ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মাদকাসক্ত দুই যুবকের গল্প নিয়েই ‘ক্রসফায়ার’

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৫:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • / ৩০২ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত শর্টফিল্মের প্রদর্শনী ও পরিচালককে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন

নাট্যজন ও শর্টফিল্ম নির্মাতা আনোয়ার হোসেন চুয়াডাঙ্গা জেলার গর্ব
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় ‘ষষ্ঠ আন্তর্জাতিক শর্টফিল্ম ফেস্টিভ্যাল-২০১৯’-এ পুরস্কারপ্রাপ্ত শর্টফিল্ম ক্রসফায়ার-এর প্রদর্শনী ও এর পরিচালক আনোয়ার হোসেনকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাতটায় চুয়াডাঙ্গা শ্রীমন্ত টাউন হল মিলনায়তনে চুয়াডাঙ্গার সংস্কৃতি-কর্মীবৃন্দের আয়োজনে এ প্রদর্শনী ও শুভেচ্ছাজ্ঞাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংলাপ সংস্কৃতি গোষ্ঠীর সভাপতি নজির আহমেদ। অনুষ্ঠানের শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন অরিন্দমের নির্বাহী সদস্য নুরুল ইসলাম মালিক। এরপর ক্রসফায়ার-এর পরিচালক আনোয়ার হোসেনের ফিল্ম নির্মাণবিষয়ক কিছু কথার পরপরই প্রদর্শিত হয় শর্টফিল্ম নির্মাতা সংগঠন ‘ সিনেম্যাড’-এর ১৩ মিনিটের ফিল্ম ক্রসফায়ার।
প্রদর্শনীর আগে পরিচালক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি মূলত থিয়েটারের মানুষ। ১৯৯০ সালে আমি থিয়েটার শুরু করি। থিয়েটার এমন এক জায়গা, যেখানে দাঁড়িয়ে কথা বলা যায়। শর্টফিল্ম ক্রসফায়ারেও আমরা কিছু কথা বলার চেষ্টা করেছি।’ এরপর তিনি ক্রসফায়ার নির্মাণের সঙ্গে জড়িত তাঁর দশ সহকর্মীকে সকলের সামনে পরিচয় করিয়ে দেন।
ক্রসফায়ার-এর দৃশ্যে ধরা পড়ে মাদকাসক্ত দুই যুবকের ক্রসফায়ারের গল্প ও ক্রসফায়ার দেওয়ার পর একজন পুলিশ অফিসারের আত্মদহন। দুই মাদকাসক্ত যুবক নেশার টাকা জোগার করতে না পারার দৃশ্যের মধ্য দিয়ে ফিল্মের দৃশ্য শুরু হয়। নেশার টাকা জোগার করতে দুজনের মধ্যে একজন যুবক এক বৃদ্ধ পথচারীকে হত্যা করে এবং তাঁর টাকার ব্যাগ নিয়ে পালায়। এ ঘটনা জানার পর পুলিশ অফিসার তাঁদের নেশার আস্তানায় হানা দেন এবং নেশাগ্রস্ত যুবকদের গুলি করেন। এ সময় এক যুবকের ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয়। পরবর্তী দৃশ্যে দেখা যায়, একজন পুলিশ অফিসারের এ ধরনের অভিযান সংঘটিত করার পর তাঁর মানবিক হৃদয়ের দহনচিত্র। তবু সমাজ বাঁচাতে দায়িত্ববোধের অবিচল আস্থায় তিনি এ পুরো গল্পটি ক্রসফায়ার বলে চালিয়ে দেন।
শর্টফিল্ম ক্রসফায়ার প্রদর্শনী শেষে বিশেষ অতিথিরা শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি মুন্সী জাহাঙ্গীর আলম মান্নান, দৈনিক সময়ের সমীকরণ-এর প্রধান সম্পাদক নাজমুল হক স্বপন, চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক মুন্সী, চুয়াডাঙ্গা মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ নওরোজ মোহাম্মদ সাঈদ ও অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বক্তারা বলেন, ‘নাট্যজন ও শর্টফিল্ম নির্মাতা সৃজনশীল প্রতিভার অধিকারী আনোয়ার হোসেন চুয়াডাঙ্গা জেলা তথা আমাদের গর্ব। তাঁর ফিল্মের চিত্রভাষায় আমরা পেয়েছি, এক সমৃদ্ধ সমাজ গঠনের বার্তা।’
অনুষ্ঠানের সভাপতি নজির আহমেদের শুভেচ্ছা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শেষ হয় শর্টফিল্ম ক্রসফায়ার-এর প্রদর্শনী ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অরিন্দমের সভাপতি আব্দুস সালাম সৈকত।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মাদকাসক্ত দুই যুবকের গল্প নিয়েই ‘ক্রসফায়ার’

