ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বয়স্কদের প্রতি সদাচারী হোন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুলাই ২০১৮
  • / ১০৬৯ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: মানবিক গুণাবলির মধ্যে নির্মল আচরণ একটি অন্যতম গুণ। সমাজে নিয়ম-শৃঙ্খলা, প্রেম-প্রীতি ও শ্রদ্ধা-সম্মানের এই মহৎ গুণে সুখ-শান্তি নেমে আসে। ইসলামে তাই মুরব্বিদের প্রতি সদাচরণ প্রদর্শনের তাগিদ দেয়া হয়েছে। সৎ স্বভাব বা সৎ আচরণের মাধ্যমেই আমরা জীবনের প্রতিটি কর্মক্ষেত্র সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পারি। পরিবারের সদস্য হিসেবে আদব রক্ষা করা যেমন সবার উচিত, তেমনি আচরণের মাধ্যমেই মুরব্বিদের মর্যাদা ও সম্মান প্রদর্শন করা সবার কর্তব্য। মানুষের উত্তম স্বভাব এবং নিষ্ঠাচার পার্থিব বা পারলৌকিক জীবনকে করে সৌন্দর্যম-িত। পারস্পরিক সম্পর্ক এবং নিষ্ঠতা নির্ভর করে মানুষের আচরণের ওপর। সৎ আচরণ মানুষকে মহান ও মহিয়ান করে তোলে। পরিবারের আমরা ছোট-বড় সবাইকে নিয়ে একত্রে বসবাস করি এবং সমাজ-সংসারে মুরব্বিরাই নেতৃস্থানীয়। মা-বাবা, বয়োজ্যেষ্ঠ ভাইবোন, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকরাই মুরব্বি শ্রেণির পর্যায়ভুক্ত। জীবন ও জগৎ সম্পর্কে তাদের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও দূরদর্শিতা আমাদের চেয়ে অনেক বেশি। সে ক্ষেত্রে মুরব্বিদের আদেশ-নিষেধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া কিংবা তাদের নির্দেশ মোতাবেক চলার পথকে অনুসরণ করাই হচ্ছে সদাচরণ। মুরব্বিদের প্রতি শ্রেণীমতো সম্মান প্রদর্শন করা ইসলামের বিধান। প্রত্যেক মানুষেরই উচিত শিশুকাল থেকে মুরব্বিদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের শিক্ষা দেয়া। পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ও সম্মান প্রদর্শনের কারণেই পরিবার, সমাজ ও জীবনের সব ক্ষেত্র হয় কল্যাণময়। তাই সমাজ-সংসারের আদব রক্ষার জন্য মুরব্বিদের প্রতি ভদ্রতা, নম্র্রতা, শিষ্টতা এবং নমনীয়তা দেখাতে হবে। এ সম্পর্কে কোরানে কারিমে বলা হয়েছে, ‘মানুষের সঙ্গে ভদ্রোচিত আলাপ করো। অন্য শ্রেণীর লোকের প্রতি অবজ্ঞাভরে বিদ্রƒপ করো না।’ রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মুরব্বিদের শ্রদ্ধা এবং ছোটদের স্নেহ করে না, সে আমার উম্মত নয়।’ তিনি আরো বলেছেন, ‘যে যুবক কোনো বৃদ্ধের প্রতি তার বার্ধক্যের কারণে সম্মান প্রদর্শন করবেন, আল্লাহ তায়ালা সেই যুবকের শেষ বয়সে তার প্রতি সম্মানকারী লোক পয়দা করবেন।’ সম্মানবোধ এবং আচরণের ক্ষেত্রে এই মহান বাণী আমরা সামনে রেখে বলতে পারি, মুরব্বিদের যথাযথ মর্যাদা দেয়া, বয়োবৃদ্ধকে পিতার মতো সম্মান দেখানো মানবিক মূল্যবোধের পরিচয় বহন করে। এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) আরো বলেছেন, ‘তিনটি বিষয় বা আচরণের দ্বারা মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নত ও মজবুত হয়। তা হলো কারো সঙ্গে সাক্ষাৎ হলেই সালাম দেবে, মজলিশে এলে বসার স্থান দেবে এবং তিনি যে নামে সম্বোধন করলে খুশি হন, সেই নামে তাকে সম্বোধন করবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

