ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বেড়েছে মশার উপদ্রব : সবাইকে সচেতন হতে হবে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৭:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মার্চ ২০১৮
  • / ৩০৩ বার পড়া হয়েছে

প্রকৃতি থেকে শীত বিদায় নেওয়ার পর আবহাওয়া উষ্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মশার উপদ্রব। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। মশার উৎপাত বেড়ে গেছে ব্যাপক হারে। মশার দংশনে চিকুনগুনিয়া, ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হয় মানুষ। বিশেষ করে রাজধানীতে চিকুনগুনিয়া ভাইরাসের ব্যাপকতা দেখা গেছে। গত বছর সারাদেশে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছিল এই চিকুনগুনিয়া। পাশাপাশি ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাবও দেখা যায়। তাই এ বিষয়ে আগেভাগেই সচেতন ও ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন। চিকুনগুনিয়ার মতো ডেঙ্গু ও একটি সংক্রামক ব্যাধি। ডেঙ্গু জ্বরে সাধারণত তীব্র জ্বর এবং সেই সঙ্গে শরীরে, বিশেষ করে হাড়, কোমর, পিঠসহ অস্থিসন্ধি ও মাংসপেশিতে তীব্র ব্যথা হয়। এছাড়া মাথাব্যথা ও চোখের পেছনে ব্যথা হতে পারে। শরীরে র‌্যাশ দেখা দেয়। এ জ্বরে অনেক ক্ষেত্রে যকৃত আক্রান্ত হয়ে রোগীর জন্ডিসসহ নানা জটিলতা দেখা দেয়। এডিস মশা শুধু দিনের বেলায় কামড়ায়। ফলে দিনের বেলায়ই এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই দিনের বেলা ঘরে যাতে মশা ঢুকতে পারে না সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। জমে থাকা পানিতে এদের বংশ বিস্তার ঘটে বলে সেসব স্থানে মশা নিধক ওষুধ ছিটিয়ে মশা মারতে হবে। মশার ওষুধ ছিটানোর পাশাপাশি ঘুমানোর সময় মশারি টানাতে হবে। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে অবশ্যই সব সময় মশারির মধ্যে রাখতে হবে, যাতে অন্য কোনো মশা তাকে কামড়াতে না পারে। তাই চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়া বা ছড়িয়ে পড়া রোধে শুধু পৌরসভার উদ্যোগ যথেষ্ট নয়। এজন্য যথেষ্ট প্রস্তুতি নিতে হবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে। সতর্ক থাকতে হবে পৌর এলাকার বাসিন্দাদেরও। সাধারণত এডিস মশা বাসাবাড়িতে ফুলের টব, টায়ার, ফ্রিজ, এসিতে জমে থাকা পানিতে জন্মায়। এ ব্যাপারে প্রত্যেক নাগরিককে সচেতন হতে হবে। ৪/৫ দিন পানি জমে থাকলে সেখানে এডিস মশার বংশ বিস্তার ঘটে। তাই মশা যাতে বংশ বিস্তার করতে না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রত্যেককে নিজ বাড়ির আঙ্গিনা ও চারপাশও পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন। আর কোনো পাত্রে পানি যেন দীর্ঘ সময় জমে না থাকে সে দিকে নজর রাখতে হবে। মশার বংশ বিস্তাররোধে শুধু মাত্র পৌরসভা ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উদ্যোগই যথেষ্ট নয়। একই সাথে জন সাধারনের সচেতনতা ও কার্যকরী উদ্যোগও জরুরী।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

বেড়েছে মশার উপদ্রব : সবাইকে সচেতন হতে হবে

আপলোড টাইম : ০৯:১৭:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মার্চ ২০১৮

প্রকৃতি থেকে শীত বিদায় নেওয়ার পর আবহাওয়া উষ্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মশার উপদ্রব। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। মশার উৎপাত বেড়ে গেছে ব্যাপক হারে। মশার দংশনে চিকুনগুনিয়া, ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হয় মানুষ। বিশেষ করে রাজধানীতে চিকুনগুনিয়া ভাইরাসের ব্যাপকতা দেখা গেছে। গত বছর সারাদেশে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছিল এই চিকুনগুনিয়া। পাশাপাশি ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাবও দেখা যায়। তাই এ বিষয়ে আগেভাগেই সচেতন ও ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন। চিকুনগুনিয়ার মতো ডেঙ্গু ও একটি সংক্রামক ব্যাধি। ডেঙ্গু জ্বরে সাধারণত তীব্র জ্বর এবং সেই সঙ্গে শরীরে, বিশেষ করে হাড়, কোমর, পিঠসহ অস্থিসন্ধি ও মাংসপেশিতে তীব্র ব্যথা হয়। এছাড়া মাথাব্যথা ও চোখের পেছনে ব্যথা হতে পারে। শরীরে র‌্যাশ দেখা দেয়। এ জ্বরে অনেক ক্ষেত্রে যকৃত আক্রান্ত হয়ে রোগীর জন্ডিসসহ নানা জটিলতা দেখা দেয়। এডিস মশা শুধু দিনের বেলায় কামড়ায়। ফলে দিনের বেলায়ই এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই দিনের বেলা ঘরে যাতে মশা ঢুকতে পারে না সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। জমে থাকা পানিতে এদের বংশ বিস্তার ঘটে বলে সেসব স্থানে মশা নিধক ওষুধ ছিটিয়ে মশা মারতে হবে। মশার ওষুধ ছিটানোর পাশাপাশি ঘুমানোর সময় মশারি টানাতে হবে। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে অবশ্যই সব সময় মশারির মধ্যে রাখতে হবে, যাতে অন্য কোনো মশা তাকে কামড়াতে না পারে। তাই চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়া বা ছড়িয়ে পড়া রোধে শুধু পৌরসভার উদ্যোগ যথেষ্ট নয়। এজন্য যথেষ্ট প্রস্তুতি নিতে হবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে। সতর্ক থাকতে হবে পৌর এলাকার বাসিন্দাদেরও। সাধারণত এডিস মশা বাসাবাড়িতে ফুলের টব, টায়ার, ফ্রিজ, এসিতে জমে থাকা পানিতে জন্মায়। এ ব্যাপারে প্রত্যেক নাগরিককে সচেতন হতে হবে। ৪/৫ দিন পানি জমে থাকলে সেখানে এডিস মশার বংশ বিস্তার ঘটে। তাই মশা যাতে বংশ বিস্তার করতে না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রত্যেককে নিজ বাড়ির আঙ্গিনা ও চারপাশও পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন। আর কোনো পাত্রে পানি যেন দীর্ঘ সময় জমে না থাকে সে দিকে নজর রাখতে হবে। মশার বংশ বিস্তাররোধে শুধু মাত্র পৌরসভা ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উদ্যোগই যথেষ্ট নয়। একই সাথে জন সাধারনের সচেতনতা ও কার্যকরী উদ্যোগও জরুরী।