ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বেগমপুর ফাঁড়ি পুলিশের আটক-নাটকের জালে সেনাসদস্য

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০১:৩৭:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী ২০১৭
  • / ৩৩২ বার পড়া হয়েছে

ftrtrt copyনিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গায় সেনাসদস্যকে আটক করেছে বেগমপুর ফাঁড়ি পুলিশ। রোববার রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার ফাঁড়ির অদূরে একটি বাঁশবাগান থেকে সেনাসদস্য বশিরকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অপরদিকে, সেনাসদস্য আটকের ঘটনায় ব্যাপক নাটকীয়তা ফুটে উঠেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। এলাকার চিহ্নিত মাদকব্যবসায়ী শাহীন কৌশলে সেনাসদস্য বশিরকে ডেকে পুলিশে ধরিয়ে দেয় বলে জানা গেছে। মাদকব্যবসায়ী শাহীনের কাছে প্রায় ১ লাখ টাকা পাওনাদার হওয়ায় কৌশল অবলম্বন করে বশিরকে পুলিশে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, বশিরের কাছে থেকে ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে যশোর ক্যান্টনমেন্টের কর্মকর্তা এসে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা থেকে সাধারণ ডায়েরীসহ বশিরকে যশোরে যান।
জানা গেছে, ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের ল্যান্স কর্পোরাল চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর গ্রামের চিলমারীপাড়ার সাবেক ইউপি সদস্য আকবারের ছেলে বশির উদ্দীন দু মাসের ছুটি নিয়ে গত রোববার চুয়াডাঙ্গায় আসেন।
সেনাসদস্য বশির জানান, ঢাকা থেকে পরিবহনযোগে রোববার রাত ৯টার দিকে জীবননগরের উথলী বাসস্ট্যান্ডে নামেন তিনি। ওই সময় বশিরের কাছে মোবাইলেফোনে কল করে একই গ্রামের কলোনীপাড়ার নজরুলের ছেলে শাহিন। শাহিনের কাছে ৯০ হাজার টাকা পেতেন সেনাসদস্য বশির। ওই টাকা দেয়ার জন্যই বশিরকে মোবাইলফোনে বেগমপুর পুলিশ ফাঁড়ির কাছে ডেকে নেয় সে। কিছুক্ষণ পর একজনের কাছে থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে ওই স্থানে যান বশির। সেখানে শাহিন দু-একটা কথা বলে অসম্পূর্ণ রেখেই যেতে গেলে তার যাওয়ার কারণ জানতে চান বশির। এসময় আকস্মিকভাবে কয়েকজন নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে সেনাসদস্য বশিরকে মাদকব্যবসায়ী বলে সনাক্ত করে। কিছুক্ষণ চলে তাদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক। এসময় মোটরসাইকেলযোগে যাচ্ছিলেন যদুপুর গ্রামের দুই বাসিন্দা। বশির সেনাবাহিনীর ল্যান্স কর্পোরাল হিসেবে কর্মরত বলে তারা পুলিশকে জানালেও কোন তোয়াক্কা করেনি শাদা পোষাকের পুলিশ সদস্যরা। পরে যদুপুরের ওই দুই ব্যাক্তি উদ্ধারকৃত মালামাল দেখতে চাইলেও দেখাতে পারেনি ওই পুলিশ কনস্টেবলরা। সেনা সদস্য বশিরকে ওই দুই ব্যাক্তির সামনেই অসদাচরণ করে তারা। অথচ, এলাকার চিহ্নিত মাদকব্যবসায়ী শাহিন সেখানে উপস্থিত থাকা স্বত্বেও তাকে আটক করেনি পুলিশ।
বেগমপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই  মাসনুন আলম জানান, ঘটনাস্থল থেকে ল্যান্স কর্পোরাল বশিরকে পাওয়া যায়। তার কাছে থাকা শপিং ব্যাগে ৩০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। সেনাসদস্য বশিরকে ফাঁসানো হয়েছে এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যখন কেউ অপরাধ করে তখন অপরাধ এড়াতে পুলিশকে নানানভাবে দোষারোপ করে। তাছাড়া বশিরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যক্তিকে ব্যবসার কাজে টাকা ধার দেওয়ার বিষয়টির প্রমান পাওয়া যায়। কি কাজে কোন ব্যবসার জন্য তিনি টাকা ধার দিতেন তা জানা যায়নি।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা এসআই  আওয়াল বলেন, সোমবার বিকালে যশোর ক্যান্টনমেন্টের মিলিটারি পুলিশের ওয়ারেন্ট অফিসার আব্দুল্লাহ চুয়াডাঙ্গা থানায় করা ৩৯৫ নম্বর সাধারণ ডাইরিসহ ল্যান্স কর্পোরাল বশিরকে যশোর নিয়ে যায়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

