আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামির প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। প্রায় ১৫ মাস আগে সারা দেশে আলোড়ন তৈরি করা এই হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ যে ২৪ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দিয়েছিল, তাঁদের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জনের বিচার হলো গতকাল। বাকি ১৪ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় শিশু আদালতে তাদের বিচার চলছে। অভিযুক্ত ১০ আসামির মধ্যে রায় ঘোষণার সময় ৯ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এক আসামি এখনো পলাতক। এই ৯ জনের মধ্যে নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী মিন্নিও ছিলেন, যিনি জামিনে মুক্ত ছিলেন। মিন্নি ছিলেন মামলার প্রধান সাক্ষী। পরে তাঁকে আসামি করা হয়। রায় ঘোষণার আগে সকালে তিনি বাবার সঙ্গে আদালতে হাজির হন। যাঁদের ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছে তাঁদের মধ্যে বাকি পাঁচজন হলেন প্রধান আসামি রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজী (২৩), আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২) ও মো. হাসান (১৯)। যাঁদের খালাস দেওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন মো. মুসা, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর ও কামরুল ইসলাম সাইমুন। এর মধ্যে মুসা এখনো পলাতক।
রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের সংশ্লিষ্ট আইনজীবী সূত্রে জানা গেছে, দুপুর সোয়া ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত রায়ের বিশেষ বিশেষ অংশ পড়ে শোনান বিচারক। রায় ঘোষণার সময় বিচারক আছাদুজ্জামান উল্লেখ করেন যে প্রকাশ্যে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে সংঘটিত এ নির্মম হত্যাকাণ্ড মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সব অপরাধীর প্রত্যেকের বয়স ২৩ বছরের নিচে। তথ্য-প্রযুক্তি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বদৌলতে যুবসমাজসহ দেশ-বিদেশের সব বয়সের মানুষ এ নির্মমতা প্রত্যক্ষ করেছে। এ অবস্থায় এই অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে তাঁদের অনুসরণ করে দেশের তরুণসমাজের ভুল পথে অগ্রসর হওয়ার আশঙ্কা থাকবে। তাই আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়েছে। বিচারক আরো বলেছেন, প্রধান আসমি রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ পর্যালোচনা, সাক্ষ্য-প্রমাণ ও যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করেন রিফাত ফরাজী। এ ছাড়া আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় ও মো. হাসান সরাসরি অংশ না নিলেও এ হত্যাকাণ্ডে পরিকল্পিতভাবে সহযোগিতা করেন। এ ছাড়া এই মামলার প্রধান সাক্ষী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি ঘটনার শিকার রিফাত শরীফকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনায় তাঁর সম্পৃক্ততার বিষয়টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
রায় ঘোষণার পর আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির বাবা মো. মোজাম্মেল হোসেন কিশোর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে এ রায়ে মিন্নির প্রতি অবিচার করা হয়েছে। তিনি এ রায়ের বিপক্ষে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন। একটি কুচক্রী মহল তাঁর মেয়ে মিন্নিকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে। এ জন্য তাঁর মেয়ে ন্যায়বিচার পাননি। নিহত রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ পুলিশ ও বিচার বিভাগের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। উচ্চ আদালতেও এ রায় যেন বহাল থাকে এবং দ্রুত যেন তা কার্যকর হয় সে জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আবেদন জানান।
গত বছরের ২৬ জুন সকালে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করা হয়। রিফাতের সঙ্গে সে সময় তাঁর স্ত্রী মিন্নিও ছিলেন। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। সেই ভিডিওতে দেখা যায়, স্বামীকে বাঁচাতে মিন্নি প্রাণপণ চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। ওই দিন বিকেলে বরিশাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাত শরীফ মারা যান। রাতে তাঁর বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ ১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সেখানে রিফাতের স্ত্রী বরগুনা কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের ছাত্রী মিন্নিকে প্রধান সাক্ষী করা হয়েছিল। এরপর গত ২ জুলাই মামলার প্রধান আসামি সাব্বির আহমেদ নয়ন ওরফে নয়ন বন্ড ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই ভাগে বিভক্ত করে ২৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। এতে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। গত ১ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এরপর ৮ জানুয়ারি থেকে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। মোট ৭৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে এ মামলায়। গত ১৬ সেপ্টেম্বর দুই পক্ষের যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান রায়ের জন্য গতকাল দিন ধার্য করেছিলেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মিন্নিসহ ছয়জনের ফাঁসি

আপলোড টাইম : ০৯:১৩:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর ২০২০

তরুণসমাজ যাতে ভুল পথে অগ্রসর না হয় তার বার্তা : আদালত
