ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ভিডিও ধারণ করে হুমকি : জনতার হাতে ধর্ষক আটক

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:১১:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
  • / ৩০০ বার পড়া হয়েছে

জীবননগরে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে পালাক্রমে পাশবিক নির্যাতন ও
জীবননগর অফিস: জীবননগরে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে পালাক্রমে পাশবিত নির্যাতন এবং তা মোবাইলে ভিডিও ধারন করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ধর্ষক আরিফকে আটক করেছে এলাকাবাসী। জানা গেছে, জীবননগর উপজেলার বাঁকা ইউনিয়নের রাখালশাহ গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের ছেলে আরিফের (২৫) সাথে জীবননগর পৌরসভার ৯নং ওর্য়াডের তেঁতুলিয়া গ্রামের এসএসসি পরীক্ষার্থী ওই মেয়ে (১৬)’র সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই জের ধরে গত তিনদিন আগে মোবাইল ফোনে ওই মেয়েকে দেখা করার কথা বলে আরিফ। আরিফের কথামতো ওই স্কুলছাত্রী খয়েরহুদা গ্রামে দেখা করতে আসে। এসময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওঁৎ পেতে থাকা আরিফ ও তার বন্ধু রাখালশাহ গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে জুয়েল (২৭) এবং রশিদ দেওয়ানের ছেলে সিরাজ দেওয়ান (২৪) এসএসসি পরীক্ষার্থী ওই মেয়েকে মুখ চেপে ধরে পাশেই একটি ক্ষেতের মধ্যে নিয়ে যায়। তিনবন্ধু পালাক্রমে ওই এসএসসি পরীক্ষার্থীকে পাশবিক নির্যাতন করে এবং মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারন করে।
এ ঘটনার পর মেয়েটি বাড়িতে ফিরে পরিবারের সদস্যদের জানালে তারা ধর্ষক আরিফকে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে তেতুলিয়া গ্রামে নিয়ে আসলে স্থানীয় এলাকাবাসীর নিকট আরিফ সমস্ত ঘটনা স্বীকার করে।
এ ব্যাপারে ধর্ষনের শিকার এসএসসি পরীক্ষার্থী ওই মেয়ে অভিযোগ করে বলেন, আরিফের সাথে তার গত এক বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর আগেও আরিফ তাকে বিয়ে করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত তিনদিন আগে তাকে মোবাইল ফোনে ডেকে খয়েরহুদা মাঠে নিয়ে আরিফসহ তার দুই বন্ধু মিলে তাকে জোরপূর্বক পাশবিক করে। এসময় সে চিৎকার করতে গেলে তারা তার ধর্ষনের ভিডিও ধারন করে এবং তা ফেসবুকসহ ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে।
এ ব্যাপারে আরিফ জনসম্মুক্ষে পাশবিক নির্যাতন করার কথা স্বীকার করে। এ ঘটনা সম্পর্কে জীবননগর পৌরসভার ৯নং ওর্য়াড কাউন্সিলার আত্তাবের সাথে কথা বললে, তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন আমি ঘটনাটি শুনেছি এবং আমরা সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে ধর্ষক আরিফকে জিজ্ঞাসা করলে সে এ ঘটনা সত্য বলে স্বীকার করে এবং এরসাথে তার দুই বন্ধু জড়িত আছে বলে জানায়। এ ঘটনার সাথে জড়িত আরিফের দুই বন্ধু পলাতক রয়েছে।
এ ব্যাপারে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ধর্ষনের ঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ এখনো পর্যন্ত পায়নি তবে আমাকে কয়েকজন টেলিফোনের মাধ্যমে জানালে আমি ভিকটিমের বাড়িতে বিষয়টি সত্যতা প্রমানের জন্য পুলিশ পাঠিয়েছি। এদিকে ধর্ষক আরিফ তার দুই বন্ধুর শাস্তির দাবি করছেন এলাকার সাধারন মানুষ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ভিডিও ধারণ করে হুমকি : জনতার হাতে ধর্ষক আটক

