ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মার্চে ক্ষমতাসীনদের জন্য অগ্নিপরীক্ষা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৮:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০১৯
  • / ২৩৪ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন: তৃণমূল রাজনীতিতে অগ্নিপরীক্ষায় পড়তে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আগামী মার্চে অনুষ্ঠিত হতে পারে স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। আর এ নির্বাচন কেন্দ্র করে ক্রমশই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে দলটির তৃণমূল রাজনীতি। নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে তৃণমূল দ্বন্দ্বে জর্জরিত হয়ে পড়তে পারে দলটি। অনেক স্থানে প্রকাশ্যেও বিবাদ বা সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ার শঙ্কা সৃষ্টি হচ্ছে। ইসি সূত্র মতে, আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। ৫টি ধাপে নেয়া হবে উপজেলা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ৫ ধাপে দেশের ৪৯২টি উপজেলার মধ্যে ৪৮০টির ভোট হবে। অবশিষ্টগুলোর মেয়াদপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে নির্বাচনের দিনক্ষণ নির্ধারণ হবে। প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণ আগামী ৮ অথবা ৯ মার্চ হতে পারে বলে জানা গেছে।
তথ্য মতে, জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ে খোশ মেজাজে রয়েছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনীতি। তবে তৃণমূলের দৃশ্যপট কিছুটা ভিন্ন। দলটির সারাদেশের তৃণমূল রাজনীতি ব্যস্ত হয়ে পড়েছে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের হিসাব নিয়ে। প্রতিটি উপজেলা কেন্দ্রিক সক্রিয় হয়ে উঠেছে একাধিক হেভিওয়েট প্রার্থী। সংসদ সদস্য হিসেবে ব্যর্থ প্রার্থীরাও তৎপরতা চালাচ্ছেন উপজেলায়। আর এসব প্রার্থীদের ঘিরে বিভক্ত হয়ে পড়েছে তৃণমূল নেতাকর্মীরা। প্রতিটি বলয়ের নেতার্কর্মীরা পছন্দের র্প্রার্থীকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে পেতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর পাশাপাশি মাঠেও তৎপরতা চালাচ্ছেন। অনেক উপজেলায় এক প্রার্থীর বিরুদ্ধে অপর প্রার্থী সমর্থকরা কটুক্তিমূলক প্রচারণাও চালাচ্ছে। দিন গড়ানোর সঙ্গে বাড়ছে, প্রার্থী ও সমর্থকদের মুখোমুখি হয়ে পড়ার শঙ্কা।উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের নেতা ও স্থানীয় সংসদ সদস্যরাও বিভক্ত হয়ে উঠছেন। অনেক জেলায় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী নিয়ে স্থানীয় সাংসদ ও আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতা হলেও জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে সাংসদের বিরুদ্ধে ছিলেন এমন প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে সাংসদ ও তার সমর্থকরা। যা নিয়ে প্রকাশ্যে বিরোধ সৃষ্টি হবার শঙ্কা রয়েছে। একাধিক জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনগুলোতে অনুপ্রবেশ ঘটেছে অন্তত অর্ধলাখ ভিন্ন মতের মানুষ। এদের অধিকাংশ বিগত সময়ে বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন দলের নেতাকর্মী ছিলেন। আবার অনেকে ব্যবসায়ী বা অন্য পেশার মানুষ। গত কয়েক বছর ধরে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের উপস্থিত হয়ে নিজেকে আওয়ামী বনে এনেছেন। প্রতিটি উপজেলাই একজন হলেও এমন প্রার্থী আছেন, যারা নব্য আওয়ামী লীগ। টাকার প্রভাবে কিছু নেতাকে হাত করে দলীয় মনোনয়ন পেতে তৎপরতা চালাচ্ছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে কয়েকটি চ্যালেঞ্জে পড়বে সরকার। প্রথমত, প্রধান বিরোধী পক্ষ বিএনপি জোট নির্বাচনে না এলে নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে হবে। নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে সরকার সমর্থক জোট বা দলের অনেক প্রার্থীদের যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও ছাড় দিতে হবে। দ্বিতীয়ত, দলের মধ্যে অনুপ্রবেশকারীদের প্রার্থী তালিকার বাইরে রাখা। তৃতীয়, দলের একাধিক ত্যাগী নেতাদের মধ্যে হতে একজনকে চূড়ান্ত করা এবং বাকিদের তার পক্ষে মাঠে নামানো। চতুর্থত, সাংসদ ও দলের নেতাদের মধ্যকার দুরত্ব বাড়তে না দেয়া। আর এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারলেই উপজেলা নির্বাচন অসহিংস পরিবেশে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।
