ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিয়ে জীবনকে সুন্দর ও বরকতময় করে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩৪:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ এপ্রিল ২০১৮
  • / ৪০৭ বার পড়া হয়েছে

মানবজীবনের যাত্রা থেকেই বৈবাহিক সূত্রের সূচনা। এর কল্যাণ ও বরকতের শেষ নেই। সর্বোপরি তা নবীদের সুন্নতবিশেষ। বিয়ে প্রসঙ্গে পবিত্র কোরানে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘আপনার আগে আমি অনেক নবী-রাসুল পাঠিয়েছি এবং তাদের স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দিয়েছি।’ -সূরা রাদ: ৩৮। মহান আল্লাহতায়ালা বিয়ের নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যেসব ছেলের স্ত্রী নেই এবং যেসব মেয়ের স্বামী নেই, তাদের এবং তোমাদের দাস-দাসীদের যারা সৎ তাদের বিয়ে দিয়ে দাও। তারা যদি দরিদ্র হয় আল্লাহতায়ালা নিজ অনুগ্রহে তাদের ধনী বানিয়ে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময় ও সর্বজ্ঞ।’ -সূরা নূর: ৩২। বিয়ে প্রসঙ্গে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘হে যুবক সম্প্রদায়, তোমাদের মধ্যে যারা বিয়ে করতে সক্ষম, তারা যেন বিয়ে করে নেয়। কারণ বিয়ে দৃষ্টি আনত রাখতে ও গুপ্তাঙ্গের হেফাজতে অধিক কার্যকর। আর যে ব্যক্তি বিয়ে করতে অক্ষম, সে যেন রোজা রাখে। কেননা রোজা তার যৌন ক্ষুধাকে অবদমিত করে।’ -সহিহ বোখারি ও মুসলিম। স্ত্রীর মহর ও ভরণপোষণ আদায়ে সক্ষম, বিয়ের প্রতি তার প্রবল আকর্ষণ আছে এমন ব্যক্তির ওপর বিয়ে করা ইসলামের দৃষ্টিতে ওয়াজিব। বিয়ে হচ্ছে স্বামী-স্ত্রীর চারিত্রিক পবিত্রতা ও স্বভাবগত পরিচ্ছন্নতা, সমাজ সংশোধন ও চারিত্রিক স্খলনমুক্ত থাকার শ্রেষ্ঠ উপায়। এ বিষয়ে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আর যখন তোমরা স্ত্রীদের তালাক দিয়ে দাও, অতঃপর তারা নির্ধারিত ইদ্দত শেষ করে নেয়, তখন তাদের আগের স্বামীদের সঙ্গে পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে নিয়মানুযায়ী বিয়ে করতে বাধা দান করো না। এ উপদেশ তাকেই দেয়া হচ্ছে, যে আল্লাহ ও কেয়ামত দিনের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করে। এর মধ্যে তোমাদের জন্য রয়েছে একান্ত পরিশুদ্ধতা ও অনেক পবিত্রতা। আল্লাহতায়ালা জানেন, যা তোমরা জানো না।’ -সূরা বাকারা: ২৩২। বিয়ে সমাজকে ব্যভিচার ছড়িয়ে পড়া থেকে রক্ষা করে। কোনো শহরে এমন জঘন্য অপরাধ ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহতায়ালা লাঞ্ছনা-গঞ্জনা ও দারিদ্র্য দিয়ে শহরবাসীকে পাকড়াও করেন। সেখানে নানা প্রাণঘাতী রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়ে, যা অতীত লোকদের মাঝে ছিল না। সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহতায়ালা তাদের জন্য রেখেছেন কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

বিয়ে জীবনকে সুন্দর ও বরকতময় করে

আপলোড টাইম : ০৯:৩৪:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ এপ্রিল ২০১৮

মানবজীবনের যাত্রা থেকেই বৈবাহিক সূত্রের সূচনা। এর কল্যাণ ও বরকতের শেষ নেই। সর্বোপরি তা নবীদের সুন্নতবিশেষ। বিয়ে প্রসঙ্গে পবিত্র কোরানে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘আপনার আগে আমি অনেক নবী-রাসুল পাঠিয়েছি এবং তাদের স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দিয়েছি।’ -সূরা রাদ: ৩৮। মহান আল্লাহতায়ালা বিয়ের নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যেসব ছেলের স্ত্রী নেই এবং যেসব মেয়ের স্বামী নেই, তাদের এবং তোমাদের দাস-দাসীদের যারা সৎ তাদের বিয়ে দিয়ে দাও। তারা যদি দরিদ্র হয় আল্লাহতায়ালা নিজ অনুগ্রহে তাদের ধনী বানিয়ে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময় ও সর্বজ্ঞ।’ -সূরা নূর: ৩২। বিয়ে প্রসঙ্গে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘হে যুবক সম্প্রদায়, তোমাদের মধ্যে যারা বিয়ে করতে সক্ষম, তারা যেন বিয়ে করে নেয়। কারণ বিয়ে দৃষ্টি আনত রাখতে ও গুপ্তাঙ্গের হেফাজতে অধিক কার্যকর। আর যে ব্যক্তি বিয়ে করতে অক্ষম, সে যেন রোজা রাখে। কেননা রোজা তার যৌন ক্ষুধাকে অবদমিত করে।’ -সহিহ বোখারি ও মুসলিম। স্ত্রীর মহর ও ভরণপোষণ আদায়ে সক্ষম, বিয়ের প্রতি তার প্রবল আকর্ষণ আছে এমন ব্যক্তির ওপর বিয়ে করা ইসলামের দৃষ্টিতে ওয়াজিব। বিয়ে হচ্ছে স্বামী-স্ত্রীর চারিত্রিক পবিত্রতা ও স্বভাবগত পরিচ্ছন্নতা, সমাজ সংশোধন ও চারিত্রিক স্খলনমুক্ত থাকার শ্রেষ্ঠ উপায়। এ বিষয়ে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আর যখন তোমরা স্ত্রীদের তালাক দিয়ে দাও, অতঃপর তারা নির্ধারিত ইদ্দত শেষ করে নেয়, তখন তাদের আগের স্বামীদের সঙ্গে পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে নিয়মানুযায়ী বিয়ে করতে বাধা দান করো না। এ উপদেশ তাকেই দেয়া হচ্ছে, যে আল্লাহ ও কেয়ামত দিনের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করে। এর মধ্যে তোমাদের জন্য রয়েছে একান্ত পরিশুদ্ধতা ও অনেক পবিত্রতা। আল্লাহতায়ালা জানেন, যা তোমরা জানো না।’ -সূরা বাকারা: ২৩২। বিয়ে সমাজকে ব্যভিচার ছড়িয়ে পড়া থেকে রক্ষা করে। কোনো শহরে এমন জঘন্য অপরাধ ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহতায়ালা লাঞ্ছনা-গঞ্জনা ও দারিদ্র্য দিয়ে শহরবাসীকে পাকড়াও করেন। সেখানে নানা প্রাণঘাতী রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়ে, যা অতীত লোকদের মাঝে ছিল না। সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহতায়ালা তাদের জন্য রেখেছেন কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা।