ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ভোটকে লড়াই হিসাবে নিতে চায় ঐক্যফ্রন্ট

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০১:০৩:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ নভেম্বর ২০১৮
  • / ৩৫১ বার পড়া হয়েছে

সিদ্ধান্ত নিতে আজ বৈঠক * পদযাত্রা, গণমিছিল, ঘেরাও কর্মসূচি আসছে * খালেদা জিয়ার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় নেতারা * ভোটে যাওয়ার প্রশ্নে স্থায়ী কমিটিতে দুই মত
ডেস্ক রিপোর্ট: নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় থাকার পাশাপাশি দাবি আদায়ের আন্দোলনও চালিয়ে যেতে চায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। নেতারা গতকাল জানিয়েছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে ভোটের মাঠে দেশের সব রাজনৈতিক দলের সমান অধিকার নিশ্চিত এবং গ্রহণযোগ্য তফসিল হলেই কেবল নির্বাচনে যাওয়ার কথা ভাববেন তারা। কোন কোন নেতা বলছেন, ভোটকে এই সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই হিসাবে নিতে চান। আজ শনিবার বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট, স্থায়ী কমিটি এবং ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আলাদা আলাদা বৈঠক করবে। এক্ষেত্রে ফ্রন্টের নেতাদের মতামত অনুযায়ী নির্বাচনী কৌশল ও পরবর্তী আন্দোলন কর্মসুচি ঠিক করবে দলটি। ঐক্যফ্রন্টের একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, তফসিল পিছিয়ে দেয়া, সব দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, গ্রেফতার, হয়রানি বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে তারা নির্বাচন কমিশনকে চিঠি প্রদান এবং আলোচনায় বসবেন। পাশাপাশি ৭ দফা দাবি আদায়ে পদযাত্রা, গণমিছিল, ঘেরাও, অবস্থানসহ বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসুচি ঘোষণা করবেন। এর ভেতর নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিবেন তারা।
এদিকে নির্বাচন, না আন্দোলন ? এই প্রশ্নে বিএনপিতে রয়েছে বিভক্ত মতামত। বৃহস্পতিবার দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এনিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেন নেতারা। সেখানে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মতামত নেয়ার কথা বলা হয়েছে। এজন্য দলের দুইজন আইনজীবিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে কারাগারে গিয়ে বেগম জিয়ার সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করতে। তার আগে দলের সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠক করেন স্থায়ী কমিটির নেতারা। সেখানে ৩৪ জন বক্তব্য দেন। তাদের মধ্যে ৪ জন বাদে সবাই খালেদা জিয়া ছাড়া নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে বক্তব্য দেন। গত বৃহস্পতিবার কারাগারে স্থাপিত আদালতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম জিয়ার সঙ্গে দুই মিনিট কথা বলেন। তিনি একঘন্টা কথা বলার সুযোগ চেয়ে আদালতে আবেদন করলেও তা মঞ্জুর হয়নি। মির্জা ফখরুল আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রশ্নে সিদ্ধান্ত জানতে চাইলে বেগম জিয়া বলেন, আপনারা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিন। এদিকে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে মির্জা ফখরুল জানান, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এবং ২০ দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছেন চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
স্থায়ী কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া ইত্তেফাককে বলেন, আমাদের অনেকেই আন্দোলনে যাওয়ার পক্ষে, কেউ কেউ আন্দোলন করে নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে। আবার কেউ কেউ আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে। প্রায় সবাই আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষেই মত দিচ্ছেন। তিনি বলেন, সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। তবে এনিয়ে দলে ভিন্নমতও আছে। তিনি আরো বলেন, নির্বাচনে গেলেও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, সংসদ ভেঙে দেয়া ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিসহ ৭ দফা দাবিতে যে আন্দোলন কর্মসূচি চলছে, তা অব্যাহত থাকবে।