বয়স্কদের প্রতি সদাচারী হোন

আপলোড টাইম : ১০:০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুলাই ২০১৮

ধর্ম ডেস্ক: মানবিক গুণাবলির মধ্যে নির্মল আচরণ একটি অন্যতম গুণ। সমাজে নিয়ম-শৃঙ্খলা, প্রেম-প্রীতি ও শ্রদ্ধা-সম্মানের এই মহৎ গুণে সুখ-শান্তি নেমে আসে। ইসলামে তাই মুরব্বিদের প্রতি সদাচরণ প্রদর্শনের তাগিদ দেয়া হয়েছে। সৎ স্বভাব বা সৎ আচরণের মাধ্যমেই আমরা জীবনের প্রতিটি কর্মক্ষেত্র সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পারি। পরিবারের সদস্য হিসেবে আদব রক্ষা করা যেমন সবার উচিত, তেমনি আচরণের মাধ্যমেই মুরব্বিদের মর্যাদা ও সম্মান প্রদর্শন করা সবার কর্তব্য। মানুষের উত্তম স্বভাব এবং নিষ্ঠাচার পার্থিব বা পারলৌকিক জীবনকে করে সৌন্দর্যম-িত। পারস্পরিক সম্পর্ক এবং নিষ্ঠতা নির্ভর করে মানুষের আচরণের ওপর। সৎ আচরণ মানুষকে মহান ও মহিয়ান করে তোলে। পরিবারের আমরা ছোট-বড় সবাইকে নিয়ে একত্রে বসবাস করি এবং সমাজ-সংসারে মুরব্বিরাই নেতৃস্থানীয়। মা-বাবা, বয়োজ্যেষ্ঠ ভাইবোন, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকরাই মুরব্বি শ্রেণির পর্যায়ভুক্ত। জীবন ও জগৎ সম্পর্কে তাদের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও দূরদর্শিতা আমাদের চেয়ে অনেক বেশি। সে ক্ষেত্রে মুরব্বিদের আদেশ-নিষেধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া কিংবা তাদের নির্দেশ মোতাবেক চলার পথকে অনুসরণ করাই হচ্ছে সদাচরণ। মুরব্বিদের প্রতি শ্রেণীমতো সম্মান প্রদর্শন করা ইসলামের বিধান। প্রত্যেক মানুষেরই উচিত শিশুকাল থেকে মুরব্বিদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের শিক্ষা দেয়া। পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ও সম্মান প্রদর্শনের কারণেই পরিবার, সমাজ ও জীবনের সব ক্ষেত্র হয় কল্যাণময়। তাই সমাজ-সংসারের আদব রক্ষার জন্য মুরব্বিদের প্রতি ভদ্রতা, নম্র্রতা, শিষ্টতা এবং নমনীয়তা দেখাতে হবে। এ সম্পর্কে কোরানে কারিমে বলা হয়েছে, ‘মানুষের সঙ্গে ভদ্রোচিত আলাপ করো। অন্য শ্রেণীর লোকের প্রতি অবজ্ঞাভরে বিদ্রƒপ করো না।’ রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মুরব্বিদের শ্রদ্ধা এবং ছোটদের স্নেহ করে না, সে আমার উম্মত নয়।’ তিনি আরো বলেছেন, ‘যে যুবক কোনো বৃদ্ধের প্রতি তার বার্ধক্যের কারণে সম্মান প্রদর্শন করবেন, আল্লাহ তায়ালা সেই যুবকের শেষ বয়সে তার প্রতি সম্মানকারী লোক পয়দা করবেন।’ সম্মানবোধ এবং আচরণের ক্ষেত্রে এই মহান বাণী আমরা সামনে রেখে বলতে পারি, মুরব্বিদের যথাযথ মর্যাদা দেয়া, বয়োবৃদ্ধকে পিতার মতো সম্মান দেখানো মানবিক মূল্যবোধের পরিচয় বহন করে। এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) আরো বলেছেন, ‘তিনটি বিষয় বা আচরণের দ্বারা মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নত ও মজবুত হয়। তা হলো কারো সঙ্গে সাক্ষাৎ হলেই সালাম দেবে, মজলিশে এলে বসার স্থান দেবে এবং তিনি যে নামে সম্বোধন করলে খুশি হন, সেই নামে তাকে সম্বোধন করবে।’