সমীকরণ প্রতিবেদন:
বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তাঁর স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয় আসামিকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। আর চার আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামির প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। প্রায় ১৫ মাস আগে সারা দেশে আলোড়ন তৈরি করা এই হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ যে ২৪ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দিয়েছিল, তাঁদের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জনের বিচার হলো গতকাল। বাকি ১৪ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় শিশু আদালতে তাদের বিচার চলছে। অভিযুক্ত ১০ আসামির মধ্যে রায় ঘোষণার সময় ৯ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এক আসামি এখনো পলাতক। এই ৯ জনের মধ্যে নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী মিন্নিও ছিলেন, যিনি জামিনে মুক্ত ছিলেন। মিন্নি ছিলেন মামলার প্রধান সাক্ষী। পরে তাঁকে আসামি করা হয়। রায় ঘোষণার আগে সকালে তিনি বাবার সঙ্গে আদালতে হাজির হন। যাঁদের ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছে তাঁদের মধ্যে বাকি পাঁচজন হলেন প্রধান আসামি রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজী (২৩), আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২) ও মো. হাসান (১৯)। যাঁদের খালাস দেওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন মো. মুসা, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর ও কামরুল ইসলাম সাইমুন। এর মধ্যে মুসা এখনো পলাতক।
রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের সংশ্লিষ্ট আইনজীবী সূত্রে জানা গেছে, দুপুর সোয়া ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত রায়ের বিশেষ বিশেষ অংশ পড়ে শোনান বিচারক। রায় ঘোষণার সময় বিচারক আছাদুজ্জামান উল্লেখ করেন যে প্রকাশ্যে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে সংঘটিত এ নির্মম হত্যাকাণ্ড মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সব অপরাধীর প্রত্যেকের বয়স ২৩ বছরের নিচে। তথ্য-প্রযুক্তি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বদৌলতে যুবসমাজসহ দেশ-বিদেশের সব বয়সের মানুষ এ নির্মমতা প্রত্যক্ষ করেছে। এ অবস্থায় এই অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে তাঁদের অনুসরণ করে দেশের তরুণসমাজের ভুল পথে অগ্রসর হওয়ার আশঙ্কা থাকবে। তাই আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়েছে। বিচারক আরো বলেছেন, প্রধান আসমি রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ পর্যালোচনা, সাক্ষ্য-প্রমাণ ও যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করেন রিফাত ফরাজী। এ ছাড়া আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় ও মো. হাসান সরাসরি অংশ না নিলেও এ হত্যাকাণ্ডে পরিকল্পিতভাবে সহযোগিতা করেন। এ ছাড়া এই মামলার প্রধান সাক্ষী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি ঘটনার শিকার রিফাত শরীফকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনায় তাঁর সম্পৃক্ততার বিষয়টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
রায় ঘোষণার পর আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির বাবা মো. মোজাম্মেল হোসেন কিশোর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে এ রায়ে মিন্নির প্রতি অবিচার করা হয়েছে। তিনি এ রায়ের বিপক্ষে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন। একটি কুচক্রী মহল তাঁর মেয়ে মিন্নিকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে। এ জন্য তাঁর মেয়ে ন্যায়বিচার পাননি। নিহত রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ পুলিশ ও বিচার বিভাগের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। উচ্চ আদালতেও এ রায় যেন বহাল থাকে এবং দ্রুত যেন তা কার্যকর হয় সে জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আবেদন জানান।
গত বছরের ২৬ জুন সকালে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করা হয়। রিফাতের সঙ্গে সে সময় তাঁর স্ত্রী মিন্নিও ছিলেন। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। সেই ভিডিওতে দেখা যায়, স্বামীকে বাঁচাতে মিন্নি প্রাণপণ চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। ওই দিন বিকেলে বরিশাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাত শরীফ মারা যান। রাতে তাঁর বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ ১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সেখানে রিফাতের স্ত্রী বরগুনা কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের ছাত্রী মিন্নিকে প্রধান সাক্ষী করা হয়েছিল। এরপর গত ২ জুলাই মামলার প্রধান আসামি সাব্বির আহমেদ নয়ন ওরফে নয়ন বন্ড ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই ভাগে বিভক্ত করে ২৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। এতে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। গত ১ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এরপর ৮ জানুয়ারি থেকে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। মোট ৭৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে এ মামলায়। গত ১৬ সেপ্টেম্বর দুই পক্ষের যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান রায়ের জন্য গতকাল দিন ধার্য করেছিলেন।