বেগমপুর ফাঁড়ি পুলিশের আটক-নাটকের জালে সেনাসদস্য

আপলোড টাইম : ০১:৩৭:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী ২০১৭

ftrtrt copyনিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গায় সেনাসদস্যকে আটক করেছে বেগমপুর ফাঁড়ি পুলিশ। রোববার রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার ফাঁড়ির অদূরে একটি বাঁশবাগান থেকে সেনাসদস্য বশিরকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অপরদিকে, সেনাসদস্য আটকের ঘটনায় ব্যাপক নাটকীয়তা ফুটে উঠেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। এলাকার চিহ্নিত মাদকব্যবসায়ী শাহীন কৌশলে সেনাসদস্য বশিরকে ডেকে পুলিশে ধরিয়ে দেয় বলে জানা গেছে। মাদকব্যবসায়ী শাহীনের কাছে প্রায় ১ লাখ টাকা পাওনাদার হওয়ায় কৌশল অবলম্বন করে বশিরকে পুলিশে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, বশিরের কাছে থেকে ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে যশোর ক্যান্টনমেন্টের কর্মকর্তা এসে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা থেকে সাধারণ ডায়েরীসহ বশিরকে যশোরে যান।
জানা গেছে, ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের ল্যান্স কর্পোরাল চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর গ্রামের চিলমারীপাড়ার সাবেক ইউপি সদস্য আকবারের ছেলে বশির উদ্দীন দু মাসের ছুটি নিয়ে গত রোববার চুয়াডাঙ্গায় আসেন।
সেনাসদস্য বশির জানান, ঢাকা থেকে পরিবহনযোগে রোববার রাত ৯টার দিকে জীবননগরের উথলী বাসস্ট্যান্ডে নামেন তিনি। ওই সময় বশিরের কাছে মোবাইলেফোনে কল করে একই গ্রামের কলোনীপাড়ার নজরুলের ছেলে শাহিন। শাহিনের কাছে ৯০ হাজার টাকা পেতেন সেনাসদস্য বশির। ওই টাকা দেয়ার জন্যই বশিরকে মোবাইলফোনে বেগমপুর পুলিশ ফাঁড়ির কাছে ডেকে নেয় সে। কিছুক্ষণ পর একজনের কাছে থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে ওই স্থানে যান বশির। সেখানে শাহিন দু-একটা কথা বলে অসম্পূর্ণ রেখেই যেতে গেলে তার যাওয়ার কারণ জানতে চান বশির। এসময় আকস্মিকভাবে কয়েকজন নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে সেনাসদস্য বশিরকে মাদকব্যবসায়ী বলে সনাক্ত করে। কিছুক্ষণ চলে তাদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক। এসময় মোটরসাইকেলযোগে যাচ্ছিলেন যদুপুর গ্রামের দুই বাসিন্দা। বশির সেনাবাহিনীর ল্যান্স কর্পোরাল হিসেবে কর্মরত বলে তারা পুলিশকে জানালেও কোন তোয়াক্কা করেনি শাদা পোষাকের পুলিশ সদস্যরা। পরে যদুপুরের ওই দুই ব্যাক্তি উদ্ধারকৃত মালামাল দেখতে চাইলেও দেখাতে পারেনি ওই পুলিশ কনস্টেবলরা। সেনা সদস্য বশিরকে ওই দুই ব্যাক্তির সামনেই অসদাচরণ করে তারা। অথচ, এলাকার চিহ্নিত মাদকব্যবসায়ী শাহিন সেখানে উপস্থিত থাকা স্বত্বেও তাকে আটক করেনি পুলিশ।
বেগমপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই  মাসনুন আলম জানান, ঘটনাস্থল থেকে ল্যান্স কর্পোরাল বশিরকে পাওয়া যায়। তার কাছে থাকা শপিং ব্যাগে ৩০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। সেনাসদস্য বশিরকে ফাঁসানো হয়েছে এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যখন কেউ অপরাধ করে তখন অপরাধ এড়াতে পুলিশকে নানানভাবে দোষারোপ করে। তাছাড়া বশিরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যক্তিকে ব্যবসার কাজে টাকা ধার দেওয়ার বিষয়টির প্রমান পাওয়া যায়। কি কাজে কোন ব্যবসার জন্য তিনি টাকা ধার দিতেন তা জানা যায়নি।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা এসআই  আওয়াল বলেন, সোমবার বিকালে যশোর ক্যান্টনমেন্টের মিলিটারি পুলিশের ওয়ারেন্ট অফিসার আব্দুল্লাহ চুয়াডাঙ্গা থানায় করা ৩৯৫ নম্বর সাধারণ ডাইরিসহ ল্যান্স কর্পোরাল বশিরকে যশোর নিয়ে যায়।