আপলোড টাইম : ১১:১১:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

জীবননগরে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে পালাক্রমে পাশবিক নির্যাতন ও
জীবননগর অফিস: জীবননগরে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে পালাক্রমে পাশবিত নির্যাতন এবং তা মোবাইলে ভিডিও ধারন করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ধর্ষক আরিফকে আটক করেছে এলাকাবাসী। জানা গেছে, জীবননগর উপজেলার বাঁকা ইউনিয়নের রাখালশাহ গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের ছেলে আরিফের (২৫) সাথে জীবননগর পৌরসভার ৯নং ওর্য়াডের তেঁতুলিয়া গ্রামের এসএসসি পরীক্ষার্থী ওই মেয়ে (১৬)’র সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই জের ধরে গত তিনদিন আগে মোবাইল ফোনে ওই মেয়েকে দেখা করার কথা বলে আরিফ। আরিফের কথামতো ওই স্কুলছাত্রী খয়েরহুদা গ্রামে দেখা করতে আসে। এসময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওঁৎ পেতে থাকা আরিফ ও তার বন্ধু রাখালশাহ গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে জুয়েল (২৭) এবং রশিদ দেওয়ানের ছেলে সিরাজ দেওয়ান (২৪) এসএসসি পরীক্ষার্থী ওই মেয়েকে মুখ চেপে ধরে পাশেই একটি ক্ষেতের মধ্যে নিয়ে যায়। তিনবন্ধু পালাক্রমে ওই এসএসসি পরীক্ষার্থীকে পাশবিক নির্যাতন করে এবং মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারন করে।
এ ঘটনার পর মেয়েটি বাড়িতে ফিরে পরিবারের সদস্যদের জানালে তারা ধর্ষক আরিফকে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে তেতুলিয়া গ্রামে নিয়ে আসলে স্থানীয় এলাকাবাসীর নিকট আরিফ সমস্ত ঘটনা স্বীকার করে।
এ ব্যাপারে ধর্ষনের শিকার এসএসসি পরীক্ষার্থী ওই মেয়ে অভিযোগ করে বলেন, আরিফের সাথে তার গত এক বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর আগেও আরিফ তাকে বিয়ে করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত তিনদিন আগে তাকে মোবাইল ফোনে ডেকে খয়েরহুদা মাঠে নিয়ে আরিফসহ তার দুই বন্ধু মিলে তাকে জোরপূর্বক পাশবিক করে। এসময় সে চিৎকার করতে গেলে তারা তার ধর্ষনের ভিডিও ধারন করে এবং তা ফেসবুকসহ ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে।
এ ব্যাপারে আরিফ জনসম্মুক্ষে পাশবিক নির্যাতন করার কথা স্বীকার করে। এ ঘটনা সম্পর্কে জীবননগর পৌরসভার ৯নং ওর্য়াড কাউন্সিলার আত্তাবের সাথে কথা বললে, তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন আমি ঘটনাটি শুনেছি এবং আমরা সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে ধর্ষক আরিফকে জিজ্ঞাসা করলে সে এ ঘটনা সত্য বলে স্বীকার করে এবং এরসাথে তার দুই বন্ধু জড়িত আছে বলে জানায়। এ ঘটনার সাথে জড়িত আরিফের দুই বন্ধু পলাতক রয়েছে।
এ ব্যাপারে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ধর্ষনের ঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ এখনো পর্যন্ত পায়নি তবে আমাকে কয়েকজন টেলিফোনের মাধ্যমে জানালে আমি ভিকটিমের বাড়িতে বিষয়টি সত্যতা প্রমানের জন্য পুলিশ পাঠিয়েছি। এদিকে ধর্ষক আরিফ তার দুই বন্ধুর শাস্তির দাবি করছেন এলাকার সাধারন মানুষ।