ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মালখানায় রক্ষিত আলামত ও বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ধ্বংস

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১৭:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ জানুয়ারী ২০১৮
  • / ৪৯১ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১২ বছরে ১৩৮ মামলার নিষ্পত্তি
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচার নিষ্পত্তিকৃত মামলার আলামত হিসেবে জব্দকৃত মাদকদ্রব্যসহ মালামাল গতকাল মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গনে পুড়িয়ে এবং রোড রোলার দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে জেলা পুলিশ, পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি), এসবি, র‌্যাব, বিজিবি, এনএসআই, জেলা মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের বিশেষ টিম ও ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে আটককৃত ও গ্রেফতারকৃত মামলায় উদ্ধারকৃত বিভিন্ন মাদকদ্রব্য আলামত হিসেবে কোর্ট মালখানায় রক্ষিত ছিল। এসব মামলা নিষ্পত্তি হওয়ায় মাদকদ্রব্যগুলো পূনরায় বিচার আদালতে যাওয়ার আর কোন সম্ভাবনা না থাকায় ধ্বংসের জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুস্তাফিজুর রহমানের তত্ত্বাবধানে মালামাল ধবংসের সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ও দায়রা জজ মোহা. রবিউল ইসলাম, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস.এম সাইফুল ইসলাম, জেলা ও দায়রা জজ-১ শাহানাজ সুলতানা, যুগ্ম জেলা ও দায়রা মো. কামাল হোসেন শিকদার, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসলাম হোসেন, কোর্ট ইন্সপেক্টর দিলীপ কুমার সরকার। এ ছাড়াও প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. নাজমুল হক, নাজির মো. ওসমান ঢালি, মালখানার সিএসআই মো. আমিনুল ইসলাম। কোর্ট সূত্র জানিয়েছে, ২০০৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারাধীন ১৩৮টি মামলার কোর্ট মালখানায় রক্ষিত আলামত ধ্বংসের জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর আবেদন করা হয়। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফৌজদারী কার্যবিধি ৫১৭ ধারায় এবং ৫২১(২) ধারায় নিষ্পত্তিকৃত এসব মামলার আলামত ধ্বংসের নির্দেশ মোতাবেক গতকাল বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্যসহ অন্যান্য মামামাল রোলার দিয়ে ডলে ও আগুনে পুড়িয়ে ধবংস করা হয়েছে। ধ্বংসকৃত মালামালের মধ্যে ছিল ভারতীয় নিষিদ্ধ ১ হাজার ৮৬৯ বোতল ফেনসিডিল, ৩৯০ গ্রাম হেরোইন, ১০৫ পুরিয়া গাজা, ১৩০ লিটার দেশী ও বিদেশী মদ, নেশাজাতীয় ইনজেকশন ১৬টি, ৮ হাজার ৩৫০ পিস নেশাজাতীয় ট্যাবলেটসহ জব্দকৃত দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র, কীটনাশক, মোবাইল, ব্যবহারকৃত জামাকাপড়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মালখানায় রক্ষিত আলামত ও বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ধ্বংস

আপলোড টাইম : ১০:১৭:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ জানুয়ারী ২০১৮

চুয়াডাঙ্গা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১২ বছরে ১৩৮ মামলার নিষ্পত্তি
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচার নিষ্পত্তিকৃত মামলার আলামত হিসেবে জব্দকৃত মাদকদ্রব্যসহ মালামাল গতকাল মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গনে পুড়িয়ে এবং রোড রোলার দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে জেলা পুলিশ, পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি), এসবি, র‌্যাব, বিজিবি, এনএসআই, জেলা মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের বিশেষ টিম ও ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে আটককৃত ও গ্রেফতারকৃত মামলায় উদ্ধারকৃত বিভিন্ন মাদকদ্রব্য আলামত হিসেবে কোর্ট মালখানায় রক্ষিত ছিল। এসব মামলা নিষ্পত্তি হওয়ায় মাদকদ্রব্যগুলো পূনরায় বিচার আদালতে যাওয়ার আর কোন সম্ভাবনা না থাকায় ধ্বংসের জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুস্তাফিজুর রহমানের তত্ত্বাবধানে মালামাল ধবংসের সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ও দায়রা জজ মোহা. রবিউল ইসলাম, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস.এম সাইফুল ইসলাম, জেলা ও দায়রা জজ-১ শাহানাজ সুলতানা, যুগ্ম জেলা ও দায়রা মো. কামাল হোসেন শিকদার, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসলাম হোসেন, কোর্ট ইন্সপেক্টর দিলীপ কুমার সরকার। এ ছাড়াও প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. নাজমুল হক, নাজির মো. ওসমান ঢালি, মালখানার সিএসআই মো. আমিনুল ইসলাম। কোর্ট সূত্র জানিয়েছে, ২০০৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারাধীন ১৩৮টি মামলার কোর্ট মালখানায় রক্ষিত আলামত ধ্বংসের জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর আবেদন করা হয়। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফৌজদারী কার্যবিধি ৫১৭ ধারায় এবং ৫২১(২) ধারায় নিষ্পত্তিকৃত এসব মামলার আলামত ধ্বংসের নির্দেশ মোতাবেক গতকাল বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্যসহ অন্যান্য মামামাল রোলার দিয়ে ডলে ও আগুনে পুড়িয়ে ধবংস করা হয়েছে। ধ্বংসকৃত মালামালের মধ্যে ছিল ভারতীয় নিষিদ্ধ ১ হাজার ৮৬৯ বোতল ফেনসিডিল, ৩৯০ গ্রাম হেরোইন, ১০৫ পুরিয়া গাজা, ১৩০ লিটার দেশী ও বিদেশী মদ, নেশাজাতীয় ইনজেকশন ১৬টি, ৮ হাজার ৩৫০ পিস নেশাজাতীয় ট্যাবলেটসহ জব্দকৃত দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র, কীটনাশক, মোবাইল, ব্যবহারকৃত জামাকাপড়।