ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ভুল চিকিৎসা ধর্ম কী বলে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:০৭:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ অগাস্ট ২০১৯
  • / ২৫৬ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক:
জবাবদিহিতার চিন্তা মানুষকে সৎ ও নিষ্ঠাবান থাকতে সহায়তা করে। অন্যায়, অপরাধ ও দুর্নীতি থেকে বিরত রাখে। মানুষের মধ্যে যদি এ চিন্তা না থাকে যে কিয়ামতের দিন আমার প্রতিটি কাজের জন্য জবাবদিহি করতে হবে, তাহলে সে স্বেচ্ছায়ই অপরাধ থেকে কীভাবে বিরত থাকবে। পবিত্র কোরআনের প্রায় এক তৃতীয়াংশজুড়ে বারবার আখেরাত ও কিয়ামত দিবসের জবাবদিহিতা ও হিসাব-নিকাশ ইত্যাদির আলোচনা এসেছে। অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো চিকিৎসক, ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিক ও কর্মকর্তা ব্যক্তিদের মধ্যেও যদি পরকাল ভাবনা সৃষ্টি হয় তাহলে নৈরাজ্য ও দৌরাত্ম্য বন্ধ হয়ে যাবে। ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু বা অঙ্গহানি হলে দোষী ডাক্তারদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার মতো সুনির্দিষ্ট আইন দেশে নেই। কিন্তু ইসলামে এর স্পষ্ট বিধান রয়েছে। ইচ্ছাকৃত হত্যা বা ভুলবশত হত্যা দুটোর দ- পবিত্র কোরআনে রয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘কোনো মুমিনকে হত্যা করা কোনো মুমিনের কাজ নয়। তবে ভুলবশত হলে তা স্বতন্ত্র এবং কেউ কোনো মুমিনকে ভুলবশত হত্যা করলে একজন মুমিন দাস মুক্ত করা এবং তার পরিজনবর্গকে দিয়াত অর্পণ করা বিধেয়। যদি না তারা তা ক্ষমা করে।’ (সূরা নিসা, আয়াত : ৯২)। এ আয়াতে দিয়াত বা রক্তপণ হচ্ছে, প্রায় উনিশ ভরি স্বর্ণ বা দুই হাজার ছয়শ পঁচিশ (২৬২৫) ভরি রুপা কিংবা একশ উট (নির্দিষ্ট বয়সের)। এটা হচ্ছে পূর্ণ দিয়াত, যা নিহত ব্যক্তি পুরুষ হলে ওয়াজিব হয়। আর নারীর দিয়াত সর্বক্ষেত্রে পুরুষের অর্ধেক। (হেদায়া : ৪/৬৫৫)। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে চিকিৎসক হিসেবে সুপরিচিত নয় এমন কেউ যদি চিকিৎসা করে রোগীর ক্ষতি করে ফেলে, তাহলে তার ওপর জরিমানা আরোপ হবে।’ হাদিসের বর্ণনাকারী আবদুল আজিজ বলেন, ‘এটা কেবল ব্যবস্থাপত্র দেয়ার ক্ষেত্রে নয়; বরং শল্যচিকিৎসার ক্ষেত্রে।’ (আবু দাউদ : ৩৩০)।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ভুল চিকিৎসা ধর্ম কী বলে

আপলোড টাইম : ০৯:০৭:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ অগাস্ট ২০১৯

ধর্ম ডেস্ক:
জবাবদিহিতার চিন্তা মানুষকে সৎ ও নিষ্ঠাবান থাকতে সহায়তা করে। অন্যায়, অপরাধ ও দুর্নীতি থেকে বিরত রাখে। মানুষের মধ্যে যদি এ চিন্তা না থাকে যে কিয়ামতের দিন আমার প্রতিটি কাজের জন্য জবাবদিহি করতে হবে, তাহলে সে স্বেচ্ছায়ই অপরাধ থেকে কীভাবে বিরত থাকবে। পবিত্র কোরআনের প্রায় এক তৃতীয়াংশজুড়ে বারবার আখেরাত ও কিয়ামত দিবসের জবাবদিহিতা ও হিসাব-নিকাশ ইত্যাদির আলোচনা এসেছে। অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো চিকিৎসক, ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিক ও কর্মকর্তা ব্যক্তিদের মধ্যেও যদি পরকাল ভাবনা সৃষ্টি হয় তাহলে নৈরাজ্য ও দৌরাত্ম্য বন্ধ হয়ে যাবে। ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু বা অঙ্গহানি হলে দোষী ডাক্তারদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার মতো সুনির্দিষ্ট আইন দেশে নেই। কিন্তু ইসলামে এর স্পষ্ট বিধান রয়েছে। ইচ্ছাকৃত হত্যা বা ভুলবশত হত্যা দুটোর দ- পবিত্র কোরআনে রয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘কোনো মুমিনকে হত্যা করা কোনো মুমিনের কাজ নয়। তবে ভুলবশত হলে তা স্বতন্ত্র এবং কেউ কোনো মুমিনকে ভুলবশত হত্যা করলে একজন মুমিন দাস মুক্ত করা এবং তার পরিজনবর্গকে দিয়াত অর্পণ করা বিধেয়। যদি না তারা তা ক্ষমা করে।’ (সূরা নিসা, আয়াত : ৯২)। এ আয়াতে দিয়াত বা রক্তপণ হচ্ছে, প্রায় উনিশ ভরি স্বর্ণ বা দুই হাজার ছয়শ পঁচিশ (২৬২৫) ভরি রুপা কিংবা একশ উট (নির্দিষ্ট বয়সের)। এটা হচ্ছে পূর্ণ দিয়াত, যা নিহত ব্যক্তি পুরুষ হলে ওয়াজিব হয়। আর নারীর দিয়াত সর্বক্ষেত্রে পুরুষের অর্ধেক। (হেদায়া : ৪/৬৫৫)। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে চিকিৎসক হিসেবে সুপরিচিত নয় এমন কেউ যদি চিকিৎসা করে রোগীর ক্ষতি করে ফেলে, তাহলে তার ওপর জরিমানা আরোপ হবে।’ হাদিসের বর্ণনাকারী আবদুল আজিজ বলেন, ‘এটা কেবল ব্যবস্থাপত্র দেয়ার ক্ষেত্রে নয়; বরং শল্যচিকিৎসার ক্ষেত্রে।’ (আবু দাউদ : ৩৩০)।