এদিকে স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য জানান, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন বয়কট করলেও একাদশ সংসদ নির্বাচনে লড়াইয়ে থাকতে চান তারা। আজ শনিবার গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আলোচনার পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। এরপর দলের নির্বাচনী পরিকল্পনা, ইশতেহার ও দায়িত্ব বণ্টনের বিষয়টি চূড়ান্ত করবেন নীতিনির্ধারকরা। বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তফসিল ঘোষণা নিয়ে ২০ দল এবং ঐক্যজোটের শীর্ষ নেতারা অসন্তোষ প্রকাশ করলেও নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষেই বিএনপির অবস্থান। আন্দোলন কর্মসুচির পাশাপাশি একই সঙ্গে সম্পন্ন করা হবে নির্বাচনী প্রক্রিয়া। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ঐক্যফ্রন্টভুক্ত দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে আসন ভাগাভাগি করবে। প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেয়ার তারিখ পার হওয়ার পর বিএনপি আন্দোলন কর্মসূচিতে পরিবর্তন আনতে পারে। তখন পরিস্থিতি অন্যদিকেও গড়িয়ে নেয়া যেতে পারে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দিন সরকার বলেন, সবার মতামত নেয়ার পর দ্রুতই দলের সিদ্ধান্ত দেয়া হবে। স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, সামনে কী করতে হবে তা জানতে আমরা মতামত নিচ্ছি। দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা তাদের ভাবনা বলেছেন। শরিকদের মতামত নেয়া হচ্ছে। আবার ঐক্যফ্রন্ট আছে। সবকিছুর পরেই তো সিদ্ধান্ত আসবে। অন্যদিকে, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সংলাপে কোনো দাবি না মানার পরেও এই নির্বাচনে অংশ নিলে তা হবে সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন। দলের ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, বিএনপিকে বাইরে রেখে আবারো নির্বাচন করার সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না। জনগণের ভোটাধিকার রক্ষার জন্যই বিএনপি আন্দোলনে যাবে। নির্বাচন আন্দোলনেরই একটি অংশ। সরকারের লক্ষ্যই হল বিএনপি যেন নির্বাচনে না যায়। সুতরাং তাদের এই লক্ষ্য সিদ্ধ হতে দেব না। আমরা এবার নির্বাচনে যাওয়ার জন্য পুরোপুরি তৈরি হয়ে আছি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ভোটকে লড়াই হিসাবে নিতে চায় ঐক্যফ্রন্ট

আপলোড টাইম : ০১:০৩:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ নভেম্বর ২০১৮

সিদ্ধান্ত নিতে আজ বৈঠক * পদযাত্রা, গণমিছিল, ঘেরাও কর্মসূচি আসছে * খালেদা জিয়ার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় নেতারা * ভোটে যাওয়ার প্রশ্নে স্থায়ী কমিটিতে দুই মত
ডেস্ক রিপোর্ট: নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় থাকার পাশাপাশি দাবি আদায়ের আন্দোলনও চালিয়ে যেতে চায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। নেতারা গতকাল জানিয়েছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে ভোটের মাঠে দেশের সব রাজনৈতিক দলের সমান অধিকার নিশ্চিত এবং গ্রহণযোগ্য তফসিল হলেই কেবল নির্বাচনে যাওয়ার কথা ভাববেন তারা। কোন কোন নেতা বলছেন, ভোটকে এই সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই হিসাবে নিতে চান। আজ শনিবার বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট, স্থায়ী কমিটি এবং ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আলাদা আলাদা বৈঠক করবে। এক্ষেত্রে ফ্রন্টের নেতাদের মতামত অনুযায়ী নির্বাচনী কৌশল ও পরবর্তী আন্দোলন কর্মসুচি ঠিক করবে দলটি। ঐক্যফ্রন্টের একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, তফসিল পিছিয়ে দেয়া, সব দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, গ্রেফতার, হয়রানি বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে তারা নির্বাচন কমিশনকে চিঠি প্রদান এবং আলোচনায় বসবেন। পাশাপাশি ৭ দফা দাবি আদায়ে পদযাত্রা, গণমিছিল, ঘেরাও, অবস্থানসহ বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসুচি ঘোষণা করবেন। এর ভেতর নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিবেন তারা।
