ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

‘বীর ঠিকানা’ স্তম্ভে ফেনসিডিলের খালি বোতল!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৫৫:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • / ৬৭২ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের মধ্যে মাদকসেবীদের আখড়া
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ফেনসিডিলের অসংখ্য খালি বোতল। প্রায় প্রতিদিন এখানেই বসে মাদকের আখড়া। অভিযোগ রয়েছে, এখানকার কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় মাদকসেবীরা জমিয়ে তুলেছেন এ আখড়া। স্থানটি সরকারি কার্যালয়ের প্রাচীরের মধ্যে হওয়ায় এটি স্থানীয় মাদকসেবীদের কাছে নিরাপদে ফেনসিডিল সেবন ও সেবনের পর ফেনসিডিলের বোতল ফেলার স্থান বেশ নিরাপদ। তবে উপজেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ বলছে, এসব ফেনসিডিলের বোতল প্রাচীরের পেছনের রাস্তা থেকে ছুঁড়ে ফেলা।
সরেজমিনে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের মধ্যে দেখা গেছে, উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি স্তম্ভ ‘বীর ঠিকানা’র চারপাশে ছড়িয়ে আছে ফেনসিডিলের পরিত্যক্ত বোতল। শুধু ফেনসিডিলই না, সেখানে গাঁজা সেবনের সরঞ্জামওদেখা যায়। এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের ভেতরের আমবাগান, পরিষদের প্রাচীর ঘেঁষে আশপাশের গলিতেও দেখা গেছে ফেনসিডিলের অসংখ্য বোতল। এসব ফেনসিডিলের বোতল ও ফেনসিডিল সেবনকারীদের দেখেই এলাকার যুবকেরা মাদকে ঝুঁকছে বলেও জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এ এলাকায় প্রশাসনের নজরদারি আরও বাড়ানোর দাবি জানান তাঁরা। স্থানীয়রা জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় প্রাঙ্গণের মধ্যে নিরাপদে এসব মাদক সেবন করে মাদকের সরঞ্জামাদি ও বোতল ফেলা হয়। তাঁরা দাবি করেন, স্থানীয় যুবক বা কোনো ব্যক্তির পক্ষে সরকারি কার্যালয়ে সীমানার মধ্যে এভাবে মাদকের আখড়া বসানো সম্ভব নয়, এভাবে ফেনসিডিল সেবন ও বীর ঠিকানা স্তম্ভের পেছনে বোতল ফেলে রাখাও সম্ভব নয়। এর সঙ্গে উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা বা কর্মচারীদেরও যোগসাজশ থাকতে পারে বলে সচেতন মহল ধারণা করছেন।
উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণের মধ্যে ফেনসিডিলের পড়ে থাকা বোতল ও স্থানীয়দের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিকুর রহমান বলেন, ‘এ সম্পর্কে আমি অবগত ছিলাম না। পাশের রাস্তা থেকে এগুলো খেয়ে এখানে ফেলা হয়ে থাকতে পারে।’ তিনি তাঁর উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এখানে সিসি ক্যমেরা আছে। এখানে এসব হতে পারে না। তবে উপজেলা পরিষদের আশপাশে সব ধরনের লোকই থাকে, তাই এখন থেকে তিনি আরও সর্তক হবেন বলে জানান।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ খান বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের নিয়মিত অভিযান চলছে। উপজেলা পরিষদের মধ্যে একটি পুলশ চৌকি বসানো হয়েছে। হয়তো বোতলগুলো ওখানে পূর্বের ফেলে রাখা। তবে এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে জানান তিনি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

‘বীর ঠিকানা’ স্তম্ভে ফেনসিডিলের খালি বোতল!

আপলোড টাইম : ১০:৫৫:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের মধ্যে মাদকসেবীদের আখড়া
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ফেনসিডিলের অসংখ্য খালি বোতল। প্রায় প্রতিদিন এখানেই বসে মাদকের আখড়া। অভিযোগ রয়েছে, এখানকার কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় মাদকসেবীরা জমিয়ে তুলেছেন এ আখড়া। স্থানটি সরকারি কার্যালয়ের প্রাচীরের মধ্যে হওয়ায় এটি স্থানীয় মাদকসেবীদের কাছে নিরাপদে ফেনসিডিল সেবন ও সেবনের পর ফেনসিডিলের বোতল ফেলার স্থান বেশ নিরাপদ। তবে উপজেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ বলছে, এসব ফেনসিডিলের বোতল প্রাচীরের পেছনের রাস্তা থেকে ছুঁড়ে ফেলা।
সরেজমিনে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের মধ্যে দেখা গেছে, উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি স্তম্ভ ‘বীর ঠিকানা’র চারপাশে ছড়িয়ে আছে ফেনসিডিলের পরিত্যক্ত বোতল। শুধু ফেনসিডিলই না, সেখানে গাঁজা সেবনের সরঞ্জামওদেখা যায়। এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের ভেতরের আমবাগান, পরিষদের প্রাচীর ঘেঁষে আশপাশের গলিতেও দেখা গেছে ফেনসিডিলের অসংখ্য বোতল। এসব ফেনসিডিলের বোতল ও ফেনসিডিল সেবনকারীদের দেখেই এলাকার যুবকেরা মাদকে ঝুঁকছে বলেও জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এ এলাকায় প্রশাসনের নজরদারি আরও বাড়ানোর দাবি জানান তাঁরা। স্থানীয়রা জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় প্রাঙ্গণের মধ্যে নিরাপদে এসব মাদক সেবন করে মাদকের সরঞ্জামাদি ও বোতল ফেলা হয়। তাঁরা দাবি করেন, স্থানীয় যুবক বা কোনো ব্যক্তির পক্ষে সরকারি কার্যালয়ে সীমানার মধ্যে এভাবে মাদকের আখড়া বসানো সম্ভব নয়, এভাবে ফেনসিডিল সেবন ও বীর ঠিকানা স্তম্ভের পেছনে বোতল ফেলে রাখাও সম্ভব নয়। এর সঙ্গে উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা বা কর্মচারীদেরও যোগসাজশ থাকতে পারে বলে সচেতন মহল ধারণা করছেন।
উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণের মধ্যে ফেনসিডিলের পড়ে থাকা বোতল ও স্থানীয়দের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিকুর রহমান বলেন, ‘এ সম্পর্কে আমি অবগত ছিলাম না। পাশের রাস্তা থেকে এগুলো খেয়ে এখানে ফেলা হয়ে থাকতে পারে।’ তিনি তাঁর উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এখানে সিসি ক্যমেরা আছে। এখানে এসব হতে পারে না। তবে উপজেলা পরিষদের আশপাশে সব ধরনের লোকই থাকে, তাই এখন থেকে তিনি আরও সর্তক হবেন বলে জানান।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ খান বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের নিয়মিত অভিযান চলছে। উপজেলা পরিষদের মধ্যে একটি পুলশ চৌকি বসানো হয়েছে। হয়তো বোতলগুলো ওখানে পূর্বের ফেলে রাখা। তবে এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে জানান তিনি।