ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মাথাভাঙ্গা সেতুতে টাকার বিনিময়ে অতিরিক্ত পণ্যবাহী ট্রাক ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:২৪:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০১৯
  • / ১৭২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা মাথাভাঙ্গা সেতুতে রাতের আধারে টাকার বিনিময়ে অতিরিক্ত পণ্য বোঝাই ট্রাক ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দুই পাহারাদারের মধ্যে বাগবিত-া বাঁধে। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
জানা যায়, কয়েক মাস আগে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরের একমাত্র সংযোগ সেতু মাথাভাঙ্গার একটি অংশ ধসে পড়ে। পরে ওই ধসে পড়া স্থান মেরামত করার পর সর্বোচ্চ ১০ টন পর্যন্ত পণ্যবাহী গাড়িগুলো চলাচলের অনুমতি দেয় কর্তৃপক্ষ। পাশেই নতুন সেতু নির্মাণের কাজও চলমান। এ অবস্থায় সেতুটির নিরাপত্তার জন্য দুপাশেই পাহারা বসায় চুয়াডাঙ্গা সড়ক বিভাগ। চুয়াডাঙ্গা সড়ক বিভাগের চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের মাধ্যমে এ পাহারা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। তবে এ পাহারাদারসহ এলাকার কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবকদেও যোগসাজোশে দিনের আলোসহ রাতের আধারেও ভারি যানবাহন ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে ঝুকিপূর্ণ সেতুটি আরও ঝুঁকিতে পড়ছে। গতকাল রাতে ১০ টনের অধিক কাঠ বোঝায় একটি ট্রাক ৫ শ টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে সেতুর দৌলাতদিয়াড় এলাকার পাহারাদার জাফর গাড়িটি আটক করলে ট্রাক চালক তাঁকে বলেন, ৫ শ টাকার বিনিময়ে গাড়ি পার করার অনুমতি দিয়েছে সেতুর অপর প্রান্তের পাহারাদার। বিষয়টি নিয়ে পাহারাদার লিটু-জাফরসহ স্থানীয় ব্যক্তিরা বাগবিত-ায় জড়িয়ে পড়ে। এ সময় উভয় পাহারাদারের মধ্যে বাগবিত-া শুরু হলে একপর্যায়ে লোকজন জড় হলে লিটু নামের ওই পাহারাদার সটকে পড়েন। পরে ঘটনাস্থলে সদর থানা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মাথাভাঙ্গা সেতুতে টাকার বিনিময়ে অতিরিক্ত পণ্যবাহী ট্রাক ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ

আপলোড টাইম : ১০:২৪:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা মাথাভাঙ্গা সেতুতে রাতের আধারে টাকার বিনিময়ে অতিরিক্ত পণ্য বোঝাই ট্রাক ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দুই পাহারাদারের মধ্যে বাগবিত-া বাঁধে। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
জানা যায়, কয়েক মাস আগে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরের একমাত্র সংযোগ সেতু মাথাভাঙ্গার একটি অংশ ধসে পড়ে। পরে ওই ধসে পড়া স্থান মেরামত করার পর সর্বোচ্চ ১০ টন পর্যন্ত পণ্যবাহী গাড়িগুলো চলাচলের অনুমতি দেয় কর্তৃপক্ষ। পাশেই নতুন সেতু নির্মাণের কাজও চলমান। এ অবস্থায় সেতুটির নিরাপত্তার জন্য দুপাশেই পাহারা বসায় চুয়াডাঙ্গা সড়ক বিভাগ। চুয়াডাঙ্গা সড়ক বিভাগের চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের মাধ্যমে এ পাহারা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। তবে এ পাহারাদারসহ এলাকার কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবকদেও যোগসাজোশে দিনের আলোসহ রাতের আধারেও ভারি যানবাহন ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে ঝুকিপূর্ণ সেতুটি আরও ঝুঁকিতে পড়ছে। গতকাল রাতে ১০ টনের অধিক কাঠ বোঝায় একটি ট্রাক ৫ শ টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে সেতুর দৌলাতদিয়াড় এলাকার পাহারাদার জাফর গাড়িটি আটক করলে ট্রাক চালক তাঁকে বলেন, ৫ শ টাকার বিনিময়ে গাড়ি পার করার অনুমতি দিয়েছে সেতুর অপর প্রান্তের পাহারাদার। বিষয়টি নিয়ে পাহারাদার লিটু-জাফরসহ স্থানীয় ব্যক্তিরা বাগবিত-ায় জড়িয়ে পড়ে। এ সময় উভয় পাহারাদারের মধ্যে বাগবিত-া শুরু হলে একপর্যায়ে লোকজন জড় হলে লিটু নামের ওই পাহারাদার সটকে পড়েন। পরে ঘটনাস্থলে সদর থানা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত হয়।