ইপেপার । আজমঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে ইসির চিঠি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৪১:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ নভেম্বর ২০১৮
  • / ২৭৫ বার পড়া হয়েছে

অনুমতি ছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারী বদলি নয়
ডেস্ক রিপোর্ট: নির্বাচন কমিশনের পূর্ব অনুমতি ছাড়া কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলি করা যাবে না বলে আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা স্মরণ করিয়ে মন্ত্রিপরিষদকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সই করা এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে দেওয়া ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ এবং আরপিওর ৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচনের কাজে সহায়তা প্রদান সব নির্বাহী বিভাগের কর্তব্য। কোনো কর্মকর্তা দায়িত্ব পাওয়ার পর অব্যাহতি না দেওয়া পর্যন্ত চাকরির অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে ইসির অধীনে প্রেষণে আছেন বলে গণ্য হবেন। এ ছাড়াও আরপিওর ৪৪-ই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচনের সময়সূচি জারি হওয়ার পর থেকে ফল ঘোষণার ১৫ দিন পর্যন্ত ইসির অনুমতি ছাড়া কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অন্যত্র বদলি না করার বিধান রয়েছে। চিঠিতে নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের অব্যাহতি না দেওয়া পর্যন্ত যাতে তাদের অন্যত্র বদলি করা বা ছুটি দেওয়া না হয় অথবা নির্বাচনী দায়িত্ব ব্যাহত হতে পারে এমন কোনো কাজে নিয়োজিত না করা হয়, তা নিশ্চিত করতে সব মন্ত্রণালয়-বিভাগ, সরকারি স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস-প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলোকে পরিপত্রের মাধ্যমে নির্দেশ দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে দেওয়া পৃথক আরেকটি চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনে সকল সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত অফিস বা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারী এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেসরকারি অফিস প্রতিষ্ঠান থেকেও প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে। ভোট গ্রহণের পাশাপাশি নির্বাচনের বিভিন্ন দায়িত্বও দেওয়া হবে তাদের। নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। এই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সততা, নিষ্ঠা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। বিষয়টি নিশ্চিত করতে ‘নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১’ উল্লেখ করা চিঠিতে বলা হয়, এ সম্পর্কে সবাইকে সজাগ থাকতে এবং যথাযথভাবে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন নিশ্চিত করতে পরিপত্রের মাধ্যমে নির্দেশনা দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে ইসির চিঠি

আপলোড টাইম : ০৯:৪১:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ নভেম্বর ২০১৮

অনুমতি ছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারী বদলি নয়
ডেস্ক রিপোর্ট: নির্বাচন কমিশনের পূর্ব অনুমতি ছাড়া কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলি করা যাবে না বলে আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা স্মরণ করিয়ে মন্ত্রিপরিষদকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সই করা এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে দেওয়া ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ এবং আরপিওর ৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচনের কাজে সহায়তা প্রদান সব নির্বাহী বিভাগের কর্তব্য। কোনো কর্মকর্তা দায়িত্ব পাওয়ার পর অব্যাহতি না দেওয়া পর্যন্ত চাকরির অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে ইসির অধীনে প্রেষণে আছেন বলে গণ্য হবেন। এ ছাড়াও আরপিওর ৪৪-ই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচনের সময়সূচি জারি হওয়ার পর থেকে ফল ঘোষণার ১৫ দিন পর্যন্ত ইসির অনুমতি ছাড়া কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অন্যত্র বদলি না করার বিধান রয়েছে। চিঠিতে নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের অব্যাহতি না দেওয়া পর্যন্ত যাতে তাদের অন্যত্র বদলি করা বা ছুটি দেওয়া না হয় অথবা নির্বাচনী দায়িত্ব ব্যাহত হতে পারে এমন কোনো কাজে নিয়োজিত না করা হয়, তা নিশ্চিত করতে সব মন্ত্রণালয়-বিভাগ, সরকারি স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস-প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলোকে পরিপত্রের মাধ্যমে নির্দেশ দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে দেওয়া পৃথক আরেকটি চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনে সকল সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত অফিস বা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারী এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেসরকারি অফিস প্রতিষ্ঠান থেকেও প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে। ভোট গ্রহণের পাশাপাশি নির্বাচনের বিভিন্ন দায়িত্বও দেওয়া হবে তাদের। নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। এই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সততা, নিষ্ঠা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। বিষয়টি নিশ্চিত করতে ‘নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১’ উল্লেখ করা চিঠিতে বলা হয়, এ সম্পর্কে সবাইকে সজাগ থাকতে এবং যথাযথভাবে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন নিশ্চিত করতে পরিপত্রের মাধ্যমে নির্দেশনা দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।