আপলোড টাইম : ০৯:১৫:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯

চুয়াডাঙ্গায় আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত শর্টফিল্মের প্রদর্শনী ও পরিচালককে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন

নাট্যজন ও শর্টফিল্ম নির্মাতা আনোয়ার হোসেন চুয়াডাঙ্গা জেলার গর্ব
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় ‘ষষ্ঠ আন্তর্জাতিক শর্টফিল্ম ফেস্টিভ্যাল-২০১৯’-এ পুরস্কারপ্রাপ্ত শর্টফিল্ম ক্রসফায়ার-এর প্রদর্শনী ও এর পরিচালক আনোয়ার হোসেনকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাতটায় চুয়াডাঙ্গা শ্রীমন্ত টাউন হল মিলনায়তনে চুয়াডাঙ্গার সংস্কৃতি-কর্মীবৃন্দের আয়োজনে এ প্রদর্শনী ও শুভেচ্ছাজ্ঞাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংলাপ সংস্কৃতি গোষ্ঠীর সভাপতি নজির আহমেদ। অনুষ্ঠানের শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন অরিন্দমের নির্বাহী সদস্য নুরুল ইসলাম মালিক। এরপর ক্রসফায়ার-এর পরিচালক আনোয়ার হোসেনের ফিল্ম নির্মাণবিষয়ক কিছু কথার পরপরই প্রদর্শিত হয় শর্টফিল্ম নির্মাতা সংগঠন ‘ সিনেম্যাড’-এর ১৩ মিনিটের ফিল্ম ক্রসফায়ার।
প্রদর্শনীর আগে পরিচালক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি মূলত থিয়েটারের মানুষ। ১৯৯০ সালে আমি থিয়েটার শুরু করি। থিয়েটার এমন এক জায়গা, যেখানে দাঁড়িয়ে কথা বলা যায়। শর্টফিল্ম ক্রসফায়ারেও আমরা কিছু কথা বলার চেষ্টা করেছি।’ এরপর তিনি ক্রসফায়ার নির্মাণের সঙ্গে জড়িত তাঁর দশ সহকর্মীকে সকলের সামনে পরিচয় করিয়ে দেন।
ক্রসফায়ার-এর দৃশ্যে ধরা পড়ে মাদকাসক্ত দুই যুবকের ক্রসফায়ারের গল্প ও ক্রসফায়ার দেওয়ার পর একজন পুলিশ অফিসারের আত্মদহন। দুই মাদকাসক্ত যুবক নেশার টাকা জোগার করতে না পারার দৃশ্যের মধ্য দিয়ে ফিল্মের দৃশ্য শুরু হয়। নেশার টাকা জোগার করতে দুজনের মধ্যে একজন যুবক এক বৃদ্ধ পথচারীকে হত্যা করে এবং তাঁর টাকার ব্যাগ নিয়ে পালায়। এ ঘটনা জানার পর পুলিশ অফিসার তাঁদের নেশার আস্তানায় হানা দেন এবং নেশাগ্রস্ত যুবকদের গুলি করেন। এ সময় এক যুবকের ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয়। পরবর্তী দৃশ্যে দেখা যায়, একজন পুলিশ অফিসারের এ ধরনের অভিযান সংঘটিত করার পর তাঁর মানবিক হৃদয়ের দহনচিত্র। তবু সমাজ বাঁচাতে দায়িত্ববোধের অবিচল আস্থায় তিনি এ পুরো গল্পটি ক্রসফায়ার বলে চালিয়ে দেন।
শর্টফিল্ম ক্রসফায়ার প্রদর্শনী শেষে বিশেষ অতিথিরা শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি মুন্সী জাহাঙ্গীর আলম মান্নান, দৈনিক সময়ের সমীকরণ-এর প্রধান সম্পাদক নাজমুল হক স্বপন, চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক মুন্সী, চুয়াডাঙ্গা মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ নওরোজ মোহাম্মদ সাঈদ ও অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বক্তারা বলেন, ‘নাট্যজন ও শর্টফিল্ম নির্মাতা সৃজনশীল প্রতিভার অধিকারী আনোয়ার হোসেন চুয়াডাঙ্গা জেলা তথা আমাদের গর্ব। তাঁর ফিল্মের চিত্রভাষায় আমরা পেয়েছি, এক সমৃদ্ধ সমাজ গঠনের বার্তা।’
অনুষ্ঠানের সভাপতি নজির আহমেদের শুভেচ্ছা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শেষ হয় শর্টফিল্ম ক্রসফায়ার-এর প্রদর্শনী ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অরিন্দমের সভাপতি আব্দুস সালাম সৈকত।