ইপেপার । আজমঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মহিরকে পিটিয়ে অজ্ঞান, শহরজুড়ে আতঙ্ক

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:২২:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ জুলাই ২০১৯
  • / ২২৬ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গায় টুটুলের কান্ড ॥ জমি সংক্রান্ত বিরোধে
আলমডাঙ্গা অফিস:
আলমডাঙ্গায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে পিডিবির অফিসের সামনে থেকে মহির উদ্দীন নামের এক ব্যক্তিকে গুরতর আহত অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে আলমডাঙ্গা স্টেশন এলাকা থেকে আনন্দধাম এলাকায় ধরে নিয়ে গিয়ে অমানুষিক নির্যাতন শেষে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নেন টুটুল। পরে তাঁকে পিডিবির অফিসের সামনে ফেলে রাখা হয়। গতকাল শুক্রবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার গোবিন্দপুর গ্রামের মহির উদ্দীনের ফুফুর নিকট থেকে স্টেশনপাড়ার নূরু কাসারুর ছেলে টুটুল এক খ- জমি কেনেন। জমিটি খরিদের সময় তিনি আরএস রেকর্ড দেখে জমি কেনেন। কিন্তু আরএস রেকর্ডের ভিত্তিতে ওই জমির অংশ দাবি করে আসছিলেন মহির উদ্দীন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। পরশু রাতে মহির উদ্দীন গোবিন্দপুরের মকবুল হোসেনের ছেলে ও টুটুলের লোক শাহাবুলকে মারধর করেন। এরই জের ধরে গতকাল শুক্রবার সকালে টুটুল ৪-৫ জন সঙ্গী নিয়ে স্টেশন এলাকা থেকে মহির উদ্দীনকে শহরের আরেক প্রান্ত আনন্দধাম এলাকায় নিয়ে যান। সেখানে অমানুষিক নির্যাতন করার একপর্যায়ে জ্ঞান হারান মহির উদ্দীন। অজ্ঞান অবস্থায় ভ্যানে করে নিয়ে গিয়ে শহরের ওজোপাডিকো অফিসের সামনে ফেলে রেখে যান তাঁরা। পরে তাঁকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে শহরের ফাতেমা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে পরে হারদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।
এ দিকে সকালে মহির উদ্দীনের সংজ্ঞাহীন দেহ রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখে কেউ কেউ তাঁকে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখা হয়েছে মর্মে ফেসবুকে ছবিসহ স্ট্যাটাস দেন। এতে পুলিশ প্রশাসনসহ জেলার অনেক সংবাদকর্মীই বিভ্রান্ত হন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মহিরকে পিটিয়ে অজ্ঞান, শহরজুড়ে আতঙ্ক

আপলোড টাইম : ১১:২২:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ জুলাই ২০১৯

আলমডাঙ্গায় টুটুলের কান্ড ॥ জমি সংক্রান্ত বিরোধে
আলমডাঙ্গা অফিস:
আলমডাঙ্গায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে পিডিবির অফিসের সামনে থেকে মহির উদ্দীন নামের এক ব্যক্তিকে গুরতর আহত অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে আলমডাঙ্গা স্টেশন এলাকা থেকে আনন্দধাম এলাকায় ধরে নিয়ে গিয়ে অমানুষিক নির্যাতন শেষে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নেন টুটুল। পরে তাঁকে পিডিবির অফিসের সামনে ফেলে রাখা হয়। গতকাল শুক্রবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার গোবিন্দপুর গ্রামের মহির উদ্দীনের ফুফুর নিকট থেকে স্টেশনপাড়ার নূরু কাসারুর ছেলে টুটুল এক খ- জমি কেনেন। জমিটি খরিদের সময় তিনি আরএস রেকর্ড দেখে জমি কেনেন। কিন্তু আরএস রেকর্ডের ভিত্তিতে ওই জমির অংশ দাবি করে আসছিলেন মহির উদ্দীন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। পরশু রাতে মহির উদ্দীন গোবিন্দপুরের মকবুল হোসেনের ছেলে ও টুটুলের লোক শাহাবুলকে মারধর করেন। এরই জের ধরে গতকাল শুক্রবার সকালে টুটুল ৪-৫ জন সঙ্গী নিয়ে স্টেশন এলাকা থেকে মহির উদ্দীনকে শহরের আরেক প্রান্ত আনন্দধাম এলাকায় নিয়ে যান। সেখানে অমানুষিক নির্যাতন করার একপর্যায়ে জ্ঞান হারান মহির উদ্দীন। অজ্ঞান অবস্থায় ভ্যানে করে নিয়ে গিয়ে শহরের ওজোপাডিকো অফিসের সামনে ফেলে রেখে যান তাঁরা। পরে তাঁকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে শহরের ফাতেমা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে পরে হারদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।
এ দিকে সকালে মহির উদ্দীনের সংজ্ঞাহীন দেহ রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখে কেউ কেউ তাঁকে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখা হয়েছে মর্মে ফেসবুকে ছবিসহ স্ট্যাটাস দেন। এতে পুলিশ প্রশাসনসহ জেলার অনেক সংবাদকর্মীই বিভ্রান্ত হন।