ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ভারতে বিক্ষোভ অব্যাহত, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫৮:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / ২৭০ বার পড়া হয়েছে

বিশ্ব প্রতিবেদন:
নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের প্রতিবাদে ভারতজুড়ে বিক্ষোভ সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। সবচেয়ে বেশি সংঘর্ষ হয়েছে উত্তর প্রদেশে। সেখানে গত ৭২ ঘণ্টায় অন্তত ১৫ বিক্ষোভকারী প্রাণ হারিয়েছেন। ফলে ১১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভে পুরো ভারতজুড়ে নিহতের সংখ্যা ২১ জনে দাঁড়িয়েছে। ভারতের উত্তর প্রদেশের রামপুরে শনিবারও বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। এসময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন নিহত হন। ফলে নিহতের সংখ্যা ১৫ জনে দাঁড়ালো। তাদের মধ্যে আট বছরের এক শিশুও রয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার সেখানে বিক্ষোভ শুরু হয়। শুক্রবার জুম্মার নামাযের পর বিক্ষোভ চরম আকার ধারণ করে। পুলিশ জানিয়েছে, মিরাটে চার জন, ফিরোজাবাদ, বিজনর, সম্ভল ও কানপুরে দুই জন করে এবং রামপুর, বেনারস ও লক্ষেèৗতে একজন করে নিহত হয়েছেন। বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে রাজ্য পুলিশ এখন পর্যন্ত ৭০৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। এদিকে রামপুর পুলিশের এসপি অজয় পাল দাবি করেছেন, বিক্ষোভকারীদের উপর পুলিশের পক্ষ থেকে একটি গুলিও ছোঁড়া হয়নি। আরেক পুলিশ কর্মকর্তার দাবি, বিক্ষোভে গুলি ছোঁড়া হলেও তা পুলিশের পক্ষ থেকে নয় বরং বিক্ষোভকারীদের মধ্য থেকে কেউ ছুঁড়েছে। তবে বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, পুলিশের গুলিতেই মানুষ নিহত হয়েছেন। এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে পুলিশ-বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ চলাকালীন পুলিশই গুলি চালিয়েছে। এর আগে ১৯ ডিসেম্বর ব্যাঙ্গালুরুতে পুলিশের গুলিতে দুই বিক্ষোভকারী নিহত হন। এছাড়া আসামে ১১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত ৪ জন নিহত হয়েছেন। এদিকে কলকাতায় শনিবার নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। আইন বাতিলের দাবিতে যাদবপুর, প্রেসিডেন্সি, এসআরএফটিআই, আলিয়া, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা মিছিলে অংশ নিয়েছেন। চলতি মাসের ১১ ডিসেম্বর রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিল পাশ হবার পর থেকেই এর প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য। বিলটি আইনে পরিণত হলে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পারসিসহ অমুসলিম অবৈধ অভিবাসীরা নাগরিকত্ব পাবে। সেক্ষেত্রে বিপাকে পড়বে সেখানকার মুসলিমরা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ভারতে বিক্ষোভ অব্যাহত, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১

আপলোড টাইম : ০৯:৫৮:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০১৯

বিশ্ব প্রতিবেদন:
নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের প্রতিবাদে ভারতজুড়ে বিক্ষোভ সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। সবচেয়ে বেশি সংঘর্ষ হয়েছে উত্তর প্রদেশে। সেখানে গত ৭২ ঘণ্টায় অন্তত ১৫ বিক্ষোভকারী প্রাণ হারিয়েছেন। ফলে ১১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভে পুরো ভারতজুড়ে নিহতের সংখ্যা ২১ জনে দাঁড়িয়েছে। ভারতের উত্তর প্রদেশের রামপুরে শনিবারও বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। এসময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন নিহত হন। ফলে নিহতের সংখ্যা ১৫ জনে দাঁড়ালো। তাদের মধ্যে আট বছরের এক শিশুও রয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার সেখানে বিক্ষোভ শুরু হয়। শুক্রবার জুম্মার নামাযের পর বিক্ষোভ চরম আকার ধারণ করে। পুলিশ জানিয়েছে, মিরাটে চার জন, ফিরোজাবাদ, বিজনর, সম্ভল ও কানপুরে দুই জন করে এবং রামপুর, বেনারস ও লক্ষেèৗতে একজন করে নিহত হয়েছেন। বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে রাজ্য পুলিশ এখন পর্যন্ত ৭০৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। এদিকে রামপুর পুলিশের এসপি অজয় পাল দাবি করেছেন, বিক্ষোভকারীদের উপর পুলিশের পক্ষ থেকে একটি গুলিও ছোঁড়া হয়নি। আরেক পুলিশ কর্মকর্তার দাবি, বিক্ষোভে গুলি ছোঁড়া হলেও তা পুলিশের পক্ষ থেকে নয় বরং বিক্ষোভকারীদের মধ্য থেকে কেউ ছুঁড়েছে। তবে বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, পুলিশের গুলিতেই মানুষ নিহত হয়েছেন। এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে পুলিশ-বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ চলাকালীন পুলিশই গুলি চালিয়েছে। এর আগে ১৯ ডিসেম্বর ব্যাঙ্গালুরুতে পুলিশের গুলিতে দুই বিক্ষোভকারী নিহত হন। এছাড়া আসামে ১১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত ৪ জন নিহত হয়েছেন। এদিকে কলকাতায় শনিবার নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। আইন বাতিলের দাবিতে যাদবপুর, প্রেসিডেন্সি, এসআরএফটিআই, আলিয়া, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা মিছিলে অংশ নিয়েছেন। চলতি মাসের ১১ ডিসেম্বর রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিল পাশ হবার পর থেকেই এর প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য। বিলটি আইনে পরিণত হলে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পারসিসহ অমুসলিম অবৈধ অভিবাসীরা নাগরিকত্ব পাবে। সেক্ষেত্রে বিপাকে পড়বে সেখানকার মুসলিমরা।