ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ভ্যান বিক্রি করেও চিকিৎসা নিতে পারছেন না আমির

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:০৭:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুন ২০২০
  • / ১৫৫ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:
সংসারে আয়-রোজগারের সম্বল ছিল আমির হোসেন মণ্ডলের একটি মাত্র ভ্যান। অসুস্থ হওয়ার পর সেটি বিক্রি করেছেন। তারপরও চিকিৎসা হতে পারছেন না আমির হোসেন। চিকিৎসকেরা বলেছেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যেতে হবে। কিন্তু তাঁর কাছে কোনো অর্থ নেই। তাই ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল থেকে সোজা বাড়ি চলে গেছেন। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বৈডাঙ্গা গ্রামের জোয়ারদার পাড়ার মৃত মফিজ উদ্দীন মণ্ডলের ছেলে আমির হোসেন (৫৫) এখন জীবন -মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। স্ত্রী ও তিন কন্যা নিয়ে আমিরের সংসার। নিজে অসুস্থ হয়ে পড়ায় আমির হোসেনের সংসারের চাকা থেমে গেছে। ভ্যানটি বিক্রি করে দিয়ে পড়েছেন আরও বিপাকে। বেঁচে থাকার কোনো দিশা পাচ্ছেন না। স্ত্রী সোনা ভানু জানান, তাঁর স্বামীর বুকের হাড় ক্ষয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে রয়েছে অ্যাজমা। গত ৭ বছর ধরে আমির এই রোগে ভুগছেন। অর্থ না থাকায় ভালোভাবে চিকিৎসা হতে পারেননি। প্রতিবেশী বৈডাঙ্গা সেরেগুল হোসেন জানান, ভ্যানচালক আমির হোসেন হতদরিদ্র পরিবারের মানুষ। ১০ দিন হাসপাতালে থাকার পর টাকা জোগাড় করতে পারেননি। চিকিৎসকেরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর অথবা ঢাকার ভালো কোনো হাসপাতালে নিতে বলেছেন। কিন্তু তাঁর চিকিৎসার কোনো অর্থ নেই। ফলে স্ত্রী ও তিন মেয়ে নিয়ে হতাশায় পড়েছেন ভ্যানচালক আমির। সমাজের বিত্তবানরা কেউ আর্থিক সহায়তা করতে চাইলে আমির হোসেনের ছোট কন্যা জুলিয়ার ০১৯৫০-৪১৪৮৮২ নম্বরে যোগাযোগ বা বিকাশ করতে পারেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ভ্যান বিক্রি করেও চিকিৎসা নিতে পারছেন না আমির

আপলোড টাইম : ০৯:০৭:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুন ২০২০

ঝিনাইদহ অফিস:
সংসারে আয়-রোজগারের সম্বল ছিল আমির হোসেন মণ্ডলের একটি মাত্র ভ্যান। অসুস্থ হওয়ার পর সেটি বিক্রি করেছেন। তারপরও চিকিৎসা হতে পারছেন না আমির হোসেন। চিকিৎসকেরা বলেছেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যেতে হবে। কিন্তু তাঁর কাছে কোনো অর্থ নেই। তাই ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল থেকে সোজা বাড়ি চলে গেছেন। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বৈডাঙ্গা গ্রামের জোয়ারদার পাড়ার মৃত মফিজ উদ্দীন মণ্ডলের ছেলে আমির হোসেন (৫৫) এখন জীবন -মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। স্ত্রী ও তিন কন্যা নিয়ে আমিরের সংসার। নিজে অসুস্থ হয়ে পড়ায় আমির হোসেনের সংসারের চাকা থেমে গেছে। ভ্যানটি বিক্রি করে দিয়ে পড়েছেন আরও বিপাকে। বেঁচে থাকার কোনো দিশা পাচ্ছেন না। স্ত্রী সোনা ভানু জানান, তাঁর স্বামীর বুকের হাড় ক্ষয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে রয়েছে অ্যাজমা। গত ৭ বছর ধরে আমির এই রোগে ভুগছেন। অর্থ না থাকায় ভালোভাবে চিকিৎসা হতে পারেননি। প্রতিবেশী বৈডাঙ্গা সেরেগুল হোসেন জানান, ভ্যানচালক আমির হোসেন হতদরিদ্র পরিবারের মানুষ। ১০ দিন হাসপাতালে থাকার পর টাকা জোগাড় করতে পারেননি। চিকিৎসকেরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর অথবা ঢাকার ভালো কোনো হাসপাতালে নিতে বলেছেন। কিন্তু তাঁর চিকিৎসার কোনো অর্থ নেই। ফলে স্ত্রী ও তিন মেয়ে নিয়ে হতাশায় পড়েছেন ভ্যানচালক আমির। সমাজের বিত্তবানরা কেউ আর্থিক সহায়তা করতে চাইলে আমির হোসেনের ছোট কন্যা জুলিয়ার ০১৯৫০-৪১৪৮৮২ নম্বরে যোগাযোগ বা বিকাশ করতে পারেন।