ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মানব পাচার রোধে ইসলাম

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:২২:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ জানুয়ারী ২০১৯
  • / ৩০৯ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: সংঘবদ্ধ মানব পাচার চক্রের বিস্তৃতি রয়েছে বিশ্বজুড়ে এবং ক্রমেই এর ব্যাপকতা বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী প্রতি মিনিটে প্রায় দু’জন মানুষ পাচারের শিকার হচ্ছে। পাচারের পর তাদের ওপর দৈহিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। তাদের পতিতাবৃত্তি, সন্ত্রাস, জঙ্গি কার্যক্রম, অবৈধ অস্ত্র ও মাদক চোরাচালানসহ বিভিন্ন ধরনের বেআইনি কর্মকা- করতে বাধ্য করা হয়। বাংলাদেশে মানবপাচার একটি বড় সমস্যা হিসেবে ইতোমধ্যে চিহ্নিত। একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার হিসেবে বাংলাদেশ থেকে বছরে এক হাজারেরও বেশি শিশু বিভিন্ন দেশে পাচার হচ্ছে। চাকরির নাম করে বিমান ও সমুদ্রপথে আদম পাচারের ঘটনা এ দেশে ঘটে চলেছে। মানব পাচারের ভিকটিমদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এদের ভারত, পাকিস্তান ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে শ্রমদাসে পরিণত করা হয়। আমরা মনে করি, মানব পাচার রোধে সীমান্তে নজরদারি সবচেয়ে বেশি জরুরি। শুধু বর্তমান সময়ে নয়- মানব পাচারের মতো জঘন্য অপরাধের প্রবণতা আগেও ছিল। তাই ইসলাম মানব পাচারকে অত্যন্ত ঘৃণার চোখে দেখে। ইসলামের দৃষ্টিতে মানব পাচার সংশ্লিষ্ট সব ধরনের কাজ হারাম। মানব পাচার একটি প্রতারণামূলক কাজ। প্রতারণার মাধ্যমে পাচারকারীরা মানুষকে ক্ষতিকর ও সমাজবিরোধী কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত করছে। ইসলাম মানব পাচারকে হারাম ঘোষণা করেছে এবং পাচারকারীদের কঠিন শাস্তি প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে। ইসলাম মানব পাচারকারীদের কোনো অবস্থাতেই ক্ষমা করে না, তাদের অবশ্যই ইহকাল ও পরকালে কঠিন যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি ভোগ করতে হবে। আমাদের সমাজ থেকে যাতে আর কেউ পাচার না হয়, সে জন্য জনগণকে সচেতন করতে হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মানব পাচার রোধে ইসলাম

আপলোড টাইম : ১১:২২:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ জানুয়ারী ২০১৯

ধর্ম ডেস্ক: সংঘবদ্ধ মানব পাচার চক্রের বিস্তৃতি রয়েছে বিশ্বজুড়ে এবং ক্রমেই এর ব্যাপকতা বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী প্রতি মিনিটে প্রায় দু’জন মানুষ পাচারের শিকার হচ্ছে। পাচারের পর তাদের ওপর দৈহিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। তাদের পতিতাবৃত্তি, সন্ত্রাস, জঙ্গি কার্যক্রম, অবৈধ অস্ত্র ও মাদক চোরাচালানসহ বিভিন্ন ধরনের বেআইনি কর্মকা- করতে বাধ্য করা হয়। বাংলাদেশে মানবপাচার একটি বড় সমস্যা হিসেবে ইতোমধ্যে চিহ্নিত। একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার হিসেবে বাংলাদেশ থেকে বছরে এক হাজারেরও বেশি শিশু বিভিন্ন দেশে পাচার হচ্ছে। চাকরির নাম করে বিমান ও সমুদ্রপথে আদম পাচারের ঘটনা এ দেশে ঘটে চলেছে। মানব পাচারের ভিকটিমদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এদের ভারত, পাকিস্তান ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে শ্রমদাসে পরিণত করা হয়। আমরা মনে করি, মানব পাচার রোধে সীমান্তে নজরদারি সবচেয়ে বেশি জরুরি। শুধু বর্তমান সময়ে নয়- মানব পাচারের মতো জঘন্য অপরাধের প্রবণতা আগেও ছিল। তাই ইসলাম মানব পাচারকে অত্যন্ত ঘৃণার চোখে দেখে। ইসলামের দৃষ্টিতে মানব পাচার সংশ্লিষ্ট সব ধরনের কাজ হারাম। মানব পাচার একটি প্রতারণামূলক কাজ। প্রতারণার মাধ্যমে পাচারকারীরা মানুষকে ক্ষতিকর ও সমাজবিরোধী কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত করছে। ইসলাম মানব পাচারকে হারাম ঘোষণা করেছে এবং পাচারকারীদের কঠিন শাস্তি প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে। ইসলাম মানব পাচারকারীদের কোনো অবস্থাতেই ক্ষমা করে না, তাদের অবশ্যই ইহকাল ও পরকালে কঠিন যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি ভোগ করতে হবে। আমাদের সমাজ থেকে যাতে আর কেউ পাচার না হয়, সে জন্য জনগণকে সচেতন করতে হবে।