আওয়ামী লীগ সূত্র মতে, মাঠের রাজনীতির সবদিক বিবেচনায় রেখেই উপজেলা নির্বাচনে ফল ঘরে আনতে চায় আওয়ামী লীগ। বিএনপি নির্বাচনে না এলেও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন উপহার দিতে চায় রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা দলটির নীতিনির্ধারক। একই সঙ্গে দলীয় প্রার্থী নির্ধারণে ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের এগিয়ে আনা হবে, কোনোভাবেই অনুপ্রবেশকারী তৃণমূল রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করা হবে। সূত্র আরও জানায়, র্প্রার্থী নির্ধারণে কোনো ধরনের ছাড় দেবে না আওয়ামী লীগ। দলের জন্য নিবেদিত, ত্যাগী ও তৃণমূলে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন এমন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেবে। এ লক্ষ্যে প্রার্থী তালিকা প্রণয়নে বেশ কিছু নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা পাঠাতে জেলা আওয়ামী লীগকে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্র। একই সঙ্গে প্রার্থী বাছাইয়ে দেয়া হয়েছে বেশ কিছু নির্দেশনা। নির্দেশনা অনুযায়ী প্রার্থী চালিকা চূড়ান্ত করে স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের কাছে পাঠাতে বলা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের এক সদস্য জানান, আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে প্রার্থী ও পরিবারের ত্যাগ বিবেচনায় আনা হবে। সাংসদ বা পৌর মেয়র আছেন, এমন পরিবারের প্রার্থীদের চেয়ে অন্য প্রার্থী বের করার চেষ্টা করা হবে। প্রার্থীকে অব্যশই তৃণমূলে জনপ্রিয় হতে হবে এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে পরীক্ষিত হতে হবে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাসিম জানান, আওয়ামী লীগ সর্ববৃহৎ সংগঠন এবং শৃঙ্খলাবদ্ধ সংগঠন, নেতাকর্মীরা অত্যন্ত সংগঠিত। প্রার্থী যতই হোক, বিশৃঙ্খলা হবার সুযোগ নেই। যিনি সবার চেয়ে যোগ্য তাকেই মনোনীত করা হবে। দল থেকে যাকে মনোনয়ন দেয়া হবে, নেতাকর্মীরা তাকেই মেনে নেবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মার্চে ক্ষমতাসীনদের জন্য অগ্নিপরীক্ষা

আপলোড টাইম : ০৯:১৮:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০১৯

সমীকরণ প্রতিবেদন: তৃণমূল রাজনীতিতে অগ্নিপরীক্ষায় পড়তে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আগামী মার্চে অনুষ্ঠিত হতে পারে স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। আর এ নির্বাচন কেন্দ্র করে ক্রমশই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে দলটির তৃণমূল রাজনীতি। নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে তৃণমূল দ্বন্দ্বে জর্জরিত হয়ে পড়তে পারে দলটি। অনেক স্থানে প্রকাশ্যেও বিবাদ বা সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ার শঙ্কা সৃষ্টি হচ্ছে। ইসি সূত্র মতে, আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। ৫টি ধাপে নেয়া হবে উপজেলা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ৫ ধাপে দেশের ৪৯২টি উপজেলার মধ্যে ৪৮০টির ভোট হবে। অবশিষ্টগুলোর মেয়াদপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে নির্বাচনের দিনক্ষণ নির্ধারণ হবে। প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণ আগামী ৮ অথবা ৯ মার্চ হতে পারে বলে জানা গেছে।
তথ্য মতে, জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ে খোশ মেজাজে রয়েছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনীতি। তবে তৃণমূলের দৃশ্যপট কিছুটা ভিন্ন। দলটির সারাদেশের তৃণমূল রাজনীতি ব্যস্ত হয়ে পড়েছে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের হিসাব নিয়ে। প্রতিটি উপজেলা কেন্দ্রিক সক্রিয় হয়ে উঠেছে একাধিক হেভিওয়েট প্রার্থী। সংসদ সদস্য হিসেবে ব্যর্থ প্রার্থীরাও তৎপরতা চালাচ্ছেন উপজেলায়। আর এসব প্রার্থীদের ঘিরে বিভক্ত হয়ে পড়েছে তৃণমূল নেতাকর্মীরা। প্রতিটি বলয়ের নেতার্কর্মীরা পছন্দের র্প্রার্থীকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে পেতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর পাশাপাশি মাঠেও তৎপরতা চালাচ্ছেন। অনেক উপজেলায় এক প্রার্থীর বিরুদ্ধে অপর প্রার্থী সমর্থকরা কটুক্তিমূলক প্রচারণাও চালাচ্ছে। দিন গড়ানোর সঙ্গে বাড়ছে, প্রার্থী ও সমর্থকদের মুখোমুখি হয়ে পড়ার শঙ্কা।উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের নেতা ও স্থানীয় সংসদ সদস্যরাও বিভক্ত হয়ে উঠছেন। অনেক জেলায় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী নিয়ে স্থানীয় সাংসদ ও আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতা হলেও জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে সাংসদের বিরুদ্ধে ছিলেন এমন প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে সাংসদ ও তার সমর্থকরা। যা নিয়ে প্রকাশ্যে বিরোধ সৃষ্টি হবার শঙ্কা রয়েছে। একাধিক জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনগুলোতে অনুপ্রবেশ ঘটেছে অন্তত অর্ধলাখ ভিন্ন মতের মানুষ। এদের অধিকাংশ বিগত সময়ে বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন দলের নেতাকর্মী ছিলেন। আবার অনেকে ব্যবসায়ী বা অন্য পেশার মানুষ। গত কয়েক বছর ধরে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের উপস্থিত হয়ে নিজেকে আওয়ামী বনে এনেছেন। প্রতিটি উপজেলাই একজন হলেও এমন প্রার্থী আছেন, যারা নব্য আওয়ামী লীগ। টাকার প্রভাবে কিছু নেতাকে হাত করে দলীয় মনোনয়ন পেতে তৎপরতা চালাচ্ছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে কয়েকটি চ্যালেঞ্জে পড়বে সরকার। প্রথমত, প্রধান বিরোধী পক্ষ বিএনপি জোট নির্বাচনে না এলে নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে হবে। নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে সরকার সমর্থক জোট বা দলের অনেক প্রার্থীদের যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও ছাড় দিতে হবে। দ্বিতীয়ত, দলের মধ্যে অনুপ্রবেশকারীদের প্রার্থী তালিকার বাইরে রাখা। তৃতীয়, দলের একাধিক ত্যাগী নেতাদের মধ্যে হতে একজনকে চূড়ান্ত করা এবং বাকিদের তার পক্ষে মাঠে নামানো। চতুর্থত, সাংসদ ও দলের নেতাদের মধ্যকার দুরত্ব বাড়তে না দেয়া। আর এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারলেই উপজেলা নির্বাচন অসহিংস পরিবেশে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।
আওয়ামী লীগ সূত্র মতে, মাঠের রাজনীতির সবদিক বিবেচনায় রেখেই উপজেলা নির্বাচনে ফল ঘরে আনতে চায় আওয়ামী লীগ। বিএনপি নির্বাচনে না এলেও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন উপহার দিতে চায় রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা দলটির নীতিনির্ধারক। একই সঙ্গে দলীয় প্রার্থী নির্ধারণে ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের এগিয়ে আনা হবে, কোনোভাবেই অনুপ্রবেশকারী তৃণমূল রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করা হবে। সূত্র আরও জানায়, র্প্রার্থী নির্ধারণে কোনো ধরনের ছাড় দেবে না আওয়ামী লীগ। দলের জন্য নিবেদিত, ত্যাগী ও তৃণমূলে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন এমন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেবে। এ লক্ষ্যে প্রার্থী তালিকা প্রণয়নে বেশ কিছু নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা পাঠাতে জেলা আওয়ামী লীগকে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্র। একই সঙ্গে প্রার্থী বাছাইয়ে দেয়া হয়েছে বেশ কিছু নির্দেশনা। নির্দেশনা অনুযায়ী প্রার্থী চালিকা চূড়ান্ত করে স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের কাছে পাঠাতে বলা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের এক সদস্য জানান, আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে প্রার্থী ও পরিবারের ত্যাগ বিবেচনায় আনা হবে। সাংসদ বা পৌর মেয়র আছেন, এমন পরিবারের প্রার্থীদের চেয়ে অন্য প্রার্থী বের করার চেষ্টা করা হবে। প্রার্থীকে অব্যশই তৃণমূলে জনপ্রিয় হতে হবে এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে পরীক্ষিত হতে হবে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাসিম জানান, আওয়ামী লীগ সর্ববৃহৎ সংগঠন এবং শৃঙ্খলাবদ্ধ সংগঠন, নেতাকর্মীরা অত্যন্ত সংগঠিত। প্রার্থী যতই হোক, বিশৃঙ্খলা হবার সুযোগ নেই। যিনি সবার চেয়ে যোগ্য তাকেই মনোনীত করা হবে। দল থেকে যাকে মনোনয়ন দেয়া হবে, নেতাকর্মীরা তাকেই মেনে নেবে।