ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মধ্যমপন্থায়ই মুক্তি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৮:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মার্চ ২০১৮
  • / ৩৬০ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: সবকিছুতে মধ্যমপন্থা অবলম্বন হলো- সাফল্য লাভের চাবিকাঠি। এ প্রসঙ্গে কোরানে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘এভাবেই আমি তোমাদের এক মধ্যমপন্থি মানব দলে পরিণত করেছি, যেন তোমরা দুনিয়ার অন্য মানুষদের ওপর সাক্ষী হয়ে থাকতে পারো।’ -সূরা বাকারা: ১৪৩। চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, আতিথেয়তা ও উদারতার জন্য মুসলমানেরা প্রশংসিত। মুসলমানেরা মধ্যমপন্থা অবলন্বনকারী। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘প্রকৃত মুসলমান সেই ব্যক্তি, যার জিহ্বা এবং হাত থেকে সকল মুসলমান নিরাপদ থাকে।’ -সহিহ বোখারি ইসলাম মনে করে, উগ্রপন্থা কিংবা চরমপন্থা হলো- শয়তানের পথ, অভিশপ্ত পথ। নিজেদেরকে ধ্বংসের হাত থেতে রক্ষা করতে হলে চরমপন্থা পরিহার করতে হবে। শয়তান সব সময় মানুষকে মন্দ কাজের প্রতি উৎসাহিত করে। শয়তানের অনুসারীরা মানুষের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লাগানোর জন্য চেষ্টা করে। তাই মানুষরূপী শয়তান সম্পর্কে মুমিনদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। এ বিষয়ে কোরানে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা ইসলামে পরিপূর্ণরূপে দাখিল হও এবং শয়তানের পদাংক অনুসরণ করো না। নিশ্চয়ই সে তোমাদের জন্য প্রকাশ্য শত্রু’ -সূরা বাকারা: ২০৮ পৃথিবীজুড়ে এক ধরনের অস্থিরতা চলছে। মানুষের নৈতিকতার অবক্ষয় ঘটছে। অনেকই ভালো-মন্দ, পাপ-পুণ্য এসবের বিচার বিশ্লেষণ করছে না। দুর্বলের ওপর সবলের দখল নির্যাতন হামলা-মামলা, অত্যাচার-শোষণ-জুলুম চলছে। এমতাবস্থায় মুসলমানদের মনে রাখতে হবে, আল্লাহর নিকট থেকে শুরুতেই শয়তান মানুষের মনের মধ্যে কুমন্ত্রণা দেয়ার ক্ষমতা চেয়ে নিয়েছিল। মুসলমানের ইমান আকিদা ঐতিহ্য ধ্বংস করতে শয়তান সদা সর্বদা তৎপর রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও তৎপর থাকবে। এরই ধারাবাহিকতায় কিছু মানুষ শয়তানের কুমন্ত্রণায় পড়ে উগ্রবাদ তথা জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে, যা মুসলমানের জন্য আশংকার বিষয়। এমন অবস্থা থেকে বাঁচতে দৈনন্দিন জীবন-যাপনের ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত ভোগ-বিলাস, হিংসা-নিন্দা পরিহার করে চলতে হবে। পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে মধ্যমপন্থার অনুসরণ করতে হতে হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মধ্যমপন্থায়ই মুক্তি

আপলোড টাইম : ০৯:১৮:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মার্চ ২০১৮

ধর্ম ডেস্ক: সবকিছুতে মধ্যমপন্থা অবলম্বন হলো- সাফল্য লাভের চাবিকাঠি। এ প্রসঙ্গে কোরানে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘এভাবেই আমি তোমাদের এক মধ্যমপন্থি মানব দলে পরিণত করেছি, যেন তোমরা দুনিয়ার অন্য মানুষদের ওপর সাক্ষী হয়ে থাকতে পারো।’ -সূরা বাকারা: ১৪৩। চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, আতিথেয়তা ও উদারতার জন্য মুসলমানেরা প্রশংসিত। মুসলমানেরা মধ্যমপন্থা অবলন্বনকারী। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘প্রকৃত মুসলমান সেই ব্যক্তি, যার জিহ্বা এবং হাত থেকে সকল মুসলমান নিরাপদ থাকে।’ -সহিহ বোখারি ইসলাম মনে করে, উগ্রপন্থা কিংবা চরমপন্থা হলো- শয়তানের পথ, অভিশপ্ত পথ। নিজেদেরকে ধ্বংসের হাত থেতে রক্ষা করতে হলে চরমপন্থা পরিহার করতে হবে। শয়তান সব সময় মানুষকে মন্দ কাজের প্রতি উৎসাহিত করে। শয়তানের অনুসারীরা মানুষের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লাগানোর জন্য চেষ্টা করে। তাই মানুষরূপী শয়তান সম্পর্কে মুমিনদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। এ বিষয়ে কোরানে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা ইসলামে পরিপূর্ণরূপে দাখিল হও এবং শয়তানের পদাংক অনুসরণ করো না। নিশ্চয়ই সে তোমাদের জন্য প্রকাশ্য শত্রু’ -সূরা বাকারা: ২০৮ পৃথিবীজুড়ে এক ধরনের অস্থিরতা চলছে। মানুষের নৈতিকতার অবক্ষয় ঘটছে। অনেকই ভালো-মন্দ, পাপ-পুণ্য এসবের বিচার বিশ্লেষণ করছে না। দুর্বলের ওপর সবলের দখল নির্যাতন হামলা-মামলা, অত্যাচার-শোষণ-জুলুম চলছে। এমতাবস্থায় মুসলমানদের মনে রাখতে হবে, আল্লাহর নিকট থেকে শুরুতেই শয়তান মানুষের মনের মধ্যে কুমন্ত্রণা দেয়ার ক্ষমতা চেয়ে নিয়েছিল। মুসলমানের ইমান আকিদা ঐতিহ্য ধ্বংস করতে শয়তান সদা সর্বদা তৎপর রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও তৎপর থাকবে। এরই ধারাবাহিকতায় কিছু মানুষ শয়তানের কুমন্ত্রণায় পড়ে উগ্রবাদ তথা জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে, যা মুসলমানের জন্য আশংকার বিষয়। এমন অবস্থা থেকে বাঁচতে দৈনন্দিন জীবন-যাপনের ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত ভোগ-বিলাস, হিংসা-নিন্দা পরিহার করে চলতে হবে। পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে মধ্যমপন্থার অনুসরণ করতে হতে হবে।