ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মিথ্যা হত্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৩০:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • / ৩৪৪ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গার চিৎলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গার চিৎলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা হত্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে তার স্ত্রী সাবিরা সুলতানা। গতকাল সোমবার বেলা ১২টায় চুয়াডাঙ্গার কেদারগঞ্জপাড়াস্থ চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
চিৎলা ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানকে নির্দোষ দাবি করে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তার স্ত্রী সাবিরা সুলতানা বলেন, ‘গত ২ সেপ্টেম্বর চিৎলা ইউনিয়নের হাঁপানিয়া গ্রামে ঈদের দিন দু’পক্ষের গোলযোগে আহত জয়নাল আবেদীন ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এঘটনায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক আমার স্বামীকে ষড়যন্ত্র করে মামলা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে। তিনি ঈদের দিন তার কয়রাডাঙ্গা গ্রামের পশ্চিমপাড়া ঈদগা মাঠে নামাজ আদায় করেন। ঈদগা মাঠে উপস্থিত নামাজীরা তা প্রত্যক্ষ করেছেন। নামাজ শেষে তিনি তার নিজ বাড়িতে পশু কোরবানী করেন। তিনি কিভাবে সেখান থেকে ৮ কিলোমিটার দুরে হাঁপানিয়া গ্রামে গিয়ে গোলযোগে লিপ্ত হলেন, আর তাকে কেনই বা আসামী করা হলো?’ তিনি আরো জানান, এই পরিস্থিতির মধ্যে কতিপয় দুর্বৃত্তরা নানাভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। এতে তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলার কয়রাডাঙ্গা গ্রামের পশ্চিমপাড়া ঈদগার ইমাম মুফতি আব্দুস সালাম, ঈদগা কমিটির সভাপতি মিলন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানের ছোট মেয়ে ইরিশা রহমান।
কয়রাডাঙ্গা গ্রামের পশ্চিমপাড়া ঈদগার ইমাম মুফতি আব্দুস সালাম বলেন, চিৎলা ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান কয়রাডাঙ্গা গ্রামের পশ্চিমপাড়া ইদগাহে মুসল্লিদের সাথে নামাজ আদায় করেছেন। তিনি ইউনিয়নের অভিভাবক হিসেবে আমি তাকে বক্তব্যের আহ্বান করি। তিনি আমার অনুরোধে ঈদের নামাজের পর মুসল্লিদের সামনে বক্তব্যও দেন। পরে তিনি আমাদের সাথে কুশল বিনিময়ও করেন। আব্দুস সালাম বলেন, নামাজ শেষ হওয়ার দেড় দু ঘন্টা পর আমি চেয়ারম্যানের বাড়ি গিয়ে গরু কোরবানি দিয়েছি। তখনও তিনি উপস্থিত ছিলেন।
কয়রাডাঙ্গা পশ্চিমপাড়া ব্রিজ জামে মসজিদের সভাপতি ইসলাম মন্ডলের ছেলে মিলন মিয়া জানান, চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান ঈদের দিন কয়রাডাঙ্গার পশ্চিমপাড়া ইদগাহে নামাজ আদায় করেছেন। যার স্বাক্ষী আমিসহ মুসল্লিরা সবাই। আমরা গ্রামবাসীরা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ জানিয়ে একটি রেজুলেশন তৈরি করেছি। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চেয়ে দুই শতাধিক গ্রামবাসী গণস্বাক্ষর করে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করেছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মিথ্যা হত্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

আপলোড টাইম : ১০:৩০:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭

চুয়াডাঙ্গার চিৎলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গার চিৎলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা হত্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে তার স্ত্রী সাবিরা সুলতানা। গতকাল সোমবার বেলা ১২টায় চুয়াডাঙ্গার কেদারগঞ্জপাড়াস্থ চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
চিৎলা ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানকে নির্দোষ দাবি করে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তার স্ত্রী সাবিরা সুলতানা বলেন, ‘গত ২ সেপ্টেম্বর চিৎলা ইউনিয়নের হাঁপানিয়া গ্রামে ঈদের দিন দু’পক্ষের গোলযোগে আহত জয়নাল আবেদীন ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এঘটনায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক আমার স্বামীকে ষড়যন্ত্র করে মামলা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে। তিনি ঈদের দিন তার কয়রাডাঙ্গা গ্রামের পশ্চিমপাড়া ঈদগা মাঠে নামাজ আদায় করেন। ঈদগা মাঠে উপস্থিত নামাজীরা তা প্রত্যক্ষ করেছেন। নামাজ শেষে তিনি তার নিজ বাড়িতে পশু কোরবানী করেন। তিনি কিভাবে সেখান থেকে ৮ কিলোমিটার দুরে হাঁপানিয়া গ্রামে গিয়ে গোলযোগে লিপ্ত হলেন, আর তাকে কেনই বা আসামী করা হলো?’ তিনি আরো জানান, এই পরিস্থিতির মধ্যে কতিপয় দুর্বৃত্তরা নানাভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। এতে তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলার কয়রাডাঙ্গা গ্রামের পশ্চিমপাড়া ঈদগার ইমাম মুফতি আব্দুস সালাম, ঈদগা কমিটির সভাপতি মিলন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানের ছোট মেয়ে ইরিশা রহমান।
কয়রাডাঙ্গা গ্রামের পশ্চিমপাড়া ঈদগার ইমাম মুফতি আব্দুস সালাম বলেন, চিৎলা ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান কয়রাডাঙ্গা গ্রামের পশ্চিমপাড়া ইদগাহে মুসল্লিদের সাথে নামাজ আদায় করেছেন। তিনি ইউনিয়নের অভিভাবক হিসেবে আমি তাকে বক্তব্যের আহ্বান করি। তিনি আমার অনুরোধে ঈদের নামাজের পর মুসল্লিদের সামনে বক্তব্যও দেন। পরে তিনি আমাদের সাথে কুশল বিনিময়ও করেন। আব্দুস সালাম বলেন, নামাজ শেষ হওয়ার দেড় দু ঘন্টা পর আমি চেয়ারম্যানের বাড়ি গিয়ে গরু কোরবানি দিয়েছি। তখনও তিনি উপস্থিত ছিলেন।
কয়রাডাঙ্গা পশ্চিমপাড়া ব্রিজ জামে মসজিদের সভাপতি ইসলাম মন্ডলের ছেলে মিলন মিয়া জানান, চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান ঈদের দিন কয়রাডাঙ্গার পশ্চিমপাড়া ইদগাহে নামাজ আদায় করেছেন। যার স্বাক্ষী আমিসহ মুসল্লিরা সবাই। আমরা গ্রামবাসীরা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ জানিয়ে একটি রেজুলেশন তৈরি করেছি। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চেয়ে দুই শতাধিক গ্রামবাসী গণস্বাক্ষর করে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করেছে।