এদিকে নির্বাচন, না আন্দোলন ? এই প্রশ্নে বিএনপিতে রয়েছে বিভক্ত মতামত। বৃহস্পতিবার দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এনিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেন নেতারা। সেখানে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মতামত নেয়ার কথা বলা হয়েছে। এজন্য দলের দুইজন আইনজীবিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে কারাগারে গিয়ে বেগম জিয়ার সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করতে। তার আগে দলের সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠক করেন স্থায়ী কমিটির নেতারা। সেখানে ৩৪ জন বক্তব্য দেন। তাদের মধ্যে ৪ জন বাদে সবাই খালেদা জিয়া ছাড়া নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে বক্তব্য দেন। গত বৃহস্পতিবার কারাগারে স্থাপিত আদালতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম জিয়ার সঙ্গে দুই মিনিট কথা বলেন। তিনি একঘন্টা কথা বলার সুযোগ চেয়ে আদালতে আবেদন করলেও তা মঞ্জুর হয়নি। মির্জা ফখরুল আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রশ্নে সিদ্ধান্ত জানতে চাইলে বেগম জিয়া বলেন, আপনারা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিন। এদিকে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে মির্জা ফখরুল জানান, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এবং ২০ দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছেন চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
স্থায়ী কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া ইত্তেফাককে বলেন, আমাদের অনেকেই আন্দোলনে যাওয়ার পক্ষে, কেউ কেউ আন্দোলন করে নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে। আবার কেউ কেউ আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে। প্রায় সবাই আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষেই মত দিচ্ছেন। তিনি বলেন, সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। তবে এনিয়ে দলে ভিন্নমতও আছে। তিনি আরো বলেন, নির্বাচনে গেলেও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, সংসদ ভেঙে দেয়া ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিসহ ৭ দফা দাবিতে যে আন্দোলন কর্মসূচি চলছে, তা অব্যাহত থাকবে।
এদিকে স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য জানান, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন বয়কট করলেও একাদশ সংসদ নির্বাচনে লড়াইয়ে থাকতে চান তারা। আজ শনিবার গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আলোচনার পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। এরপর দলের নির্বাচনী পরিকল্পনা, ইশতেহার ও দায়িত্ব বণ্টনের বিষয়টি চূড়ান্ত করবেন নীতিনির্ধারকরা। বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তফসিল ঘোষণা নিয়ে ২০ দল এবং ঐক্যজোটের শীর্ষ নেতারা অসন্তোষ প্রকাশ করলেও নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষেই বিএনপির অবস্থান। আন্দোলন কর্মসুচির পাশাপাশি একই সঙ্গে সম্পন্ন করা হবে নির্বাচনী প্রক্রিয়া। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ঐক্যফ্রন্টভুক্ত দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে আসন ভাগাভাগি করবে। প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেয়ার তারিখ পার হওয়ার পর বিএনপি আন্দোলন কর্মসূচিতে পরিবর্তন আনতে পারে। তখন পরিস্থিতি অন্যদিকেও গড়িয়ে নেয়া যেতে পারে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দিন সরকার বলেন, সবার মতামত নেয়ার পর দ্রুতই দলের সিদ্ধান্ত দেয়া হবে। স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, সামনে কী করতে হবে তা জানতে আমরা মতামত নিচ্ছি। দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা তাদের ভাবনা বলেছেন। শরিকদের মতামত নেয়া হচ্ছে। আবার ঐক্যফ্রন্ট আছে। সবকিছুর পরেই তো সিদ্ধান্ত আসবে। অন্যদিকে, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সংলাপে কোনো দাবি না মানার পরেও এই নির্বাচনে অংশ নিলে তা হবে সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন। দলের ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, বিএনপিকে বাইরে রেখে আবারো নির্বাচন করার সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না। জনগণের ভোটাধিকার রক্ষার জন্যই বিএনপি আন্দোলনে যাবে। নির্বাচন আন্দোলনেরই একটি অংশ। সরকারের লক্ষ্যই হল বিএনপি যেন নির্বাচনে না যায়। সুতরাং তাদের এই লক্ষ্য সিদ্ধ হতে দেব না। আমরা এবার নির্বাচনে যাওয়ার জন্য পুরোপুরি তৈরি হয়ে আছি।