ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মাদক-সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদের পথ থেকে ফিরে না এলে কঠোর ব্যবস্থা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০৭:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০১৯
  • / ২৩১ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় বিজিবির মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল
বিশেষ প্রতিবেদক:
‘মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ সমস্যা সমাধানে আমরা বদ্ধ পরিকর। মাদকাসক্তদের পুনর্বাসনের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হবে। সেই সঙ্গে বিপথগামীরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চাইলে তাদের সুযোগ সুবিধা দেয়া হবে। আর আত্মসমর্পনের মাধ্যমে ফিরে না এলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। গতকাল সোমবার বেলা ১২টায় দক্ষিণ-পশ্চিম যশোর রিজিয়নের আয়োজনে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির ব্যাটালিয়ান সদর দপ্তরে মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
মাদক সমস্যা সমাধান প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মাদক সমস্যা সমাধানে আমরা তিনটি স্তরে কাজ করছি। প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে প্রথমত চাহিদা হ্রাস করা হচ্ছে। এ দেশের সাধারণ মানুষ, রাজনীতিবীদ, সমাজসেবক, জনপ্রতিনিধি, মসজিদের ইমাম, শ্রমিক-জনতা, ছাত্র-শিক্ষকসহ সমাজের সকলের প্রতি অনুরোধ করছি আপনারা এই নেশা থেকে আপনাদের সন্তান এবং ভাই-বোনকে রক্ষা করুন। সন্তানদের গতিবীধির উপর লক্ষ্য রাখুন, কূফল সম্পর্কে তাদের জানান। এরপর সরবরাহ হ্রাস করার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। এ কাজে অন্যতম ভূমিকা পালন করে বিজিবি ও কোস্টগার্ড। সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করতে আমরা বিজিবিকে আরও শক্তিশালী করছি, জনবল বৃদ্ধি করছি। নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরি করে মাদকের সরবরাহ যেন এ দেশে না আসে সে ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। তৃতীয় পর্যায়ে নিরাময় কেন্দ্র তৈরি করে সেখানে মাদকাসক্তদের পুর্নবাসনের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। যেন ভাবতে না পারে যে মাদকাসক্ত হলেই সমাজবঞ্চিত হবে তারা। মাদকের পথ ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চাইলে তাদের জন্য বিশেষ সুবিধা দেয়া হবে।’
প্রধান অতিথি বলেন, ‘বাংলাদেশে আমরা মাদকপ্রস্তুত করি না। তারপরেও এই মাদকের ছোবল থেকে আমাদের যুব সমাজকে রক্ষা করতে পারছি না। সে জন্য গত মেয়াদে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছিলেন এবং আমরা সবাই মিলে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছিলাম। আমাদের যুব সমাজকে রক্ষার জন্য এবারও ক্ষমতায় এসে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’ প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘২০২১, ২০৪১ সাল নিয়ে আমরা যে স্বপ্ন দেখছি, এখন যদি আমাদের যুব সমাজ, নতুন প্রজন্মকে রক্ষা করতে না পারি তা হলে অবশ্যই পথ হারিয়ে যাবে। সম্ভাবনাময়ী দেশ বাংলাদেশ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে যে বাংলাদেশ আজকে সারা বিশ্বের বিস্ময়ে পরিণত হয়েছে। সে জায়গা থেকে আমরা পথ হারিয়ে ফেলবো। আমাদের নতুন প্রজন্ম, আমাদের মেধাকে আমরা পথ হারাতে দেবো না। আমরা চাই না পিতা-মাতার হত্যাকারী সন্তান ঐশী যেন আরেকটি না হয়।’
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের কোথাও বা কোন সীমান্তে আইএস’র ঘাঁটি নাই। এটি একটি আন্তর্জাতিক চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের অংশ। দেশে পথহারানো কিছু বিপথগামী মানুষ এই সংগঠনটির নাম ব্যবহার করে হিরো সাজার জন্য অনেক কিছুই করে থাকে। আমরা এ পর্যন্ত যাদেরকে ধরেছি প্রত্যেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন ভাবে প্রভাবিত হয়ে চরমপন্থী হয়ে উঠেছে। আসলে আইএস’র সঙ্গে এদের কোন সম্পর্ক নাই। ইতোপূর্বে আমরা তাদেরকে কঠোর ভাবে দমন করেছি এবং সফল হয়েছি। বাংলাদেশের জনগণ জঙ্গীকে আশ্রয় প্রশ্রয় দেয় না। এখন তারা যদি সঠিক পথে ফিরে না আসে তবে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’


বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক সাফিনুল ইসলাম এনডিসি, পিএসসি বলেন, ‘মাদক নিমূর্লে সীমান্তসহ জনগণের নিরাপত্তায় আমাদের পেশাগত দায়িত্বের পাশাপাশি এটি সামাজিক দায়িত্ব বলেও মনে করি। কারণ, মাদকের সঙ্গে সকল অপরাধের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। যার কারণে আজ আমাদের যুব সমাজ ধ্বংসের করাল গ্রাসে। তাই মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা আজ আমাদের সামাজিক ও নৈতিক দায়িত্বে।’
স্বাগত বক্তব্যে দক্ষিণ-পশ্চিম যশোর রিজিয়ন কমান্ডার আইনুল মোর্শেদ খান পাঠান বলেন, ‘মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণের নির্দেশ দেন। এরপর মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজিবি মহাপরিচালক দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তারই ফলশ্রুতিতে বিগত কয়েক মাসে সারাদেশে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য আটক করা সম্ভব হয়েছে।’


অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান, যুগ্ম সচিব ড. মো. হারুন-অর-রশিদ বিশ্বাস, বিজিবি’র দক্ষিণ-পশ্চিম যশোর রিজিয়নের ডেপুটি কমান্ডার আমিরুল ইসলাম পিএসসি, খুলনা সেক্টর কমান্ডার আরশাদুজ্জামান খান, কুষ্টিয়া সেক্টর কমান্ডার বেনজীর আহমেদ, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি’র পরিচালক লে. কর্ণেল ইমাম হাসান মৃধা, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস, পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম (বার), পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু। এছাড়া স্কুল শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে গত বছরের ৩০ এপ্রিল থেকে চলতি বছরের ১২ এপ্রিল পর্যন্ত বিজিবির হাতে আটক হওয়া ভারতীয় বিভিন্ন প্রকারের ২১ হাজার ৩২ বোতল মদ, ১ লাখ ৫৪ হাজার ৪০৯ বোতল ফেন্সিডিল, ১ হাজার ১৫৫ কেজি গাঁজা, ২ কেজি ৪৯৪ গ্রাম হেরোইন, ১৯ হাজার ৮০১ পিস ইয়াবা, ২ লাখ ৮৪ হাজার ৭৬৬ পিচ নেশা জাতীয় ট্যাবলেট, ৪৪ হাজার ৫৮৩ প্যাকেট পাতার বিড়ি, ৫০০ কেজি ডলোমাইন পাউডার, ২৯ কেজি কার্বাইড, ৪ হাজার ৬২০টি নেশা জাতীয় ইনজেকশন ও ৪ কেজি জট তামাক ধংস করা হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মাদক-সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদের পথ থেকে ফিরে না এলে কঠোর ব্যবস্থা

আপলোড টাইম : ১০:০৭:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০১৯

চুয়াডাঙ্গায় বিজিবির মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল
বিশেষ প্রতিবেদক:
‘মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ সমস্যা সমাধানে আমরা বদ্ধ পরিকর। মাদকাসক্তদের পুনর্বাসনের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হবে। সেই সঙ্গে বিপথগামীরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চাইলে তাদের সুযোগ সুবিধা দেয়া হবে। আর আত্মসমর্পনের মাধ্যমে ফিরে না এলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। গতকাল সোমবার বেলা ১২টায় দক্ষিণ-পশ্চিম যশোর রিজিয়নের আয়োজনে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির ব্যাটালিয়ান সদর দপ্তরে মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
মাদক সমস্যা সমাধান প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মাদক সমস্যা সমাধানে আমরা তিনটি স্তরে কাজ করছি। প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে প্রথমত চাহিদা হ্রাস করা হচ্ছে। এ দেশের সাধারণ মানুষ, রাজনীতিবীদ, সমাজসেবক, জনপ্রতিনিধি, মসজিদের ইমাম, শ্রমিক-জনতা, ছাত্র-শিক্ষকসহ সমাজের সকলের প্রতি অনুরোধ করছি আপনারা এই নেশা থেকে আপনাদের সন্তান এবং ভাই-বোনকে রক্ষা করুন। সন্তানদের গতিবীধির উপর লক্ষ্য রাখুন, কূফল সম্পর্কে তাদের জানান। এরপর সরবরাহ হ্রাস করার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। এ কাজে অন্যতম ভূমিকা পালন করে বিজিবি ও কোস্টগার্ড। সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করতে আমরা বিজিবিকে আরও শক্তিশালী করছি, জনবল বৃদ্ধি করছি। নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরি করে মাদকের সরবরাহ যেন এ দেশে না আসে সে ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। তৃতীয় পর্যায়ে নিরাময় কেন্দ্র তৈরি করে সেখানে মাদকাসক্তদের পুর্নবাসনের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। যেন ভাবতে না পারে যে মাদকাসক্ত হলেই সমাজবঞ্চিত হবে তারা। মাদকের পথ ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চাইলে তাদের জন্য বিশেষ সুবিধা দেয়া হবে।’
প্রধান অতিথি বলেন, ‘বাংলাদেশে আমরা মাদকপ্রস্তুত করি না। তারপরেও এই মাদকের ছোবল থেকে আমাদের যুব সমাজকে রক্ষা করতে পারছি না। সে জন্য গত মেয়াদে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছিলেন এবং আমরা সবাই মিলে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছিলাম। আমাদের যুব সমাজকে রক্ষার জন্য এবারও ক্ষমতায় এসে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’ প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘২০২১, ২০৪১ সাল নিয়ে আমরা যে স্বপ্ন দেখছি, এখন যদি আমাদের যুব সমাজ, নতুন প্রজন্মকে রক্ষা করতে না পারি তা হলে অবশ্যই পথ হারিয়ে যাবে। সম্ভাবনাময়ী দেশ বাংলাদেশ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে যে বাংলাদেশ আজকে সারা বিশ্বের বিস্ময়ে পরিণত হয়েছে। সে জায়গা থেকে আমরা পথ হারিয়ে ফেলবো। আমাদের নতুন প্রজন্ম, আমাদের মেধাকে আমরা পথ হারাতে দেবো না। আমরা চাই না পিতা-মাতার হত্যাকারী সন্তান ঐশী যেন আরেকটি না হয়।’
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের কোথাও বা কোন সীমান্তে আইএস’র ঘাঁটি নাই। এটি একটি আন্তর্জাতিক চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের অংশ। দেশে পথহারানো কিছু বিপথগামী মানুষ এই সংগঠনটির নাম ব্যবহার করে হিরো সাজার জন্য অনেক কিছুই করে থাকে। আমরা এ পর্যন্ত যাদেরকে ধরেছি প্রত্যেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন ভাবে প্রভাবিত হয়ে চরমপন্থী হয়ে উঠেছে। আসলে আইএস’র সঙ্গে এদের কোন সম্পর্ক নাই। ইতোপূর্বে আমরা তাদেরকে কঠোর ভাবে দমন করেছি এবং সফল হয়েছি। বাংলাদেশের জনগণ জঙ্গীকে আশ্রয় প্রশ্রয় দেয় না। এখন তারা যদি সঠিক পথে ফিরে না আসে তবে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’


বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক সাফিনুল ইসলাম এনডিসি, পিএসসি বলেন, ‘মাদক নিমূর্লে সীমান্তসহ জনগণের নিরাপত্তায় আমাদের পেশাগত দায়িত্বের পাশাপাশি এটি সামাজিক দায়িত্ব বলেও মনে করি। কারণ, মাদকের সঙ্গে সকল অপরাধের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। যার কারণে আজ আমাদের যুব সমাজ ধ্বংসের করাল গ্রাসে। তাই মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা আজ আমাদের সামাজিক ও নৈতিক দায়িত্বে।’
স্বাগত বক্তব্যে দক্ষিণ-পশ্চিম যশোর রিজিয়ন কমান্ডার আইনুল মোর্শেদ খান পাঠান বলেন, ‘মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণের নির্দেশ দেন। এরপর মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজিবি মহাপরিচালক দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তারই ফলশ্রুতিতে বিগত কয়েক মাসে সারাদেশে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য আটক করা সম্ভব হয়েছে।’


অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান, যুগ্ম সচিব ড. মো. হারুন-অর-রশিদ বিশ্বাস, বিজিবি’র দক্ষিণ-পশ্চিম যশোর রিজিয়নের ডেপুটি কমান্ডার আমিরুল ইসলাম পিএসসি, খুলনা সেক্টর কমান্ডার আরশাদুজ্জামান খান, কুষ্টিয়া সেক্টর কমান্ডার বেনজীর আহমেদ, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি’র পরিচালক লে. কর্ণেল ইমাম হাসান মৃধা, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস, পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম (বার), পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু। এছাড়া স্কুল শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে গত বছরের ৩০ এপ্রিল থেকে চলতি বছরের ১২ এপ্রিল পর্যন্ত বিজিবির হাতে আটক হওয়া ভারতীয় বিভিন্ন প্রকারের ২১ হাজার ৩২ বোতল মদ, ১ লাখ ৫৪ হাজার ৪০৯ বোতল ফেন্সিডিল, ১ হাজার ১৫৫ কেজি গাঁজা, ২ কেজি ৪৯৪ গ্রাম হেরোইন, ১৯ হাজার ৮০১ পিস ইয়াবা, ২ লাখ ৮৪ হাজার ৭৬৬ পিচ নেশা জাতীয় ট্যাবলেট, ৪৪ হাজার ৫৮৩ প্যাকেট পাতার বিড়ি, ৫০০ কেজি ডলোমাইন পাউডার, ২৯ কেজি কার্বাইড, ৪ হাজার ৬২০টি নেশা জাতীয় ইনজেকশন ও ৪ কেজি জট তামাক ধংস করা হয়।