ইপেপার । আজমঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মহেশপুরে সিজারের পর কিশোরীর মৃত্যু!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৫৬:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ অগাস্ট ২০২০
  • / ১৯৯ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার নেপার মোড়ে একতা ক্লিনিকে লাবনী আক্তার (১৬) নামের এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। লাবনী মহেশপুরের সেজিয়া গ্রামের নাঈম হাসানের স্ত্রী। সোহেল রানা নামের কথিত এক চিকিৎসক সিজার করার পরপরই গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে লাবনী। নিজেদের অপকর্ম আড়াল করার জন্য লাবনীর মৃত লাশ জীবিত দেখিয়ে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনার পর ডাক্তার ও ক্লিনিকের মালিক গা-ঢাকা দিয়ে আছে। টাকা দিয়ে এই মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তবে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম জানিয়েছেন, ‘লাবনী মৃত্যুর ঘটনার কারো ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। আমি বিষয়টি তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলেছি।’ নাঈম অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার ভোরে তাঁর স্ত্রীর প্রসব বেদনা শুরু হলে নেপার মোড়ে অবস্থিত মোহন লাল ও তাঁর ছেলে সোহেলের মালিকানাধীন একতা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। এরপর কথিত চিকিৎসক ডা. সোহেল রানা লাবনীকে সিজার করেন। সিজারের পরপরই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে লাবনী। এলাকাবাসী জানান, ক্লিনিকটির কোনো লাইসেন্স নেই। নেই চিকিৎসার ন্যূনতম কোনো পরিবেশ। অজপাড়া গাঁয়ের এই ক্লিনিকে সর্বক্ষণ কোনো চিকিৎসক থাকে না। নেই কোনো প্রশিক্ষিত নার্স। হাসপাতালের মালিক মোহন লাল ওয়ার্ড বয়, মা আয়া ও ছেলে সোহেল ডাক্তার সেজে ক্লিনিকটি পরিচালনা করেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
এ ব্যাপারে ক্লিনিকের চিকিৎসক সোহেল রানার বক্তব্য নেওয়ার জন্য তাঁদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম জানান, ‘শুনেছি নেপার বাজারের একতা ক্লিনিকে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। আমি মহেশপুরের স্বাস্থ্য অফিসার ডা. আনজুমান আরাকে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলেছি। এ বিষয়ে কাউকে ছাড়া দেওয়ার আর স্কোপ নেই।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মহেশপুরে সিজারের পর কিশোরীর মৃত্যু!

আপলোড টাইম : ১০:৫৬:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ অগাস্ট ২০২০

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার নেপার মোড়ে একতা ক্লিনিকে লাবনী আক্তার (১৬) নামের এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। লাবনী মহেশপুরের সেজিয়া গ্রামের নাঈম হাসানের স্ত্রী। সোহেল রানা নামের কথিত এক চিকিৎসক সিজার করার পরপরই গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে লাবনী। নিজেদের অপকর্ম আড়াল করার জন্য লাবনীর মৃত লাশ জীবিত দেখিয়ে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনার পর ডাক্তার ও ক্লিনিকের মালিক গা-ঢাকা দিয়ে আছে। টাকা দিয়ে এই মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তবে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম জানিয়েছেন, ‘লাবনী মৃত্যুর ঘটনার কারো ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। আমি বিষয়টি তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলেছি।’ নাঈম অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার ভোরে তাঁর স্ত্রীর প্রসব বেদনা শুরু হলে নেপার মোড়ে অবস্থিত মোহন লাল ও তাঁর ছেলে সোহেলের মালিকানাধীন একতা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। এরপর কথিত চিকিৎসক ডা. সোহেল রানা লাবনীকে সিজার করেন। সিজারের পরপরই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে লাবনী। এলাকাবাসী জানান, ক্লিনিকটির কোনো লাইসেন্স নেই। নেই চিকিৎসার ন্যূনতম কোনো পরিবেশ। অজপাড়া গাঁয়ের এই ক্লিনিকে সর্বক্ষণ কোনো চিকিৎসক থাকে না। নেই কোনো প্রশিক্ষিত নার্স। হাসপাতালের মালিক মোহন লাল ওয়ার্ড বয়, মা আয়া ও ছেলে সোহেল ডাক্তার সেজে ক্লিনিকটি পরিচালনা করেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
এ ব্যাপারে ক্লিনিকের চিকিৎসক সোহেল রানার বক্তব্য নেওয়ার জন্য তাঁদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম জানান, ‘শুনেছি নেপার বাজারের একতা ক্লিনিকে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। আমি মহেশপুরের স্বাস্থ্য অফিসার ডা. আনজুমান আরাকে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলেছি। এ বিষয়ে কাউকে ছাড়া দেওয়ার আর স্কোপ নেই।’