ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ভারত-চীন সীমান্তের উত্তেজনা নিয়ে জরুরি বৈঠকে মোদি-রাজনাথ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৪৫:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুন ২০২০
  • / ১৯৩ বার পড়া হয়েছে

বিশ্ব ডেস্ক:
১৯৬৭ সালের পর এই প্রথম ভারত-চীন সীমান্তে চলল গোলাগুলি। তীব্র গুলির লড়াই, এক অফিসার-সহ নিহত দুই ভারতীয় সেনা। লাদাখ সীমান্তে প্রবল উত্তেজনার মধ্যেই তিন বাহিনীর প্রধান ও চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফকে নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। মঙ্গলবার দুপুরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দফতরে এই বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও। এছাড়াও ছিলেন দেশটির নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। কীভাবে পরবর্তী পরিস্থিতির মোকাবিলা করা সম্ভব তা নিয়েও সেনাবাহিনীর এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে, ভারতীয় সময় বিকেল ৩টা থেকে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দফতরে। মোদির নেতৃত্বে এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। যেখানে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তাকদের থাকার কথা রয়েছে। থাকতে পারেন ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালও। এছাড়াও সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা।
সূত্রের খবর, সীমান্তের পরিস্থিতি কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তা নিয়েই বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি, চীনা সেনাবাহিনীকে কীভাবে জবাব দেওয়া যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয় বলেই জানা গেছে। ঘটনার পর পরবর্তী কৌশল ভারতের কি হবে সেই বিষয়েই আলোচনা হতে পারে এই বৈঠকে। সবমিলিয়ে ভারত এবং চীনের উত্তেজনার পরেই শুরু হয়েছে সর্বস্তরে উত্তেজনা। তবে এই বৈঠক নিয়ে প্রকাশ্যে কেউ কোনোরকম মন্তব্য করেনি। পাশাপাশি, ভারতীয় সেনার পাল্টা জবাবে একাধিক চীনা সেনার মৃত্যুও ঘটে। ইতোমধ্যেই এই ঘটনাকে ঘিরে চিন ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছে গিয়েছে। গত ৫৩ বছরের মধ্যে চীন ও ভারতের মধ্যে এই প্রথম সীমান্তে ঝামেলায় মৃত্যু পর্যন্ত গড়াল।
এদিকে গতকাল চিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান অভিযোগ করেন, সোমবার ভারতের সেনা দু’বার সীমান্ত লঙ্ঘন করে তাদের দেশে ঢুকে পড়ে। চীনা সৈনিকদের ওপরে তারা উস্কানিমূলক আক্রমণ চালায়। সেই কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। চীনের তরফে এদিন ভারতকে অনুরোধ করা হয়েছে, দুই দেশের সীমারেখা কঠোরভাবে মেনে চলার জন্য। যদিও ভারত সর্বোতভাবে এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ভারত-চীন সীমান্তের উত্তেজনা নিয়ে জরুরি বৈঠকে মোদি-রাজনাথ

আপলোড টাইম : ০৯:৪৫:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুন ২০২০

বিশ্ব ডেস্ক:
১৯৬৭ সালের পর এই প্রথম ভারত-চীন সীমান্তে চলল গোলাগুলি। তীব্র গুলির লড়াই, এক অফিসার-সহ নিহত দুই ভারতীয় সেনা। লাদাখ সীমান্তে প্রবল উত্তেজনার মধ্যেই তিন বাহিনীর প্রধান ও চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফকে নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। মঙ্গলবার দুপুরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দফতরে এই বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও। এছাড়াও ছিলেন দেশটির নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। কীভাবে পরবর্তী পরিস্থিতির মোকাবিলা করা সম্ভব তা নিয়েও সেনাবাহিনীর এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে, ভারতীয় সময় বিকেল ৩টা থেকে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দফতরে। মোদির নেতৃত্বে এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। যেখানে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তাকদের থাকার কথা রয়েছে। থাকতে পারেন ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালও। এছাড়াও সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা।
সূত্রের খবর, সীমান্তের পরিস্থিতি কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তা নিয়েই বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি, চীনা সেনাবাহিনীকে কীভাবে জবাব দেওয়া যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয় বলেই জানা গেছে। ঘটনার পর পরবর্তী কৌশল ভারতের কি হবে সেই বিষয়েই আলোচনা হতে পারে এই বৈঠকে। সবমিলিয়ে ভারত এবং চীনের উত্তেজনার পরেই শুরু হয়েছে সর্বস্তরে উত্তেজনা। তবে এই বৈঠক নিয়ে প্রকাশ্যে কেউ কোনোরকম মন্তব্য করেনি। পাশাপাশি, ভারতীয় সেনার পাল্টা জবাবে একাধিক চীনা সেনার মৃত্যুও ঘটে। ইতোমধ্যেই এই ঘটনাকে ঘিরে চিন ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছে গিয়েছে। গত ৫৩ বছরের মধ্যে চীন ও ভারতের মধ্যে এই প্রথম সীমান্তে ঝামেলায় মৃত্যু পর্যন্ত গড়াল।
এদিকে গতকাল চিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান অভিযোগ করেন, সোমবার ভারতের সেনা দু’বার সীমান্ত লঙ্ঘন করে তাদের দেশে ঢুকে পড়ে। চীনা সৈনিকদের ওপরে তারা উস্কানিমূলক আক্রমণ চালায়। সেই কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। চীনের তরফে এদিন ভারতকে অনুরোধ করা হয়েছে, দুই দেশের সীমারেখা কঠোরভাবে মেনে চলার জন্য। যদিও ভারত সর্বোতভাবে এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।